বান্দার একথা জেনে রাখা উচিত যে, তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কিত যাবতীয় ঘটনাবলী সম্পর্কে আল্লাহ পূর্ব হতে অবহিত। অতএব, তিনি সেটাকে অকাট্য ও অবিচল তাকদীর হিসাবে নির্ধারণ করেছেন। আসমান ও যমীনের কোনো মাখলুক এটাকে বানচালকারী অথবা এর বিরোধিতাকারী নেই, অনুরূপ একে কেউ অপসারণ অথবা পরিবর্তন করতে পারবে না, একে সংকোচন কিংবা পরিবর্ধনও করতে পারবে না।

ইমাম ত্বহাবী রহিমাহুল্লাহ বলেন,

وَعَلَى الْعَبْدِ أَنْ يَعْلَمَ أَنَّ اللَّهَ قَدْ سَبَقَ عِلْمُهُ فِي كُلِّ كَائِنٍ مِنْ خَلْقِهِ، فَقَدَّرَ ذَلِكَ تَقْدِيرًا مُحْكَمًا مُبْرَمًا، لَيْسَ فِيهِ نَاقِضٌ، وَلَا مُعَقِّبٌ وَلَا مُزِيلٌ وَلَا مُغَيِّرٌ وَلَا نَاقِصٌ وَلَا زَائِدٌ مِنْ خَلْقِهِ فِي سَمَاوَاتِهِ وأرضه

বান্দার একথা জেনে রাখা উচিত যে, তার ভবিষ্যৎ সম্পর্কিত যাবতীয় ঘটনাবলী সম্পর্কে আল্লাহ পূর্ব হতে অবহিত। অতএব, তিনি সেটাকে অকাট্য ও অবিচল তাকদীর হিসাবে নির্ধারণ করেছেন। আসমান ও যমীনের কোনো মাখলুক এটাকে বানচালকারী অথবা এর বিরোধিতাকারী নেই, অনুরূপ একে কেউ অপসারণ অথবা পরিবর্তন করতে পারবে না, একে সংকোচন কিংবা পরিবর্ধনও করতে পারবে না।

.................................................................

ব্যাখ্যা: ইতিপূর্বে অতিক্রান্ত হয়েছে যে, আল্লাহ তা‘আলা তার সকল সৃষ্টি সম্পর্কে পূর্ব হতেই অবগত। আল্লাহ তা‘আলা সৃষ্টিসমূহ অস্তিত্বে আনয়ন করার আগেই তাকদীর নির্ধারণ করেছেন। রসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

«قدر اللَّهُ مَقَادِيرَ الْخَلاَئِقِ قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ بِخَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ قَالَ: وَكان عَرْشُهُ عَلَى الْمَاءِ»

‘‘আল্লাহ্ তা‘আলা আসমান ও যমীন সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বছর পূর্বে সমস্ত মাখলুকের তাকদীর লিখে দিয়েছেন। তখন তার আরশ ছিল পানির উপর’’।[1]

সুতরাং বান্দার জেনে রাখা আবশ্যক যে, আল্লাহ তা‘আলা সকল সৃষ্টি সম্পর্কে অবগত রয়েছেন। যে সময় যা সৃষ্টি হবে বলে তিনি অবগত আছেন, তা যথাসময়ে সৃষ্টি হবে। তার পরিপূর্ণ হেকমতের দাবি অনুযায়ীই সবকিছু যথাসময়ে অস্তিত্বে আসবে। সুতরাং সবকিছুই তার অনাদি-অনন্ত ইলম অনুপাতেই সংঘটিত হবে। কেননা সৃষ্টিজগতের বিস্ময়কর সৃষ্টিসমূহ দেখে নিশ্চিতভাবেই অবগত হওয়া যায় যে, তা ঐ এক মহাজ্ঞানী দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে, যিনি পূর্ব থেকে এগুলো সৃষ্টি করার জ্ঞান রাখেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,

أَلَا يَعْلَمُ مَنْ خَلَقَ وَهُوَ اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ

‘‘যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনি কি জানবেন না? অথচ তিনি সুক্ষ্মদর্শী ও সব বিষয় অবগত’’ (সূরা আল মূলক ৬৭:১৪)।

