৫২. ক্বিয়ামুল লাইল (তাহাজ্জুদ সলাত) আদায় করা :
ক্বিয়ামুল লাইল বা রাতে দাঁড়িয়ে সলাত আদায় করা অর্থাৎ তাহাজ্জুদের সলাত আদায় করা খুবই ফযীলতের ‘আমল। এটি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নিয়মিত অভ্যাস ছিল। পরবর্তীকালে সাহাবী, তাবি‘ঈ, তাবে তাবি‘ঈ ও সালাফে সালিহীনের নিয়মিত ‘আমল ছিল। আর এটির অনেকগুলো উপকারিতার মধ্যে এটিও একটি যে, এই সলাত তার আদায়কারীর গুনাহ মাফের উপায় হয়। আবূ উমামাহ্ হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন :
عَلَيْكُمْ بِقِيَامِ اللَّيْلِ فَإِنَّه دَأْبُ الصَّالِحَيْنَ قَبْلَكُمْ وَهُوْ قَرْبَةٌ إِلٰى رَبِّكُمْ وَمُكَفِّرَةٌ لِّلسَّيِّئَاتِ وَمُنْهَاةً لِلْإِثْمِ
‘‘তোমরা ক্বিয়ামুল লাইল (রাতের সলাত/তাহাজ্জুদ) আদায় করো। নিশ্চয় এটি তোমাদের পূর্বেকার নেকাকার ব্যক্তিদের অভ্যাস। আর এটি তোমাদের রবের নৈকট্য অর্জনের মাধ্যম, গুনাহসমূহ মাফের উপায় ও গুনাহে লিপ্ত হওয়ার প্রতিবন্ধক।’’[1]
৫৩. যে কোন সময় দুই রাক্‘আত সলাত আদায় করা :
মক্কার বায়তুল্লাহ ত্বওয়াফ করার পর মাকামে ইবরাহীম-এর পাশে বা অন্য কোথাও যে কোন দুই রাক্‘আত সলাত পূর্বের গুনাহ মাফ করে দেয়। সা‘ঈদ ইবনু আবূ বুরদাহ্ হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি আমার পিতাকে বলতে শুনেছি যে,
أَنَّه شَهِدَ ابْنَ عُمَرَ وَرَجُلٌ يَمَانِىٌّ يَطُوفُ بِالْبَيْتِ حَمَلَ أُمَّه وَرَاءَ ظَهْرِه، يَقُولُ : إِنِّىْ لَهَا بَعِيرُهَا الْمُذَلَّلُ إِنْ أُذْعِرَتْ رِكَابُهَا لَمْ أُذْعَرِ ثُمَّ قَالَ : يَا ابْنَ عُمَرَ أَتُرَانِىْ جَزَيْتُهَا ؟ قَالَ : لَا، وَلَا بِزَفْرَةٍ وَاحِدَةٍ ثُمَّ طَافَ ابْنُ عُمَرَ ، فَأَتَى الْمَقَامَ فَصَلّٰى رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ قَالَ : يَا ابْنَ أَبِىْ مُوسٰى إِنَّ كُلَّ رَكْعَتَيْنِ تُكَفِّرَانِ مَا أَمَامَهُمَا
ইবনু ‘উমার একদিন জনৈক ইয়ামেনী যুবককে তার মাকে পিঠে নিয়ে ত্বওয়াফরত অবস্থায় দেখতে পেলেন। সে তখন নিমণরূপ কবিতা আবৃত্তি করছিল : ‘আমি তাঁর অনুগত উষ্ট্রের মতো। যদি তাঁর রেকাব (পা-দানী) দ্বারা আমি আঘাতপ্রাপ্ত হই, তবুও নিরুদ্বেগে তা সহ্য করে যাই।’ অতঃপর সে বলল : আমি কি আমার প্রতিদান দিতে পেরেছি বলে আপনি মনে করেন? তিনি বললেন : না, তাঁর একটি দীর্ঘশ্বাসের প্রতিদানও তো হয়নি! অতঃপর ইবন উমর ত্বওয়াফ করলেন এবং মাকামে ইবরাহীমে পৌঁছে দুই রাক্‘আত সলাত আদায় করলেন এবং বললেন : হে আবূ মূসার পুত্র! প্রত্যেক দুই রাক্‘আত সলাত পূর্ববর্তী পাপের জন্য কাফ্ফারা স্বরূপ।[2]
