ওহে যারা ধারণা করে যে, বর্তমান যুগে পর্দা করা মুসলিম নারীদের জন্য উপযোগী নয়, তারা শ্রবণ করুন!
ওহে যারা দাবী করেন যে, চেহারা আবৃত করা হলো উসমানী যুগের অভ্যাসের অন্তর্ভুক্ত।
ওহে যারা নারীদেরকে তাদের গৃহ থেকে বের করে সর্বক্ষেত্রে পুরুষদের সাথে অবাধ মিশ্রণ ঘটাতে চান।
উল্লিখিত আয়াতসমূহ আপনার সামনে। অতএব, সেগুলো পড়ুন। উল্লিখিত হাদীসসমূহ আপনার সামনে। সেগুলো গবেষণা করুন। আর যে সমস্ত পূর্বাপর ইসলামী মনিষীদের মতামত অতিবাহিত হলো তা পর্দা ও চেহারা আবৃত করারই প্রমাণ বহন করে, সেগুলোও বুঝুন। সুতরাং আপনারা যদি ইতোপূর্বে এ সমস্ত আয়াত ও হাদীস সম্পর্কে অবহিত না হয়ে থাকেন, তবে এখন এসব আপনাদের সন্মুখে। আপনারা ভ্রান্তিতে অব্যাহত না থেকে মহাসত্যের দিকে ফিরে আসুন, আমরা সে অপেক্ষায় রয়েছি। কেননা সত্যের পথে প্রত্যাবর্তন হলো শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদা এবং ভ্রান্তি ও বাতিলে অব্যাহত থাকা হলো নিকৃষ্ট ও জঘণ্যতম অসম্মান।
পক্ষান্তরে আপনারা যদি মহান আল্লাহর বাণী:
﴿وَجَحَدُواْ بِهَا وَٱسۡتَيۡقَنَتۡهَآ أَنفُسُهُمۡ ظُلۡمٗا وَعُلُوّٗاۚ﴾ [النمل: ١٤]
“তারা অন্যায় ও উদ্ধতভাবে নিদর্শনগুলো প্রত্যাখ্যান করলো যদিও তাদের অন্তর এগুলোকে সত্য বলে গ্রহণ করেছিল।” [সূরা আন-নামল, আয়াত: ১৪]-এর মধ্যে যে শ্রেণির গুণ বর্ণিত হয়েছে, তার অন্তর্ভুক্ত হন তবে অবশ্যই আপনারা কখনও সত্য গ্রহণ করতে পারবেন না। অবশ্যই সঠিক মতে পৌঁছতে পারবেন না যদিও আপনাদের নিকট উপস্থাপন করি হাজারো আয়াত ও হাদীস। কেননা ইসলামে যে সার্বিক জীবনের আদর্শ রয়েছে এবং কুরআন যে সর্বকালের ও সর্বস্থানের জন্য আদর্শ তা আপনারা প্রকৃতভাবে বিশ্বাস করেন না। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
﴿أَفَحُكۡمَ ٱلۡجَٰهِلِيَّةِ يَبۡغُونَۚ وَمَنۡ أَحۡسَنُ مِنَ ٱللَّهِ حُكۡمٗا لِّقَوۡمٖ يُوقِنُونَ ٥٠ ﴾ [المائدة: ٥٠]
“তবে কি তারা জাহেলিয়াত-বর্বরতার বিচার-মীমাংসা কামনা করে? আর দৃঢ় বিশ্বাসীদের কাছে বিচার-মীমাংসা কার্যে আল্লাহর চেয়ে কে উত্তম হবে?” [সূরা আল-মায়েদাহ, আয়াত: ৫০]