মুতাযেলা সম্প্রদায় আল্লাহ তা‘আলার অনাদি-অনন্ত-অবিনশ্বর ইলমকে অস্বীকার করে। তারা বলেছে যে, আল্লাহ তা‘আলা বান্দার ক্রিয়া-কর্ম সম্পর্কে ঐ সময় জানতে পারেন যখন বান্দা কর্তৃক ক্রিয়া সম্পাদিত হয়ে যায়। যতক্ষণ পর্যন্ত বান্দা কর্তৃক ক্রিয়া-কর্ম সম্পন্ন না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ তা‘আলা সে সম্পর্কে অজ্ঞ থাকেন। আল্লাহ তা‘আলা তাদের কথার বহু উর্ধ্বে।

ইমাম শাফেঈ রহিমাহুল্লাহ বলেন, যারা তাকদীর অস্বীকার করে, তাদের সাথে আল্লাহ তা‘আলার ইলম সিফাতটি দ্বারা যুক্তি পেশ করো। তারা যদি আল্লাহ তা‘আলার ইলমকে স্বীকার করে, তাহলে তারা পরাজিত হবে। আর যদি ইলমকে অস্বীকার করে, তাহলে তারা কাফেরে পরিণত হবে। কেননা আল্লাহ তা‘আলা জানেন যে, অমুক বান্দা সক্ষম। সে তার ক্ষমতাধীন কার্য সম্পাদন করবে। বান্দা কাজটি করার পর তিনি প্রতিদান দিবেন। আর অমুক বান্দা কাজটি করতে সক্ষম। কিন্তু করার ক্ষমতা থাকার পরও সে তা করবে না। তাই আল্লাহ তা‘আলা তাকে শাস্তি দিবেন। তিনি তাকে শাস্তি এ জন্য দিবেন যে, সে ক্ষমতা থাকার পরও কাজটি করেনি। আল্লাহ তা‘আলা এটি আগেই জেনেছেন। আর যে বান্দা কাজ করার ক্ষমতা রাখে না, আল্লাহ তা‘আলা তাকে আদেশও দেন না। যে কাজ সে করতে পারে না, তার কারণে তিনি শাস্তিও দেন না।

উপরোক্ত আলোচনা থেকে কি আবশ্যক হয় যে, বান্দা আল্লাহর ইলম পরিবর্তন করতে সক্ষম? কেননা আল্লাহ তা‘আলা জানেন যে, কোনো কোনো বান্দা আমল করার ক্ষমতা রাখা সত্ত্বেও আমল করবে না। ঐদিকে যে বান্দা কাজ করার ক্ষমতা রাখে সে কি আল্লাহ তা‘আলার ইলমকে পরিবর্তন করার ক্ষমতা রাখে না?

আসলে এ ধরণের প্রশ্ন করা ভুল। কারণ কাজ করার ক্ষমতা রাখা হতে আবশ্যক হয় না যে, সে আল্লাহ তা‘আলার ইলম পরিবর্তন করারও ক্ষমতা রাখে। বান্দার দ্বারা কোনো কর্ম সম্পাদিত হলেই এক শ্রেণীর মানুষ ধারণা করে যে, এতে আল্লাহর ইলম পরিবর্তন হয়েছে। বান্দার দ্বারা যে কাজ হয় আল্লাহ আগে থেকেই তা জানেন। এমন নয় যে, তা হবে না বলে নির্ধারিত ছিল। যে কাজটি হবে না বলে আল্লাহ আগে থেকেই জানেন তা বাস্তবায়ন হওয়া সম্পূর্ণ অসম্ভব। বরং যা সংঘটিত হয়, তা সংঘটিত হবে বলে আল্লাহ আগে থেকেই জানেন। আর যা সংঘটিত হয় না, তা আল্লাহ তা‘আলা অবশ্যই জানেন যে, তা সংঘটিত হবে না। আর আমরা আল্লাহর ইলম থেকে কিছুটা কেবল তখনই জানতে পারি, যখন তা থেকে কিছু বাস্তবে প্রকাশিত হয়। বাস্তবে যা সংঘটিত হয়, তা আল্লাহর ইলম মোতাবেকই হয়। সুতরাং কোনো কিছু হলেই যে তা আল্লাহর ইলমকে পরিবর্তন করে হয়েছে, এমন ধারণা করা ঠিক নয়। বরং যা সংঘটিত হয়েছে বা হচ্ছে, তা কেবল আল্লাহর ইলম অনুপাতেই হচ্ছে।