৫৪. গুনাহ করার পর সুন্দর করে উযূ করে দুই রাক্‘আত সলাত আদায় করে ইস্তিগফার করা :
‘আলী (রাঃ) বলেন, আমার নিকট আবূ বাকর (রাঃ) হাদীস বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন,
مَا مِنْ رَجُلٍ يُذْنِبُ ذَنْبًا ثُمَّ يَقُومُ فَيَتَطَهَّرُ ثُمَّ يُصَلِّىْ ثُمَّ يَسْتَغْفِرُ اللهَ إِلَّا غَفَرَ لَه ثُمَّ قَرَأَ هٰذِهِ الْآيَةَ وَالَّذِينَ إِذَا فَعَلُوا فَاحِشَةً أَوْ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ ذَكَرُوا اللهَ إِلٰى آخِرِ الْآيَةِ
‘‘কোন ব্যক্তি যদি গুনাহ করে, অতঃপর সেখান থেকে উঠে ভালোভাবে উযূ করে দুই রাক্‘আত সলাত আদায় করে এবং ঐ নির্দিষ্ট গুনাহ থেকে আল্লাহর কাছে মাফ চায় তাহলে আল্লাহ তাকে মাফ করে দেন।’’ তারপর রাসূলুল্লাহ (সা.) এ আয়াতটি তিলাওয়াত করলেন :
وَالَّذِينَ إِذَا فَعَلُوا فَاحِشَةً أَوْ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ ذَكَرُوا اللهَ
‘‘আর যারা কখনো কোন অশ্লীল কাজ করে ফেলে অথবা নিজদের প্রতি যুল্ম করে বসে এবং (পরক্ষণেই) আল্লাহকে স্মরণ করে...।’’[3]
৫৫. আল্লাহর জন্য সাজদাহ্ প্রদান :
সাজদাহ্ বিনয়ের সর্বোচ্চ প্রকাশ। তাই এই বিনয় প্রকাশক ভঙ্গিটি শুধু আল্লাহর জন্য নির্ধারিত। আর আল্লাহর সবচেয়ে কাছে যাওয়া যায় সাজদার মাধ্যমে। আবার এই সাজদার মাধ্যমে বান্দা তার গুনাহও মাফ পেতে পারেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন :
مَا مِنْ عَبْدٍ يَسْجُدُ لِلّٰهِ سَجْدَةً إِلَّا رَفَعَهُ اللهُ بِهَا دَرَجَةً وَحَطَّ عَنْهُ بِهَا خَطِيئَةً
‘‘যখনই কোন বান্দা আল্লাহর উদ্দেশে সাজদাহ্ করে, তখনই এতে আল্লাহ তা‘আলা তার দরজা উঁচু করে দেন এবং তার গুনাহ মাফ করে দেন।’’[4]
অন্য বর্ণনায় নাবী (সা.) বলেছেন :
عَلَيْكَ بِكَثْرَةِ السُّجُودِ لِلّٰهِ فَإِنَّكَ لَا تَسْجُدُ لِلّٰهِ سَجْدَةً إِلَّا رَفَعَكَ اللهُ بِهَا دَرَجَةًوَحَطَّ عَنْكَ بِهَا خَطِيئَةً
‘‘আল্লাহর উদ্দেশে অধিক সাজদাহ্ কর। কেননা, তুমি যখনই আল্লাহর উদ্দেশে একটি সাজদাহ্ করবে, তখন এ দিয়ে আল্লাহ তা‘আলা তোমার মর্যাদা এক ধাপ বাড়িয়ে দিবেন এবং তোমার একটি পাপ মোচন করে দিবেন।’’[5]
‘উবাদাহ্ ইবনুস্ সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছেন,
مَا مِنْ عَبْدٍ يَسْجُدُ لِلّٰهِ سَجْدَةً إِلَّا كَتَبَ اللهُ لَه بِهَا حَسَنَةً وَمَحَا عَنْهُ بِهَا سَيِّئَةً وَرَفَعَ لَه بِهَا دَرَجَةً فَاسْتَكْثِرُوا مِنْ السُّجُودِ
