কুরআন ও হাদীছের আলোকে হজ্জ, উমরাহ ও মদীনা যিয়ারত সপ্তম অধ্যায় শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ) ১ টি
ঈদের দিনে (১০ যিলহাজ্জ) নিম্নোক্ত কাজগুলি ধারাবাহিকভাবে সম্পাদন করা সুন্নাত

১। জামরায়ে আকাবায় কংকর নিক্ষেপ করা।

২। হাদী (কুরবানীর পশু) যবহ করা।

৩। মাথা মুণ্ডন বা চুল খাটো করা।

৪। কাবা ঘরের তাওয়াফ করা।

৫। হাজ্জে তামাত্তুকারীর সাঈ করা। অনুরূপ হাজ্জে ইফরাদ বা কিরানকারী যদি তাওয়াফে কুদূমের সাথে সাফা ও মারওয়ার সাঈ না করে থাকে তাহলে সাঈ করা।

কারণ, নাবী (সা.) এ রকম ধারাবাহিকভাবে একাজগুলো সম্পাদন করেছেন এবং তিনি (সা.) বলেছেন:

لِتَأْخُذُوا عَنِّيْ مَنَاسِكَكُم

তোমরা আমার নিকট হতে তোমাদের হাজ্জ ও উমরার বিধি-বিধান গ্রহণ কর।[1]

তবে আগে পরে করে পালন করলে কোন অসুবিধা নেই। কারণ, ইবনু আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, নাবী (সা.)-কে যবহ, মাথা মুণ্ডন এবং কংকর নিক্ষেপ আগে পরে করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি (সা.) উত্তরে বলেন: কোন অসুবিধা নেই।[2]

আর ইবনু আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী (সা.)-কে কুরবানীর দিন মিনায় উপরোক্ত কাজগুলি আগে-পরে সম্পাদন করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি জবাবে বলেন: কোন অসুবিধা নেই। সেই সময় জনৈক ব্যক্তি নাবী (সা.)-কে জিজ্ঞেস করল, আমি যবহ্ করার পূর্বে মাথা মুণ্ডন করে ফেলেছি? তখন তিনি বললেন: যবহ্ কর তাতে কোন অসুবিধা নেই। অপর এক ব্যক্তি বলল, আমি সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ার পর কংকর নিক্ষেপ করেছি? তখন উত্তরে তিনি (সা.) বললেন: কোন অসুবিধা নেই।[3]

আরো আব্দুল্লাহ বিন আমর (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে: তিনি বলেন যে, নাবী (সা.)-কে কংকর নিক্ষেপের পূর্বে মাথা মুণ্ডন ও কংকর নিক্ষেপের পূর্বে যবহ্ করা এবং কংকর নিক্ষেপের পূর্বে তাওয়াফে ইফাযাহ করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি (সা.) উত্তরে বলেন: কংকর মার, তাতে কোন অসুবিধা নেই।[4]

আব্দুল্লাহ বিন আমর (রা.) বলেন, সেই দিন তাঁকে কোন কিছু আগে-পরে করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি এক কথায় বলেন: (افعلوا ولا حرج) অর্থাৎ তোমরা (আজকের হাজ্জের কার্যাবলী আগে-পরে যেভাবে হোক) সম্পাদন কর, তাতে কোন অসুবিধা নেই। আর যদি কোন ব্যক্তি ঈদের দিনে তাওয়াফে ইফাযা সমাপ্ত করতে সক্ষম না হয় তাহলে বিলম্ব করা জায়েয। তবে কোন বিশেষ অসুবিধা যেমন, ব্যধি, হায়য বা নিফাস ছাড়া তাশ্রীকের দিনগুলি (১১, ১২ ও ১৩ যিলহাজ্জ) পার করে দেয়া ভাল নয়।

>
[1]. সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম ১২৯৭।

[2]. সহীহ বুখারী ১৭৩৪, সহীহ মুসলিম ১৩০৭।

[3]. সহীহ বুখারী ১৭৩৫ ও মুসলিম ১৩০৬।

[4]. সহীহ মুসলিম ১৩০৬।