গুনাহ মাফের উপায় দ্বিতীয় অধ্যায় : গুনাহ মাফের উপায় শাহাদাৎ হুসাইন খান ফয়সাল (রহ.) ১ টি
১১. শির্কমুক্ত থেকে সাধ্যানুযায়ী ‘আমল করা

শির্কমুক্ত ঈমান ও ‘আমলের গুরুত্ব সর্বাধিক। ঈমান ও ‘আমলের কোথাও সামান্য শির্ক থাকলে আল্লাহ তা বরদাশত করবেন না। কিন্তু তিনি অন্য সকল কিছু মাফ করবেন বলে তিনি কুরআনেও ঘোষণা দিয়েছেন যা পূর্বে বিস্তরিত দলীলসহ আলোকপাত করা হয়েছে। শির্কমুক্তভাবে যতটুকু ‘আমল করা হবে তা-ই আল্লাহর ক্ষমা পাওয়ার জন্য যথেষ্ট। তাই শির্ক থেকে মুক্ত থেকে সাধ্যানুযায়ী ‘আমল করে যাওয়াই মু’মিনের দায়িত্ব। হাদীসে কুদসীতে এসেছে, আল্লাহ তা‘আলা বলেন :

يَا ابْنَ آدَمَ مَهْمَا عَبَدَتَنِي وَرَجَوْتَنِي وَلَمْ تُشْرِكْ بِي شَيْئًا غَفَرْتُ لَكَ عَلٰى مَا كَانَ مِنْكَ وَإِنِ اسْتَقْبَلْتَنِيِ بِمِلْءِ السَّمَاءِ والْأَرْضِ خَطَايَا وَذُنُوبًا اسْتَقْبَلْتُكَ بِمِلْئِهِنَّ مِنَ المَغْفِرَةِ وَأَغْفِرُ لَكَ وَلَا أُبَالِي

‘‘হে আদম সন্তান! তুমি আমার যতটুকুই ‘ইবাদাত করো এবং ভালো আশা করো যদি তুমি আমার সাথে কোনো কিছুকে অংশী স্থাপন না করো তাহলে তোমার ‘আমল যা-ই হোক না কেন তোমাকে আমি ক্ষমা করে দেবো। তুমি যদি আসমান ও জমিন ভরা অপরাধ ও গুনাহ নিয়ে আমার সামনে উপস্থিত হও তাহলে আমিও আসমান ও জমিন ভরা ক্ষমা নিয়ে তোমার সামনে উপস্থিত হবো এবং আমি তোমাকে ক্ষমা করে দেবো, এতে আমি কাউকে পরোয়া করি না।’’[1]

অন্য একটি হাদীসে কুদসীতে আল্লাহ তা‘আলা বলেন :

مَنْ عَلِمَ أَنِّىْ ذُوْ قَدْرَةٍ عَلٰى مَغْفِرَةٍ الذُّنُوْبِ غَفَرْتُ لَه وَلَا أُبَالِىْ مَا لَمْ يُشْرِكْ بِىْ شَيْئًا

‘‘যে ব্যক্তি জানলো ও বিশ্বাস করলো যে আমি গুনাহ মাফ করার ক্ষমতা রাখি এবং আমার সাথে কোন কিছুকে শরীক স্থাপন করলো না তাহলে আমি তাকে ক্ষমা করে দিবো, এ ক্ষেত্রে আমি কারও পরোয়া করবো না।’’[2]

[1]. সহীহ আল জামি : ৪৩৪১, হাদীসটি সহীহ।

[2]. সহীহ আল জামি‘ : ৪৩৩০, হাদীসটি সহীহ।