‘‘যখনই কোন বান্দা আল্লাহর উদ্দেশে সাজদাহ্ করে, তখনই এর বিনিময়ে আল্লাহ তা‘আলা তার ‘আমলনামায় একটি সাওয়াব লিখে দেন, তার একটি গুনাহ মাফ করে দেন এবং তার মর্যাদার একটি স্তর উঁচু করে দেন এবং অতএব তোমরা আল্লাহর উদ্দেশে অধিক সাজদাহ্ কর।’’[6]
৫৬. রমাযানে ‘ইবাদাত করা :
রমাযান ‘ইবাদাতের মৌসুম। বছরের সবচেয়ে ফযীলতের মাস। এই মাসে সিয়াম পালন, ক্বিয়ামুল লাইল (তারাবীহ/তাহাজ্জুদের সলাত) আদায়, দান-সদাক্বাহ্ ইত্যাদির মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের চেষ্টা করে। এই মাস গুনাহ মাফ পাওয়ারও মাস। এই মাসে বিভিন্ন ‘ইবাদাত, তাওবাহ্ ও দু‘আ করার মাধ্যমে জীবনের সকল গুনাহ মাফ করিয়ে নিতে হয়। এই মাসে গুনাহ মাফের অনেক উপলক্ষ রয়েছে। সেগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে গুনাহ থেকে মুক্ত না হতে পারাটা গুনাহগার বান্দার জন্য লজ্জাকর ও ক্ষতির কারণ। জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ বলেন,
أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ رَقَى الْمِنْبَرَ ، فَلَمَّا رَقَى الدَّرَجَةَ الْأُولٰى قَالَ : آمِينَ ، ثُمَّ رَقَى الثَّانِيَةَ فَقَالَ : آمِينَ ، ثُمَّ رَقَى الثَّالِثَةَ فَقَالَ : آمِينَ ، فَقَالُوا : يَا رَسُولَ اللهِ ، سَمِعْنَاكَ تَقُولُ : آمِينَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ ؟ قَالَ : لَمَّا رَقِيتُ الدَّرَجَةَ الْأُولٰى جَاءَنِىْ جِبْرِيلُ ﷺ فَقَالَ : شَقِىَ عَبْدٌ أَدْرَكَ رَمَضَانَ ، فَانْسَلَخَ مِنْهُ وَلَمْ يُغْفَرْ لَه” ، فَقُلْتُ : آمِينَ . ثُمَّ قَالَ : شَقِىَ عَبْدٌ أَدْرَكَ وَالِدَيْهِ أَوْ أَحَدَهُمَا فَلَمْ يُدْخِلَاهُ الْجَنَّةَ ، فَقُلْتُ : آمِينَ . ثُمَّ قَالَ : شَقِىَ عَبْدٌ ذُكِرْتَ عِنْدَه” وَلَمْ يُصَلِّ عَلَيْكَ ، فَقُلْتُ : آمِينَ
একদিন নাবী (সা.) মিম্বরে আরোহণ করলেন। যখন প্রথম সিঁড়িতে আরোহণ কররেন, তখন বললেন : আ-মীন! অতঃপর যখন দ্বিতীয় সিঁড়িতে আরোহণ করলেন এবং বললেন, আ-মীন! অতঃপর তৃতীয় সিঁড়িতে আরোহণ করলেন এবং বললেন : আ-মীন! তখন সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আজ আমরা আপনাকে তিনবার ‘আ-মীন’ বলতে শুনলাম, এর অর্থ কী? তিনি বললেন, যখন আমি প্রথম সিঁড়িতে আরোহণ করলাম তখন জিব্রাঈল (আ.) আসলেন এবং বললেন, দুর্ভাগ্য হোক সেই ব্যক্তির যে রমাযান পেল এবং ওটা অতিক্রান্ত হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও তার মাগফিরাত (গুনাহ মাফ) হয়নি। আমি