আল্লাহর দিকে দা‘ওয়াতের পর মানুষ ঈমান আনবে অথবা আনবে না।
১। যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে, তিনি তাদেরকে সুখ-দুঃখের মাধ্যমে পরীক্ষা করবেন। আর মানুষও তাদের সাথে শত্রুতা পোষণ করবে ও কষ্ট দিবে, যাতে সত্যবাদী ও মিথ্যাবাদী এবং মুমিন ও মুনাফিকের পরিচয় প্রকাশ পায়।
আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(أَحَسِبَ النَّاسُ أَنْ يُتْرَكُوا أَنْ يَقُولُوا آمَنَّا وَهُمْ لَا يُفْتَنُونَ (2) وَلَقَدْ فَتَنَّا الَّذِينَ مِنْ قَبْلِهِمْ فَلَيَعْلَمَنَّ اللَّهُ الَّذِينَ صَدَقُوا وَلَيَعْلَمَنَّ الْكَاذِبِينَ (3)) .. [العنكبوت: 2 - 3]
‘মানুষ কি মনে করে যে, ‘আমরা ঈমান এনেছি’ বললেই তাদের ছেড়ে দেয়া হবে, আর তাদের পরীক্ষা করা হবে না? (২) আর আমি তো তাদের পূর্ববর্তীদের পরীক্ষা করেছি। ফলে আল্লাহ অবশ্যই জেনে নেবেন যে, কারা সত্য বলে এবং অবশ্যই তিনি জেনে নেবেন, কারা মিথ্যাবাদী’ (সূরা আল-আনকাবূত: ২-৩)।
২। যে ঈমান আনবে না, আল্লাহ তা‘আলা তাকে এমন শাস্তি দিবেন, যা অত্যধিক কঠিন এবং স্থায়ী। মুমিন হোক কিংবা কাফের প্রত্যেকেই কষ্ট পাবে। তবে, মুমিন শুরুতে যন্ত্রনা ভোগ করলেও দুনিয়া ও আখেরাতে প্রশংসনীয় সফলতা লাভ করবে। কিন্তু কাফের শুরুতে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করলেও দুনিয়াতে তাদের জন্য রয়েছে মন্দ পরিণাম ও আখেরাতে জাহান্নামে স্থায়ী যন্ত্রণা।
১। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(لَا يَغُرَّنَّكَ تَقَلُّبُ الَّذِينَ كَفَرُوا فِي الْبِلَادِ (196) مَتَاعٌ قَلِيلٌ ثُمَّ مَأْوَاهُمْ جَهَنَّمُ وَبِئْسَ الْمِهَادُ ) ... [آل عمران: 196 - 197]
‘নগরসমূহে সেসব লোকের চলা-ফেরা তোমাকে যেন ধোঁকায় না ফেলে, যারা কুফরী করেছে। (১৯৬) অল্প ভোগ্যসামগ্রী। এরপর তাদের আশ্রয়স্থল জাহান্নাম আর তা কতইনা মন্দ বিছানা’ (সূরা আলে ইমরান: ১৯৬-১৯৭)।
২। আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন:
(فَلَا تُعْجِبْكَ أَمْوَالُهُمْ وَلَا أَوْلَادُهُمْ إِنَّمَا يُرِيدُ اللَّهُ لِيُعَذِّبَهُمْ بِهَا فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَتَزْهَقَ أَنْفُسُهُمْ وَهُمْ كَافِرُونَ (55)) [التوبة: 55]
‘অতএব, তোমাকে যেন মুগ্ধ না করে তাদের ধন-সম্পদ এবং সন্তানাদি, আল্লাহ এর দ্বারা কেবল তাদের আযাব দিতে চান দুনিয়ার জীবনে এবং তাদের জান বের হবে কাফের অবস্থায়’ (সূরা আত-তাওবা: ৫৫)।