নিজ মাযহাবের পক্ষপাতিত্ব করা। যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
(وَلا تُؤْمِنُوا إِلَّا لِمَنْ تَبِعَ دِينَكُمْ) [آل عمران: 73]
আর তোমরা কেবল তাদেরকে বিশ্বাস কর, যারা তোমাদের দীনের অনুসরণ করে (সূরা আলে-ইমরান ৩:৭৩)।
........................................
ব্যাখ্যা: কোন জিনিসের জঘন্যতম পক্ষপাতিত্ব হলো মিথ্যা জানা সত্ত্বেও তা আঁকড়ে ধরা। জাহিলী সমস্যা হলো মিথ্যা মতের পক্ষ অবলম্বন করা। এ কারণে ইয়াহুদীরা বলেছিল,
(وَلا تُؤْمِنُوا إِلَّا لِمَنْ تَبِعَ دِينَكُمْ) [آل عمران: 73]
আর তোমরা কেবল তাদেরকে বিশ্বাস কর, যারা তোমাদের দীনের অনুসরণ করে (সূরা আলে-ইমরান ৩:৭৩)। অন্য আয়াতে আছে,
(نُؤْمِنُ بِمَا أُنْزِلَ عَلَيْنَا) [البقرة: 91]
আমাদের প্রতি যা নাযিল হয়েছে আমরা তা বিশ্বাস করি (সূরা আল-বাক্বারাহ ২:৯১)। অর্থাৎ কেবল আমাদের নাবীগণের উপর (যা নাযিল হয়েছে)।
আল্লাহ তা‘আলা নাবীগণের উপর যা নাযিল করেছেন তার প্রতি ঈমান আনা ওয়াজীব। অথচ নাবীগণের উপর যা নাযিল করা হয়েছে তারা তা বিশ্বাস করে না। এ কারণে আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
(فَلِمَ تَقْتُلُونَ أَنْبِيَاءَ اللَّهِ) [البقرة: 91]
বল, তবে কেন তোমরা আল্লাহর নাবীদেরকে পূর্বে হত্যা করতে, যদি তোমরা মুমিন হয়ে থাক? (সূরা আল-বাক্বারাহ ২:৯১)।
অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের উপর যা নাযিল করেছেন তাতে কি নাবীগণকে হত্যার কথা আছে, যা তোমরা করো?
আর এ কারণে বিভিন্ন মাযহাবপন্থীরা দলীল ছাড়াই তাদের মাযহাবের পক্ষপাতিত্ব করে। তাই হক্ব নিজের মাযহাব অথবা অন্যের মাযহাবে থাকুক সাধারণ মুসলিম ও শিক্ষার্থীর উপর তা অনুসরণ ওয়াজীব।
যে মাযহাবে সঠিক ও ভুল দুটোই রয়েছে আমরা তার সবই গ্রহণ করবো না। বরং আমরা সঠিকটাই গ্রহণ করবো এবং ভুল অংশ পরিত্যাগ করবো। কেউ হাম্বলী মাযহাবের অনুসারী হলে মালেকী বা হানাফী বা শাফেয়ী মাযহাবে সঠিক মাস‘আলা পেলে তা গ্রহণ করবে, হোক তা নিজের মাযহাবের বিরোধী।
কেননা, এখানে উদ্দেশ্যে হলো হক্ব গ্রহণ করা, আর যে শিক্ষায় দলীল বিদ্যমান তা আহলুল ইলম বা বিদ্বানগণের গ্রহণ করা ওয়াজীব। আর যদি কেউ বিদ্বান না হয়, তাহলে কোন নির্ভরযোগ্য আহলুল ইলম বা বিদ্বানের নিকট জেনে নেয়া আবশ্যক। তারা যে ফাতওয়া দিবেন তা গ্রহণ করবে, এটাই সঠিক পন্থা। অপর দিকে মাযহাব হক্ব অথবা বাতিল যাই হোক তার পক্ষপাতিত্ব করা জাহিলী রীতি। যেমনভাবে আল্লাহ তা‘আলা ইয়াহুদীদের ব্যাপারে উল্লেখ করেছেন।