بِسْمِ اللهِ الَّذِيْ لاَ يَضُرُّ مَعَ إِسْمِهِ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ-
(ক) ‘বিস্মিল্লা-হিল্লাযী লা-ইয়াযুররু মা‘আ ইসমিহী শাইয়ুন ফিল্ আরযি ওয়া লা ফিসসামা-ই ওয়া হুয়াস সামী‘উল ‘আলীম’ (আমি ঐ আল্লাহর নামে শুরু করছি, যাঁর নামে শুরু করলে আসমান ও যমীনের কোন বস্ত্তই কোনরূপ ক্ষতিসাধন করতে পারে না। তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ)।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি উক্ত দো‘আ সকালে ও সন্ধ্যায় তিন বার করে পড়ে, কোন বালা-মুছীবত তাকে স্পর্শ করবে না’। অন্য বর্ণনায় এসেছে, ‘সন্ধ্যায় পড়লে সকাল পর্যন্ত এবং সকালে পড়লে সন্ধ্যা পর্যন্ত আকস্মিক কোন বিপদ তার উপরে আপতিত হবে না’।[148]
(খ) اَللَّهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল ‘আফওয়া ওয়াল ‘আ-ফিয়াতা ফিদ্দুন্ইয়া ওয়াল আ-খিরাহ’ (হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট দুনিয়া ও আখেরাতে ক্ষমা ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি)। আব্দুল্লাহ ইবনু ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সকালে ও সন্ধ্যায় এই দো‘আ পড়া ছাড়তেন না। [149]
(গ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ফজরের ছালাতের পর বলতেন,
اَللَّهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَافِعًا وَعَمَلاً مُّتَقَبَّلاً وَرِزْقًا طَيِّباً-
আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস’আলুকা ‘ইলমান নাফে‘আন, ওয়া ‘আমালাম মুতাক্বাববালান, ওয়া রিঝক্বান ত্বাইয়েবান’ (হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকটে উপকারী জ্ঞান, কবুলযোগ্য আমল ও পবিত্র রূযী প্রার্থনা করছি)।[150]
[149] . ইবনু মাজাহ হা/৩৮৭১।
[150] . আহমাদ, ইবনু মাজাহ, ত্বাবারাণী ছাগীর, মিশকাত হা/২৪৯৮, ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯, ‘সারগর্ভ দো‘আ’ অনুচ্ছেদ-৯।