স্পষ্ট সালাফদের (পূর্ববর্তী নেকলোক) বিরোধী হওয়া সত্ত্বেও নিজেদেরকে তাদের অনুসারী দাবি করা।
.........
ব্যাখ্যা: সব ইয়াহুদী-খ্রিষ্টান ও ইসলামের দিকে সম্পৃক্তকারী ভ্রষ্টদের প্রত্যেকেই দাবি করে যে, তারা পূর্ববর্তী মু’মিনদের অনুসারী। ইয়াহুদীরা দাবি করে, তারা মূসা আলাইহিস সালাম ও তার দলবলের অনুসরণ করে। আর খ্রিষ্টানদের দাবি, তারা ঈসা আলাইহিস সালাম ও তার অনুসারীদের অনুসরণ করে। আর মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ভ্রষ্ট উম্মত দাবি করে, তারা পূর্ববর্তী ছাহাবী, তাবেয়ী ও তাদের অনুসারীদের অনুসরণ করে। অথচ সালাফদের রীতির উপর তারা প্রতিষ্ঠিত নয়।
যারা নিজেদেরকে সালাফী দাবি করে, তাদের এ দাবি তখনই সঠিক হবে যখন তাদের নিকট সালফে-সালেহীনদের রীতি বহাল থাকবে। যদি তাদের রীতি অনুযায়ী আমল হয়, তাহলেই তা হবে সালাফী পন্থা। অন্যাথায়, তা হবে সালাফী রীতি বিরোধী। যদিও তাদের অনুসারীরা সালাফী দাবি করে থাকে।
আজকাল প্রত্যেক ভ্রষ্ট দলই দাবি করে, তারা সালাফী মূলনীতির উপর বহাল আছে। কিন্তু তারা সালাফী পন্থার উপর বহাল নেই। কেননা, সালাফীরীতি হচ্ছে,
من كان على مثل ما أنا عليه وأصحابي
আমি ও আমার ছাহাবীগণের রীতির উপর যারা অটল থাকে।[1] এ রীতি সংরক্ষণে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথা অনুযায়ী তারা আমল করে না। এ হাদীছের কথা অনুয়ায়ী আমল হলেই তা হবে সালাফী রীতি। আর এ কথার বিরোধী আমল হলে তা সালাফী পন্থা বলে গণ্য হবে না। যদিও বিরোধী বিষয়কে সালাফী রীতি দাবি করা হয়। দাবি উত্থাপনের মাঝে কোন শিক্ষা নেই। বাস্তবতার মাঝেই শিক্ষা আছে। অনেকেই নিজেদেরকে সালাফী দাবি করে। কিন্তু সালফে-সালেহীনদের রীতির উপর বহাল থাকা তাদের জন্য আবশ্যক। আমল যদি সালাফী রীতির অনুকূলে হয় তবেই তা হক্ব বলে গণ্য হবে। সালফে-সালেহীনদের রীতি বিরোধী হলে তা হক্ব নয়। অনুরূপভাবে যারা নিজেদেরকে চার মাযহাবের সাথে সম্পৃক্ত করে চার ঈমামের আক্বীদার বিরোধিতায় লিপ্ত হয়। তাদের এ সম্পৃক্ত হওয়া সঠিক নয়। কেননা, তারা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আক্বীদার বিপরীত আমল করে।