পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকলের জন্য ইসলাম জীবন ব্যবস্থা। ইসলামের কারণেই আল্লাহ তা‘আলা সকল সৃষ্টির উপর দয়া করেন। আল্লাহ তা‘আলা ইসলামকে বিশ্ববাসীর জন্য রহমত স্বরূপ নির্ধারণ করেছেন। রাসূলগণকে ইসলামের জন্যই প্রেরণ করেছেন। শেষ নবী ও নবীদের সরদার মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা ইসলামের পূর্ণতা দান করেছেন। ইসলামের নির্দেশ পালন এবং ইসলামের দিকে দা‘ওয়াত দানের মাধ্যমে তিনি নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর উম্মতকে সম্মানিত করেছেন।
১। মহান আল্লাহ মানুষের প্রভু, তিনি ছাড়া প্রকৃত কোন প্রভু নেই। আল্লাহ তা‘আলা মানুষের মালিক, তিনি ছাড়া প্রকৃত কোন মালিক নেই। তিনি মানুষের উপাস্য, তিনি ছাড়া প্রকৃত কোন উপাস্য নেই। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ (1) مَلِكِ النَّاسِ (2) إِلَهِ النَّاسِ (3) مِنْ شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ (4) الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ (5) مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ (6)) [الناس: 1 - 6].
‘বল, ‘আমি আশ্রয় প্রার্থনা করি মানুষের রব, (১) মানুষের অধিপতি, (২) মানুষের ইলাহ-এর কাছে, (৩) কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্ট হতে, যে দ্রুত আত্মগোপন করে। (৪) যে মানুষের মনে কুমন্ত্রণা দেয় (৫) জিন ও মানুষ হতে’ (সূরা আন-নাস:১-৬)।
২। আল্লাহ তা‘আলা মানুষের হেদায়াতের জন্য কুরআন নাযিল করেছেন।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ هُدًى لِلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِنَ الْهُدَى وَالْفُرْقَانِ) ... [البقرة: 185].
‘রামাযান মাস, যাতে কুরআন নাযিল করা হয়েছে মানুষের জন্য হেদায়াতস্বরূপ ও হেদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনাবলী ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারীরূপে’ (সূরা আল-বাক্বারাহ: ১৮৫)।
৩। আল্লাহ তা‘আলা মানব জাতির জন্য রাসূল মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে প্রেরণ করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(وَمَا أَرْسَلْنَاكَ إِلَّا كَافَّةً لِلنَّاسِ بَشِيرًا وَنَذِيرًا وَلَكِنَّ أَكْثَرَ النَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ (28)) ... [سبأ: 28].
‘আর আমি তো কেবল তোমাকে সমগ্র মানবজাতির জন্য সুসংবাদ দাতা ও সতর্ককারী হিসাবে প্রেরণ করেছি; কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না’ (সূরা সাবা: ২৮)।
৪। আল্লাহ তা‘আলা মানুষের জন্য কা‘বাকে প্রথম ঘর হিসাবে নির্ধারণ করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
إِنَّ أَوَّلَ بَيْتٍ وُضِعَ لِلنَّاسِ لَلَّذِي بِبَكَّةَ مُبَارَكًا وَهُدًى لِلْعَالَمِينَ
‘নিশ্চয় প্রথম ঘর, যা মানুষের জন্য স্থাপন করা হয়েছে, তা মক্কায়। যা বরকতময় ও হেদায়াত বিশ্ববাসীর জন্য’ (সূরা আলে ইমরান: ৯৬)।
৫। আল্লাহ তা‘আলা এ উম্মতকে বাছাই করেছেন এবং মানবতার কল্যাণে তাদেরকে উত্তম উম্মত হিসাবে নির্ধারণ করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(كُنْتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنْكَرِ وَتُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ) ... [آل عمران: 110].
‘তোমরা হলে সর্বোত্তম উম্মত, যাদেরকে মানুষের জন্য বের করা হয়েছে। তোমরা ভাল কাজের আদেশ দেবে এবং মন্দ কাজ থেকে বারণ করবে, আর আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে’ (সূরা আলে ইমরান: ১১০)।
৬। আল্লাহ সৃষ্টিকুলের রব এবং তিনি মুহাম্মাদ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে সৃষ্টিকুলের জন্যই রহমতস্বরূপ প্রেরণ করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ (2)) [الفاتحة: 2].
‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি সৃষ্টিকুলের রব’ (সূরা আল-ফাতিহা: ২)।
আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
(تَبَارَكَ الَّذِي نَزَّلَ الْفُرْقَانَ عَلَى عَبْدِهِ لِيَكُونَ لِلْعَالَمِينَ نَذِيرًا (1)) [الفرقان:1].
‘তিনি বরকতময়, যিনি তাঁর বান্দার উপর ফুরক্বান নাযিল করেছেন, যেন সে জগতবাসীর জন্য সতর্ককারী হতে পারে’ (সূরা আল-ফুরক্বান:১)।
৭। এ মহা দ্বীনের দিকে দা‘ওয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা এ উম্মতকে ক্বিয়ামত পর্যন্ত সম্মানিত করেছেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(قُلْ هَذِهِ سَبِيلِي أَدْعُو إِلَى اللَّهِ عَلَى بَصِيرَةٍ أَنَا وَمَنِ اتَّبَعَنِي وَسُبْحَانَ اللَّهِ وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ (108)) ... [يوسف: 108].
‘বলুন, ইহাই আমার পথ, আমি ও আমার অনুসারীগণ ডাকি আল্লাহর দিকে জাগ্রত জ্ঞান সহকারে। আল্লাহ পবিত্র এবং আমি শিরককারীদের অন্তর্ভুক্ত নই’ (সূরা ইউসুফ:১০৮)। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
(هَذَا بَلَاغٌ لِلنَّاسِ وَلِيُنْذَرُوا بِهِ وَلِيَعْلَمُوا أَنَّمَا هُوَ إِلَهٌ وَاحِدٌ وَلِيَذَّكَّرَ أُولُوالْأَلْبَابِ ) [إبراهيم: 52]
‘ইহা মানুষের জন্য পয়গাম। আর যা দ্বারা তাদেরকে সতর্ক করা হয় এবং তারা জানতে পারে যে, তিনি কেবল এক ইলাহ, আর যাতে বুদ্ধিমানরা উপদেশ গ্রহণ করে’ (সূরা ইব্রাহীম:৫২)।
৮। পবিত্র কুরআনের সর্ব প্রথম সম্বোধনটি সমগ্র মানব জাতির উদ্দেশ্যে, যাতে তারা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে এবং একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(يَاأَيُّهَا النَّاسُ اعْبُدُوا رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُمْ وَالَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ ) [البقرة: 21]
‘হে মানুষ! তোমরা তোমাদের রবের ইবাদত কর, যিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে এবং তোমাদের পূর্বে যারা ছিল তাদেরকে, যাতে তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করতে পারো’ (সূরা আল-বাক্বারাহ:২১)।
৯। এ উম্মত এক, তাদের রব এক এবং দ্বীনও একটিই, যা ব্যতীত আল্লাহ তা‘আলা অন্য কোন দ্বীন গ্রহণ করবেন না। আল্লাহ বলেন:
(إِنَّ هَذِهِ أُمَّتُكُمْ أُمَّةً وَاحِدَةً وَأَنَا رَبُّكُمْ فَاعْبُدُونِ (92)) [الأنبياء: 92]
‘নিশ্চয় তোমাদের এ জাতি তো একই জাতি। আর আমিই তোমাদের রব। অতএব, তোমরা আমার ইবাদত কর’(সূরা আল-আম্বিয়া:৯২)। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
(إِنَّ الدِّينَ عِنْدَ اللَّهِ الْإِسْلَامُ وَمَا اخْتَلَفَ الَّذِينَ أُوتُواالْكِتَابَ إِلَّا مِنْ بَعْدِ مَا جَاءَهُمُ الْعِلْمُ بَغْيًا بَيْنَهُمْ وَمَنْ يَكْفُرْ بِآيَاتِ اللَّهِ فَإِنَّ اللَّهَ سَرِيعُ الْحِسَابِ ) [آل عمران: 19]
