(ক) يَا حَىُّ يَا قَيُّوْمُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيْثُ ‘ইয়া হাইয়ু ইয়া ক্বাইয়ূমু বিরাহমাতিকা আস্তাগীছ’ (হে চিরঞ্জীব! হে বিশ্বচরাচরের ধারক! আমি আপনার রহমতের আশ্রয় প্রার্থনা করছি)। আনাস বিন মালেক (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) যখন কোন দুঃখ বা সংকটের সম্মুখীন হতেন, তখন এই দো‘আটি পড়তেন। [123]
(খ) ভূমিকম্প বা যে কোন আকস্মিক বিপদে বলবে, لآ إِلَهَ اِلاَّ اللهُ লা ইলাহা ইল্লাল্লা-হ’ (নেই কোন উপাস্য আল্লাহ ব্যতীত)।[124] অথবা এর সাথে উপরের দো‘আটি পড়বে। অথবা বলবে,আল্লা-হুম্মা হাওয়া-লায়না অলা ‘আলায়না (হে আল্লাহ! আমাদের থেকে ফিরিয়ে নাও। আমাদের উপর দিয়ো না)। [125]
(গ) اَللَّهُمَّ إِنِّىْ أَعُوْذُبِكَ مِنْ جَهْدِ الْبَلاَءِ وَدَرَكِ الشَّقَاءِ وَسُوْءِ الْقَضَاءِ وَشَمَاتَةِ الْأَعْدَاءِ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন জাহদিল বালা-ই, ওয়া দারাকিশ শাক্বা-ই, ওয়া সূ’ইল ক্বাযা-ই ওয়া শামা-তাতিল আ‘দা-ই’।(হে আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি অক্ষমকারী বিপদের কষ্ট হ’তে, দুর্ভোগের আক্রমণ হ’তে, মন্দ ফায়ছালা হ’তে এবং শত্রুর খুশী হওয়া থেকে)। [126]
(ঘ) اَللَّهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ، وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ، وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ، وَجَمِيْعِ سَخَطِكَ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন যাওয়া-লি নি‘মাতিকা ওয়া তাহাউউলি ‘আ-ফিয়াতিকা ওয়া ফুজা-আতি নিক্বমাতিকা ওয়া জামী‘ই সাখাত্বিকা’ (হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি আমার থেকে আপনার নে‘মত চলে যাওয়া হ’তে, আপনার দেওয়া সুস্থতার পরিবর্তন হ’তে, আপনার শাস্তির আকস্মিক আক্রমণ হ’তে এবং আপনার যাবতীয় অসন্তুষ্টি হ’তে)।[127]
(ঙ) اَ للهُ اللهُ رَبِّي لاَ أُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا আল্লাহ আল্লাহ রব্বী লা উশরিকু বিহী শাইয়ান (আল্লাহ আল্লাহ আমার প্রতিপালক! আমি তার সাথে কোন কিছুকে শরীক করি না)’।[128]
[124] . তিরমিযী, মিশকাত হা/২৪৫৪, ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯, অনুচ্ছেদ-৭; ছহীহুল জামে‘ হা/৪৭৭৭; বায়হাক্বী হা/৩৫৯৮।
[125] . বুখারী হা/৯৩৩, ১০২১; আবুদাঊদ হা/১১৭৪; মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৫৯০২, অধ্যায়-২৯, অনুচ্ছেদ-৭ ।
[126] . মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/২৪৫৭, ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯, ‘আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা’ অনুচ্ছেদ-৮।
[127] . মুসলিম, মিশকাত হা/২৪৬১।
[128] . আবুদাঊদ হা/১৫২৫ ‘ছালাত’ অধ্যায়-২, ‘ইস্তিগফার’ অনুচ্ছেদ-৩৬১।