বললাম, আ-মীন! অতঃপর তিনি বললেন দুর্ভাগ্য হোক সেই ব্যক্তির যে তার পিতামাতা উভয়কে অথবা তাঁদের যে কোন একজনকে পেল, অথচ তারা তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাল না। আমি বললাম, আ-মীন! অতঃপর বললেন, দুর্ভাগ্য হোক সেই ব্যক্তির যার সম্মুখে আপনার প্রসঙ্গ উত্থাপিত হল অথচ সেই ব্যক্তি আপনার প্রতি সলাত আদায় করল না। আমি বললাম, আ-মীন।[7]
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) বলেন,
أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ رَقَى الْمِنْبَرَ فَقَالَ : آمِينَ ، آمِينَ ، آمِينَ ، قِيلَ لَه : يَا رَسُولَ اللهِ ، مَا كُنْتَ تَصْنَعُ هٰذَا ؟ فَقَالَ : قَالَ لِىْ جِبْرِيلُ : رَغِمَ أَنْفُ عَبْدٍ أَدْرَكَ أَبَوَيْهِ أَوْ أَحَدَهُمَا لَمْ يُدْخِلْهُ الْجَنَّةَ ، قُلْتُ : آمِينَ . ثُمَّ قَالَ : رَغِمَ أَنْفُ عَبْدٍ دَخَلَ عَلَيْهِ رَمَضَانُ لَمْ يُغْفَرْ لَه فَقُلْتُ : آمِينَ . ثُمَّ قَالَ : رَغِمَ أَنْفُ امْرِئٍ ذُكِرْتَ عِنْدَه” فَلَمْ يُصَلِّ عَلَيْكَ ، فَقُلْتُ : آمِينَ
একদিন নাবী (সা.) মিম্বরে আরোহণ করলেন এবং বললেন, আ-মীন! আ-মীন!! আ-মীন!!! তাঁকে জিজ্ঞেস করা হল, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি এটা কি করলেন? জবাবে বললেন : ধুলায় ধূসরিত হোক তার নাক যে ব্যক্তি তার পিতামাতা দু’জনকে বা তাঁদের কোন একজনকে পেল অথচ তারা তার জান্নাতে প্রবেশের কারণ হল না! আমি বললাম : আ-মীন (অর্থাৎ তাই হোক)। অতঃপর (দ্বিতীয়বার) তিনি বললেন : ধূলায় ধূসরিত হোক তার নাক যে রমাযান মাস পেল অথচ তার মাগফিরাত হল না, আমি বললাম : আ-মীন! অতঃপর জিব্রীল পুনরায় বললেন, ধূলায় ধূসরিত হোক তার নাক যার সম্মুখে আপনার প্রসঙ্গ উত্থাপিত হল অথচ সে আপনার প্রতি সলাত আদায় করল না। তখনও আমি বললাম : আ-মীন।[8]
৫৭. ‘উমরাহ্ করা :
‘উমরাহ্ করলে পাপ মাফ হয়ে যায়। নাবী (সা.) বলেছেন :
الْعُمْرَةُ إِلَى الْعُمْرَةِ كَفَّارَةٌ لِمَا بَيْنَهُمَا وَالْحَجُّ الْمَبْرُورُ لَيْسَ لَه جَزَاءٌ إِلَّا الْجَنَّةُ
‘‘একটি ‘উমরাহ্ পরবর্তী ‘উমরাহ্ পর্যন্ত ঐ দুয়ের মধ্যবর্তী সময়ে কৃত পাপরাশির জন্য কাফফারাহ্ (মোচনকারী) হয়। আর ‘মাবরূর’ (বিশুদ্ধ বা গৃহীত) হাজ্জের প্রতিদান জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নয়।’’[9]
৫৮. হাজ্জের জন্য যাওয়ার বাহনের পা উঠানামা করা :
