বাতিল কিতাবাদি রচনা করে সেগুলো আল্লাহর দিকে সম্বন্ধিত করা

জাহিলরা বাতিল কিতাবাদী রচনা করে তা আল্লাহর কিতাবের দিকে সম্বোধন করে। আল্লাহ তা‘আলার বাণী:

(فَوَيْلٌ لِلَّذِينَ يَكْتُبُونَ الْكِتَابَ بِأَيْدِيهِمْ ثُمَّ يَقُولُونَ هَذَا مِنْ عِنْدِ اللَّهِ) [البقرة: 79]

সুতরাং ধ্বংস তাদের জন্য যারা নিজ হাতে কিতাব লিখে। তারপর বলে, এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে (সূরা আল বাক্বারাহ ২:৭৯)।

................................................

ব্যাখ্যা: ইয়াহুদীদের দ্বারা ক্ষতিসমূহ: ইয়াহুদীরা নিজ হাতে লিখে কিতাব রচনা করেছে। আর তাতে বাতিল বিষয় বৃদ্ধি করে বলে, এটা আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ থেকে এসেছে। যাতে তারা মানুষের নিকট থেকে এর বিনিময় অর্জন করতে পারে অথবা এসব রচিত কিতাব বাজারে বিক্রি করে প্রচুর সম্পদ অর্জন করতে পারে।

ভ্রান্ত কিতাবাদী রচনা করা এবং মানুষের মাঝে এর প্রচলন ঘটানোই ইয়াহুদীদের পেশা। উম্মতে মুহাম্মাদীর মাঝেও তাদের সাদৃশ্য অবলম্বনকারী কিছু অনুসারী আছে।

দীনি ইলম-জ্ঞান লেখার সময় আলিমের জন্য আবশ্যকীয় বিষয়:

আল্লাহ তা‘আলার প্রতি ভয় রাখা, কুরআন ও সুন্নাহ বিরোধী কোন কিছু না লেখা। কেননা তার লিখনী সম্পর্কে কিয়ামতের দিন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তাই যা কিছু কুরআন ও সুন্নাহর অনুকূলে হয়, তা কিতাব, রচনা ও ফাতওয়ায় লিপিবদ্ধ করবে। আর কোন কিছু নিজে থেকে ও কু-প্রবৃত্তির অনুসরণ করে লিখে বলবে না যে, এটা শরী‘আতে আছে অথবা এটাই শরী‘আত।

বর্তমানে অধিকাংশ কিতাব অথবা লিখনী অথবা বাতিল ভ্রান্ত ফাতওয়া ইসলামের নাম ব্যবহার করে রচনা করা হয়। এটা ইয়াহুদীদের কর্মের মতই। যে মুসলিম কিছু লিখতে বা রচনা করতে চায় অথবা ফাতওয়া প্রদান করতে চায়, তাকে এ ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে, আল্লাহর নির্দিষ্ট সীমা লঙ্ঘন করা যাবে না, আল্লাহকে ভয় করতে হবে এবং হক্বের জন্যই লিখতে হবে যদিও মানুষ তা অপছন্দ করে।

দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১ পর্যন্ত, সর্বমোট ১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে