প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে জাহিলরা হক্ব স্বীকার করে। যেমনভাবে আল্লাহ তা‘আলা পূর্বের আয়াতে উল্লেখ করেন।
ব্যাখ্যা: জাহিলী রীতি হলো কেবল হক্বকে প্রতিহত করার উদ্দেশ্যে তারা তার স্বীকৃতি দেয়, আনুগত্যের উদ্দেশ্যে নয়। যেমনভাবে ইয়াহুদীরা স্বীকৃতি দিয়েছিল। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
(آمِنُوا بِالَّذِي أُنْزِلَ عَلَى الَّذِينَ آمَنُوا وَجْهَ النَّهَارِ وَاكْفُرُوا آخِرَهُ لَعَلَّهُمْ يَرْجِعُونَ) [آل عمران: 72]
আর কিতাবীরা একদল বলে, মুমিনদের উপর যা অবতীর্ণ করা হয়েছে, তোমরা তার প্রতি দিনের প্রথম ভাগে ঈমান আন, আর শেষ ভাগে তা কুফরী কর (সূরা আলে-ইমরান ৩:৭২)। এ বিষয়ে পূর্বে আলোচনা করা হয়েছে।
শত্রুদের মধ্যে যারা মুসলিমদের মধ্যে গোপনে প্রবেশ করে, তাদের এ ষড়যন্ত্রের বর্ণনা মুসলিমদের নিকট দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। শত্রুরা প্রকাশ্যে হক্ব গ্রহণের স্বীকৃতি দিয়ে ইসলামের পরিবর্তন ও ফাসাদ সৃষ্টি করতে চায়।
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে এমনটা ঘটেছিল। বর্তমান সময় পর্যন্ত তা ঘটেই চলছে, আল্লাহ তা‘আলা যতদিন চান চলবে। ইসলামের শত্রুরা গোপনে ইসলামে প্রবেশ করে, মুসলিমদের মাঝে বিশৃঙ্খলা, সন্দেহ, কালিমার বিভক্তি, তাদের মাঝে শত্রুতা ও তাদেরকে দলে দলে বিভক্ত করার জন্যই ইসলাম পালন করছে। এটাই শত্রুদের কৌশল ও ষড়যন্ত্র।
এ জঘন্য ষড়যন্ত্র সম্পর্কে মুসলিমদের উপর আবশ্যক হলো সতর্ক হওয়া এবং প্রত্যেক উদ্যমী ব্যক্তির প্রতি আস্থাভাজন না হওয়া। বরং মানুষকে যাচাই বাছাই এবং গভীরভাবে পরখ করে দেখাও তাদের উপর আবশ্যক। আর মানুষের সততা প্রমাণিত হলে তখনই তাদেরকে বিশ্বাস করবে।