হাজ্জে যাওয়ার বাহন যদি পশু হয় তাহলে সেই পশুর প্রতি কদমে হাজীর গুনাহ মাফের সুযোগ রয়েছে। ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমার থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নাবী (সা.)-কে বলতে শুনেছি,
مَا يَرْفَعُ إِبِلُ الْحَاجِّ رِجْلًا وَلَا يَضَعُ يَدًا إِلَّا كَتَبَ اللهُ لَه بِهَا حَسَنَةً أَوْ مَحَا عَنْهُ سَيِّئَةً أَوْ رَفَعَه بِهَا دَرَجَةً
‘‘হাজীর উটের (প্রত্যেকবার) পা উঠানামার বিনিময়ে আল্লাহ তা‘আলা হাজীর ‘আমলনামায় একটি করে সাওয়াব লিখেন অথবা তার ‘আমলনামা থেকে একটি গুনাহ মোচন করেন কিংবা এর মাধ্যমে তিনি তার মর্যাদা উন্নীত করেন।’’[10]
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন :
فَإِنَّكَ إِذَا خَرَجْتَ مِنْ بَيْتِكَ تَؤُمُّ الْبَيْتَ الْحَرَامَ لَا تَضَعُ نَاقَتُكَ خَفَا وَلَا تَرْفَعَه إِلَّا كَتَبَ اللهُ لَكَ بِه حَسَنَةٌ وَمَحَا عَنْكَ خَطِيْئَةً
‘‘যখন তুমি (হাজ্জ করার জন্য) বাইতুল্লাহিল হারাম-এর উদ্দেশে তোমার বাড়ি থেকে বের হবে তখন থেকেই তোমার উট যতবারই তার পা উঠানামা করে তার প্রতিটির বিনিময়ে আল্লাহ তোমার জন্য একটি সাওয়াব লেখেন এবং একটি গুনাহ মুছে দেন।’’[11]
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন :
فَإِنَّ لَكَ مِنَ الْأَجْرِ إِذَا أَمَّمْتَ الْبَيْتَ الْعَتِيْقَ أَلَّا تَرْفَعَ قَدَمًا أَوْ تَضَعَهَا أَنْتَ وَدَابَّتُكَ إِلَّا كُتِبَتْ لَكَ حَسَنَةً وَرُفِعَتْ لَكَ دَرَجَةً
‘‘যখন তুমি (হাজ্জ করার জন্য) বাইতুল ‘আতীক্ব (কা‘বাহ্)-এর উদ্দেশে বের হবে তখন থেকেই তুমি ও তোমার বাহন (পশু) যতবারই তার পা উঠানামা করে তার প্রতিটির বিনিময়ে তোমার জন্য একটি সাওয়াব লেখা হয় এবং একটি মর্যাদার স্তর উন্নীত করা হয়।’’[12]
[2]. আছারটি সহীহ; আল আযরাকী, আখবারে মাক্কাহ, খ. ১, পৃ. ৩১২; আলবানী তাখরীজ আল আদাব আল মুফরাদ গ্রন্থে বর্ণনাটিকে সহীহ বলেছেন, হাদীস নং ১১।
[3]. সূরা আ-লি ‘ইমরা-ন ০৩ : ১৩৫; সুনান আবূ দাঊদ : ১৫২৩, জামি‘ আত্ তিরমিযী : ৩০০৬, সুনান ইবনু মাজাহ : ১৩৯৫, সহীহ আল জামি‘ : ৫৭৩৮, হাদীসটি সহীহ।
[4]. জামি‘ আত্ তিরমিযী : ৩৮৮, হাদীসটি সহীহ।
[5]. জামি‘ আত্ তিরমিযী : ৩৮৮, হাদীসটি সহীহ।
[6]. সুনান ইবনু মাজাহ : ১৪২৪, হাদীসটি সহীহ।
[7]. আদ্ দুর্ আল মানসুর, খ. ৬, পৃ. ৬৫১; হাদীসটি সহীহ।
[8]. আল আদাবুল মুফরাদ : ৬৪৬; হাদীসটির সনদ হাসান সহীহ।
[9]. সহীহুল বুখারী : ১৭৭৩; সহীহ মুসলিম : ৩৩৫৫।
[10]. শু‘আবুল ঈমান : ৪১১৬।
[11]. সহীহুত তারগীব ওয়াত তারহীব : ১১১২, হাদীসটি হাসান লিগাইরিহী।
[12]. আল মু‘জামুল আওসাত : ২৩২০, হাদীসটি হাসান লিগাইরিহী।