ইবাদত যেন শরীর, আর দাসত্ব যেন আত্মা। ইবাদতের শুরু ও শেষ আছে। যেমন-ছালাত, ছিয়াম, হাজ্জ ইত্যাদি ইবাদত। কিন্তু দাসত্ব হলো আত্মিক আমল, যা বান্দা থেকে কখনই পৃথক হয় না। সব সময় অনুভব করবে যে, তুমি আল্লাহর একজন বান্দা। ইবাদতের আত্মা হচ্ছে দাসত্ব। আর দাসত্ব হচ্ছে, সদা সর্বদা আল্লাহ তা‘আলার মুখাপেক্ষী হওয়া। আর কুফরীর আত্মা হচ্ছে, সীমালঙ্ঘন ও আল্লাহর তোয়াক্কা না করা।
আল্লাহ তা‘আলা আমাদের নিকট থেকে দাসত্বের পূর্ণতা চান দুইভাবেঃ
(ক) পূর্ণাঙ্গ দাসত্ব (খ) শরী‘আত সম্মত ইবাদত।
চারটি বিষয়ের মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলার আনুগত্যে আগ্রহ তৈরি হয়ঃ
(ক) আল্লাহ তা‘আলার প্রতি এবং তার নামসমূহও গুণাবলীর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস রাখা
(খ) আল্লাহর সার্বভৌমত্বের প্রতি দৃঢ়বিশ্বাস রাখা
(গ) আল্লাহর শান্তির অঙ্গীকারের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস রাখা
(ঘ) আল্লাহর শাস্তির অঙ্গীকারের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস করা।
যখন এসব বিষয়ে অথবা এসবের আংশিক কোন বিষয়ে সন্দেহ তৈরি হয়, তখন মানুষ আল্লাহর আনুগত্য থেকে বিমুখ হয়, অবাধ্যতায় লিপ্ত হয় আর শয়তানের আনুগত্য করতে থাকে।
১। আল্লাহ তা‘আলা বলেন:
(ذَلِكُمُ اللَّهُ رَبُّكُمْ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ خَالِقُ كُلِّ شَيْءٍ فَاعْبُدُوهُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ وَكِيلٌ ) [الأنعام: 102]
‘তিনিই আল্লাহ, তোমাদের রব। তিনি ব্যতীত কোন সত্য ইলাহ নেই। তিনি প্রতিটি জিনিসের স্রষ্টা। সুতরাং তোমরা তাঁর ইবাদত কর। আর তিনি প্রতিটি জিনিসের উপর তত্ত্বাবধায়ক (সূরা আল-আন‘আম: ১০২)।
২। আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন:
(فَمَنْ كَانَ يَرْجُو لِقَاءَ رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِ أَحَدًا) [الكهف: 110]
‘সুতরাং যে তার রবের সাক্ষাৎ কামনা করে, সে যেন সৎকর্ম করে এবং তার রবের ইবাদতে কাউকে শরীক না করে’(সূরা আল-কাহাফ: ১১০)।