ব্যাখ্যা: আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

(فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ) [الكوثر: 2]

তোমার রবের উদ্দেশ্যই ছ্বলাত পড় এবং রক্ত প্রবাহিত কর (সূরা কাওছার ১০৮:২)। তিনি আরোও বলেন,

(مِلَّةَ إِبْرَاهِيمَ حَنِيفاً وَمَا كَانَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ قُلْ إِنَّ صَلاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ) [الأنعام: 161-162]

ইবরাহীমের আদর্শ ছিল একনিষ্ঠ এবং সে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিল না। বল, নিশ্চয় আমার ছ্বলাত, আমার কুরবানী, আমার জীবন ও আমার মৃত্যু আল্লাহর জন্য, যিনি জগতসমূহের রব (সূরা আল আন‘আম ৬:১৬১,১৬২)।

সুতরা বুঝা গেল যবেহ করা আল্লাহর ইবাদত।

কবরের নিকটে যবেহ করা: কবরের সম্মানের উদ্দেশ্যে যবেহ করা বড় শিরক। আল্লাহর সম্মানার্থে শরী‘আত সম্মত মনে করে কবরের নিকটে যবেহ করা বিদ‘আত এবং এটা শিরকের মাধ্যম। তাই কবরের নিকটে যবেহ করা বৈধ নয়। যদিও কবরের নিকট যবেহে বিশ্বাস পোষণ করা হয় না, কেবল আল্লাহর উদ্দেশ্যেই যবেহ করা হয়, তবুও কবরের পাশে যবেহ করা যাবে না। কেননা, কবরের পাশে পশু যবেহে মানুষ অভ্যস্ত হলে আল্লাহ তা‘আলা ব্যতীত তারা কবরের ইবাদতের দিকে ঝুকে পড়বে। অনুরূপভাবে জিনের অনিষ্ট থেকে বাঁচার জন্য তার উদ্দেশ্যে যবেহ করা অথবা তার মাধ্যমে চিকিৎসা গ্রহণ করা শিরক।

অপরদিকে খাওয়ার উদ্দেশ্যে অথবা মেহমানকে সম্মান করা এবং আল্লাহর নাম নিয়ে পশু যবেহ করাতে কোন অসুবিধা নেই। কেননা, এটা মানুষের অভ্যাস, যা (সাধরণত) ইবাদত নয়। পক্ষান্তরে, কুরবানী ও আক্বীকার পশু এবং ইবাদতের উদ্দেশ্যে যে পশু যবেহ করা হয়, তা আল্লাহ তা‘আলার ইবাদত হিসাবে গণ্য। কোন সৃষ্টির সম্মান অথবা তার ইবাদতের সম্মানের উদ্দেশ্যে যবেহ করা যাবে না এবং কোন মানুষের কবরের নিকটেও যবেহ করা যাবে না। কেননা, এটা ঐ কবরের ইবাদতের দিকে ধাবিত করে।

দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১ পর্যন্ত, সর্বমোট ১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে