কুরআন ও হাদীছের আলোকে হজ্জ, উমরাহ ও মদীনা যিয়ারত সপ্তম অধ্যায় শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ) ১ টি
হাজ্জের নিয়মাবলী - হাজ্জের ইহরাম বাঁধা

৮ যিলহাজ্জ, যাকে তারবিয়ার দিন বলা হয়। এদিন সকাল বেলা নিজ নিজ স্থান থেকে হাজ্জ পালনে ইচ্ছুক ব্যক্তি ইহরাম বাঁধবে। ইহরাম বাঁধার জন্য মসজিদে হারামে বা অন্য কোন মসজিদে যাওয়া সুন্নাতসম্মত নয়। কারণ আমার জানা মতে ইহা নাবী (সা.) থেকে বা তাঁর কোন সাহাবী হতে প্রমাণিত নয়।

জাবির (রা.) হতে বর্ণিত হাদীসে রয়েছে যে, নাবী (সা.) সাহাবীগণকে বলেন: তোমরা তারবিয়ার দিবস পর্যন্ত হালাল অবস্থায় থাক। অতঃপর তোমরা তারবিয়ার দিনে (৮ যিলহাজ্জ) হাজ্জের ইহরাম বাঁধ।[1]

আর জাবির (রা.) হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন যে, আমরা (উমরা হতে) হালাল হলে আল্লাহর রসূল (সা.) আমাদের নির্দেশ দেন যেন আমরা মিনা গমনের সময় ইহরাম করে নেই। অতএব আমরা আবতাহ নামক স্থান হতে ইহরাম করি।[2] আর তাঁরা আব্তাহ নামক স্থান থেকে এ জন্য ইহরাম করেছেন যে, তা ছিল তাঁদের অবতরণ স্থল।

  • আর হাজ্জের ইহরামের সময় সে সমস্ত কাজ করবে যা উমরার ইহরামের সময় করা হয়েছে।
  • তাই গোসল করে সুগন্ধি ব্যবহার করবে।
  • অতঃপর তাহিইয়্যাতুল উযূর নিয়্যাতে দু’রাক’আত সলাত আদায় করার পরে হাজ্জের ইহরাম বাঁধবে।
  • আর হাজ্জের ইহরাম ও তালবিয়ার নিয়মাবলী উমরার ইহরাম ও তালবিয়ার অনুরূপ।
  • তবে হাজ্জের ইহরাম করার সময় ‘লাব্বাইকা উমরাতান’ বলার পরিবর্তে ‘লাব্বাইকা হাজ্জান’ বলবে।
  • আর যদি হাজ্জের কার্যাবলী সম্পূর্ণ করায় কোন রকম বাধার আশঙ্কা থাকে তাহলে শর্ত করে নিয়ে বলবে:

اللَّهُمَّ مَحِلِّي حَيْثُ حَبَسْتَنِي

[আল্লাহুম্মা মাহিল্লী হাইসু হাবাসতানী] হে আল্লাহ! যেখানে তুমি আমাকে বাধা প্রদান করবে সেখানেই আমি হালাল হয়ে যাব।[3] আর যদি কোন রকম আশঙ্কা না থাকে তাহলে কোন শর্ত উল্লেখ করবে না।

[1]. সহীহ বুখারী ১৫৬৮, সহীহ মুসলিম ১২১৬/১৪২, সহীহ: নাসাঈ ২৯৯৪

[2]. সহীহ মুসলিম ১২১৪/১৩৯।

[3]. সহীহ বুখারী ৫০৮৯ ও মুসলিম ১২০৭