‘নিশ্চয় আল্লাহর নিকট দ্বীন হচ্ছে ইসলাম। আর যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে, তাদের নিকট জ্ঞান আসার পরই তারা মতানৈক্য করেছে পরস্পর বিদ্বেষবশতঃ। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর আয়াতসমূহের সাথে কুফরী করে, নিশ্চয় আল্লাহ হিসাব গ্রহণে দ্রুত’(সূরা আলে ইমরান: ১৯)। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
(وَمَنْ يَبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلَامِ دِينًا فَلَنْ يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي الْآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ ) [آل عمران: 85]
‘আর যে ইসলাম ছাড়া অন্য কোন দ্বীন চায়, তার কাছ থেকে তা কখনই গ্রহণ করা হবে না এবং সে আখেরাতে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত’ (সূরা আলে ইমরান: ৮৫)।
وَعَنْ أبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ - صلى الله عليه وسلم -، أنَّهُ قَالَ: «وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ! لا يَسْمَعُ بِي أحَدٌ مِنْ هَذِهِ الأَمَّةِ يَهُودِيٌّ وَلا نَصْرَانِيٌّ، ثُمَّ يَمُوتُ وَلَمْ يُؤْمِنْ بِالَّذِي أرْسِلْتُ بِهِ، إِلا كَانَ مِنْ أصْحَابِ النَّارِ». أخرجه مسلم برقم (153)
আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন: ‘সেই সত্তার কসম, যার হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ! ইয়াহূদী হোক আর খৃষ্টান হোক, যে ব্যক্তি আমার রিসালাতের খবর শুনেছে অথচ আমার রিসালাতের উপর ঈমান না এনে মৃত্যুবরণ করেছে, অবশ্যই সে জাহান্নামী হবে’ (ছহীহ মুসলিম, হা/১৫৩)।
১০। অচিরেই এই দ্বীন সর্বত্র পৌঁছবে, যেমন দিন রাত্রি পৌঁছে। অতঃপর তা অপরিচিত অবস্থায় ফিরে আসবে যেভাবে সূচনা হয়েছিল।
عَنْ ثَوْبَانَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ - صلى الله عليه وسلم -: «إِنَّ اللهَ زَوَى لِيَ الأَرْضَ، فَرَأَيْتُ مَشَارِقَهَا وَمَغَارِبَهَا، وَإِنَّ أُمَّتِي سَيَبْلُغُ مُلْكُهَا مَا زُوِيَ لِي مِنْهَا ... ». أخرجه مسلم برقم (2889)
ছাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন: আল্লাহ তা‘আলা গোটা পৃথিবীকে সংকুচিত করে আমার সম্মুখে রেখে দিলেন। অতঃপর আমি এর পূর্ব প্রান্ত থেকে পশ্চিম প্রান্ত পর্যন্ত প্রত্যক্ষ করলাম। পৃথিবীর যে অংশটুকু সংকুচিত করে আমার সামনে রাখা হয়েছিল, সে পর্যন্ত আমার উম্মতের কর্তৃত্ব পৌঁছবে’ (ছহীহ মুসলিম, হা/২৮৮৯)।
وَعَن تَمِيمٍ الدَّارِيِّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ - صلى الله عليه وسلم - يَقُولُ: «لَيَبْلُغَنَّ هَذَا الأَمْرُ مَا بَلَغَ اللَّيْلُ وَالنَّهَارُ، وَلاَ يَتْرُكُ الله بَيْتَ مَدَرٍ وَلاَ وَبَرٍ إِلاَّ أَدْخَلَهُ الله هَذَا الدِّينَ، بِعِزِّ عَزِيزٍ أَوْ بِذُلِّ ذَلِيلٍ، عِزّاً يُعِزُّ اللهُ بِهِ الإِْسْلاَمَ وَذُلاًّ يُذِلُّ اللهُ بِهِ الكُفْرَ» صحيح/ أخرجه أحمد برقم (17082) , وهذا لفظه، وأخرجه الحاكم برقم (8326)
তামীম আদ-দারী (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে বলতে শুনেছি: দ্বীন সর্বত্র পৌঁছবে, যেমন দিন রাত্রি পৌঁছে। এমন কোন মাটির অথবা পশমের ঘর (তাঁবু) আল্লাহ বাকী রাখবেন না, যেখানে তিনি সম্মানিতের সম্মান বা লাঞ্ছিতের লাঞ্ছনার মাধ্যমে এই দ্বীন প্রবেশ করাবেন না। সেটি এমন সম্মান, যা দ্বারা আল্লাহ ইসলামকে সম্মানিত করবেন এবং এমন লাঞ্ছনা, যা দ্বারা তিনি কুফরকে লাঞ্ছিত করবেন (ছহীহ: মুসনাদে আহমাদ, হা/১৭০৮২, হাকেম, হা/৮৩২৬)।
