(ক) হাঁচি দিলে বলবে, اَلْحَمْدُ ِللهِ ‘আলহামদুলিল্লা-হ’ (আল্লাহর জন্য যাবতীয় প্রশংসা)। অথবা বলবে, اَلْحَمْدُ ِللهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ ‘আলহামদুলিল্লা-হি রবিবল ‘আ-লামীন’ (বিশ্বচরাচরের পালনকর্তা আল্লাহর জন্য যাবতীয় প্রশংসা)। [23] অথবা বলবে, اَلْحَمْدُ ِللهِ عَلَى كُلِّ حَالٍ ‘আলহামদুলিল্লা-হি ‘আলা কুল্লে হা-ল’ (সর্বাবস্থায় আল্লাহর জন্যই সকল প্রশংসা)।[24]
(খ) হাঁচির জবাবে বলবে, يَرْحَمُكَ اللهُ ‘ইয়ারহামুকাল্লা-হ’ (আল্লাহ আপনার প্রতি রহম করুন)।
(গ) হাঁচির জবাব শুনে বলবে, يَهْدِيْكُمُ اللهُ وَيُصْلِحُ بَالَكُمْ ‘ইয়াহদীকুমুল্লা-হু ওয়া ইউছলিহু বা-লাকুম’ (আল্লাহ আপনাকে (বা আপনাদেরকে) হেদায়াত করুন এবং আপনার (বা আপনাদের) সংশোধন করুন)।[25] অথবা বলবে, يَغْفِرُ اللهُ لِىْ وَلَكُمْ ‘ইয়াগফিরুল্লা-হু লী ওয়া লাকুম’ (আল্লাহ আমাকে ও আপনাকে (বা আপনাদেরকে) ক্ষমা করুন)।[26]
(ঘ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, যদি কেউ হাঁচির পরে ‘আলহামদুলিল্লা-হ’ না বলে, তাহ’লে তুমি তাকে ‘ইয়ারহামুকাল্লা-হ’ বলো না। [27]
(ঙ) যদি কোন অমুসলিম হাঁচি দেয়, তখন কোন মুসলিম তাকে ‘ইয়ারহামুকাল্লা-হ’ বলবে না। কেবল তাকে ‘ ইয়াহদীকুমুল্লা-হু ওয়া ইউছলিহু বা-লাকুম’ বলবে।[28]
(চ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ হাঁচি পসন্দ করেন এবং হাই তোলা অপছন্দ করেন। অতএব তোমাদের কেউ যখন হাঁচি দেয় এবং ‘আলহামদুলিল্লা-হ’ বলে, তখন যে মুসলিম তা শুনে, তার উপরে কর্তব্য হয়ে যায় ঐ ব্যক্তির উদ্দেশ্যে ‘ইয়ারহামুকাল্লা-হ’ বলে দো‘আ করা। তিনি বলেন, হাই তোলা শয়তানের পক্ষ থেকে হয়। অতএব যখন তোমাদের কেউ হাই তোলে, তখন সে যেন সাধ্যপক্ষে তা চাপা দেয়। কেননা তোমাদের কেউ হাই তুললে ও ‘হা’ করে মুখ খুলে শব্দ করলে শয়তান হাসে। [29] তিনি একথাও বলেছেন যে, তোমাদের যখন হাই আসে, তখন মুখে হাত দিয়ে তা চেপে রাখবে। নইলে শয়তান সেখানে ঢুকে পড়বে।[30]
(ছ) ছালাতের মধ্যে হাঁচি আসলে ‘আলহামদুলিল্লা-হ’ বলা যাবে। কিন্তু তার জওয়াবে মুখে ‘ইয়ারহামুকাল্লা-হ’ বলা যাবে না। [31]
[24] . তিরমিযী, দারেমী, হাকেম, মিশকাত হা/৪৭৩৯, ৪৭৪৪, অধ্যায়-২৫, অনুচ্ছেদ-৬।
[25] . বুখারী, মিশকাত হা/৪৭৩৩, অধ্যায়-২৫, অনুচ্ছেদ-৬।
[26] . তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৪৭৪১।
[27] . মুসলিম, মিশকাত হা/৪৭৩৫।
[28] . তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৪৭৪০।
[29] . বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৪৭৩২, অধ্যায়-২৫, অনুচ্ছেদ-৬।
[30] . মুসলিম, মিশকাত হা/৪৭৩৭। উল্লেখ্য যে, এ সময় ‘লা হাওলা অলা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ’ বলার কোন প্রমাণ নেই।
[31] . তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৯৯২; মুসলিম, মিশকাত হা/৯৭৮।