গুনাহ মাফের উপায় দ্বিতীয় অধ্যায় : গুনাহ মাফের উপায় শাহাদাৎ হুসাইন খান ফয়সাল (রহ.) ১ টি

গতানুগতিকভাবে শুধু গদবাধা তাওবার বাক্য পাঠ করলেই তাওবাহ্ করা হয় না। তাওবাহ্ করা মানে ফিরে আসা। তাই তাওবাহ্ করতে হবে খাঁটি, বিশুদ্ধ ও সত্যিকারের তাওবাহ্। মহান আল্লাহ বান্দাকে সত্যিকারের তাওবাহ্ করতে বলেছেন,

﴿يٰۤاَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا تُوبُوا إِلَى اللهِ تَوْبَةً نَصُوحًا﴾

‘‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর কাছে তাওবাহ্ কর, খাঁটি তাওবা।’’[1]

‘উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) ‘‘তাওবাতুন্ নাসূহ’’-এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন এভাবে যে,

اَلتَّوْبَةُ النَّصُوْحُ أَنْ يَّتُوْبَ مِنَ الذَّنْبِ ، ثُمَّ لَا يَعُوْدُ إِلَيْهِ ، كَمَا لَا يَعُوْدُ اللَّبَنُ فِى الضَّرْعِ

‘‘তাওবাতুন্ নাসূহ’’ হলো গুনাহ থেকে এভাবে ফিরে আসা যাতে আর কখনো সেদিকে ফিরে না যায় যেমনিভাবে দুধ দোহন করার পর আর তা ফিরিয়ে দেয়া যায় না।’’[2]কৃত গুনাহ থেকে সম্পূর্ণ বিরত হয়ে তার জন্য লজ্জিত হয়ে ভবিষ্যতে আর না করার দৃঢ় সংকল্প করে যে তাওবাহ্ করা হয় তাকেই ‘‘তাওবাতুন্ নাসূহ’’ বা সত্যিকারের তাওবাহ্ বা খাঁটি তাওবাহ্ বলে।

[1] সূরা আত্ তাহরীম ৬৬ : ৮।

[2]. ফায়সাল বিন ‘আবদুল ‘আযীয আলে মুবারক, তাতরীয রিয়াদুস্ সালিহীন, তাহকীক : ড. ‘আবদুল ‘আযীয বিন ‘আবদুল্লাহ বিন ইবরাহীম আলে হাম্দ, রিয়াদ : দারম্নল আসিমাহ, ১৪২৩ হি., পৃ. ২০।