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنِ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «إِنَّ الإِسْلامَ بَدَأَ غَرِيباً وَسَيَعُودُ غَرِيباً كَمَا بَدَأَ، وَهُوَ يَأْرِزُ بَيْنَ المَسْجِدَيْنِ كَمَا تَأْرِزُ الحَيَّةُ فِي
جُحْرِهَا». أخرجه مسلم برقم (146)
ইবনু উমার (রা.) নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেন, নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, অপরিচিতের ন্যায় ইসলাম শুরু হয়েছিল, অচিরেই তা আবার অপরিচিত অবস্থায় ফিরে যাবে। সাপ যেমন সংকুচিত হয়ে তার গর্তে প্রবেশ করে, তদ্রূপ ইসলামও দুই মসজিদের (মসজিদে নববী ও মসজিদে হারাম) মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে যাবে (ছহীহ মুসলিম, হা/১৪৬)।
ইসলাম ক্বিয়ামত পর্যন্ত অবশিষ্ট থাকবে। আল্লাহ তা‘আলা আল-কুরআন নাযিল করে তা সংরক্ষণের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। ‘সাহায্যপ্রাপ্ত দল’-এর মাধ্যমে কুরআনের বিধান দুনিয়ায় ক্বায়েম হবে। এমনকি ক্বিয়ামত এসে যাবে, তবুও তারা বিজয়ী হয়েই থাকবে।
১। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا الذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُ لَحَافِظُونَ (9)) ... [الحجر: 9]
‘নিশ্চয় আমরা কুরআন নাযিল করেছি, আর আমরাই তার হিফাযতকারী’ (সূরা আল-হিজর:৯)।
২। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
(وَإِنَّهُ لَكِتَابٌ عَزِيزٌ (41) لَا يَأْتِيهِ الْبَاطِلُ مِنْ بَيْنِ يَدَيْهِ وَلَا مِنْ خَلْفِهِ تَنْزِيلٌمِنْ حَكِيمٍ حَمِيدٍ (42)) ... [فصلت: 41 - 42]
‘আর এটি নিশ্চয় এক সম্মানিত গ্রন্থ। (৪১) বাতিল এতে অনুপ্রবেশ করতে পারে না, না সামনে থেকে, না পেছন থেকে। এটি প্রজ্ঞাময়, প্রশংসিতের পক্ষ থেকে নাযিলকৃত’ (সূরা হা-মীম সাজদা: ৪১-৪২)।
وَعَنْ مُعَاوِيَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ الله - صلى الله عليه وسلم - يَقُولُ: «لاَتَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمّتِي قَائِمَةً بِأَمْرِ اللهِ، لاَ يَضُرّهُمْ مَنْ خَذَلَهُمْ أَوْ خَالَفَهُمْ، حَتّىَ يَأْتِيَ أَمْرُ اللهِ وَهُمْ ظَاهِرُونَ عَلَى النّاسِ». متفق عليه، أخرجه البخاري برقم (71) , ومسلم في كتاب الإمارة برقم (174) (1037)، واللفظ له
৩। মু‘আবিয়া (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন: আমি রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন: আমার উম্মতের একটি দল সর্বদাই হক্বের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। তাদের সঙ্গ ত্যাগ করে বা বিরোধিতা করে কেউ তাদের কোন ক্ষতি সাধন করতে পারবে না। এমনকি এভাবে তাদের কাছে আল্লাহর আদেশ (ক্বিয়ামত) এসে পড়বে তারা বিজয়ী থাকা অবস্থায় (ছহীহ বুখারী: ৭১; ছহীহ মুসলিম, হা/১০৩৭)।