আর যে বান্দা কাজ করেনি, সেও এমন কিছু করেনি, যাতে বুঝা যায় সে আল্লাহর ইলমকে পরিবর্তন করেছে। সর্বোচ্চ এতটুকু বলা যেতে পারে যে, সে এমন কাজ করতে সক্ষম ছিল, যা সে করেনি। যদি কাজ সংঘটিত হয়, তাহলে আল্লাহ তা‘আলা তা হবে বলেই জানতেন। এমন ধারণা করা ঠিক নয় যে, তিনি হবে না বলে জানতেন।

আর যখন বলা হবে কোনো কাজ সংঘটিত না হলেই আল্লাহ তা‘আলা জানতে পারেন যে, তা হওয়ার ছিল না। বান্দা যদি কর্ম সম্পাদন করতে সক্ষম হয়ে থাকে তাহলে আল্লাহ তা‘আলার ইলম পরিবর্তন করতে সক্ষম হবে না কেন?

এ কথা ঠিক নয়। বরং বান্দা কর্ম সম্পাদন করার ক্ষমতা রাখা সত্ত্বেও কখনো তা সম্পাদন করে না। যদি সম্পাদন করে, তাহলে সম্পাদন হবে বলেই আল্লাহ জানেন। সুতরাং বান্দার ক্ষমতাধীন কাজ যখন সম্পাদিত হয়, তখন জানা বিষয়ই সম্পাদিত হয়। মুতাযেলারা নির্ধারণ করে নিয়েছে যে, আল্লাহ তা‘আলার অবগতি ছাড়াই বান্দার কর্ম সম্পাদিত হয়। এটি একটি অসম্ভব নির্ধারণ। কথাটি মূলতঃ এরূপ যেমন ধরুন কেউ বলল, কাজটি সংঘটিত হবে এবং হবে না। অর্থাৎ এ কথার বাস্তবতা যেমন অসম্ভব, ঠিক তেমনি আল্লাহ তা‘আলার অবগতি ছাড়া বান্দার কোনো কাজ সংঘটিত হওয়া অসম্ভব। এ ধরণের কথা পরস্পর বিপরীতমুখী জিনিসকে একত্র করার ব্যর্থ প্রচেষ্টা করার শামিল। এটি সম্ভব নয়। এ ধরণের চিন্তা মুতাযেলাদেরকে হয়রান করে ফেলেছে। এরূপ কল্পনা থেকেই মুতাযেলারা আল্লাহ তা‘আলার ইলমকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে।

যদি বলা হয়, বান্দার পক্ষে যখন আল্লাহর অবগতি ব্যতীত কোনো কাজ করা সম্ভব নয়, তাহলে বুঝা গেল, বান্দা কাজ করতে মোটেই সক্ষম নয়। এর জবাবে লেখক বলেছেন যে, অসম্ভব কথাটি খুবই সংক্ষিপ্ত। এমনটি নয় যে, বান্দার ক্ষমতা না থাকার কারণে কিংবা অপারগ হওয়ার কারণে অথবা কাজটি বাস্তবায়নযোগ্য নয় বলে সংঘটিত হয়নি। বরং কাজটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব এবং বান্দার ক্ষমতাধীন ছিল। বরং যে কাজটি বাস্তবায়ন হয়, সে সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা আগে থেকেই অবগত থাকেন যে, তা বাস্তবায়ন হবেই। আর যা সংঘটিত হয় না তা সম্পর্কে আগে থেকেই অবগত থাকেন যে, তা সংঘটিত হবে না।

সুতরাং বান্দা কাজ করুক বা না করুক, করার ক্ষমতা তার অবশ্যই থাকে। এটি একটি পরিক্ষিত বিষয়। আমরা প্রত্যেকেই নিজের মধ্যে এটি অনুভব করি। যে কাজটি বান্দা করেছে, সে সম্পর্কে আল্লাহ জানেন যে, সে তা করবে। আর বান্দা যেটি করেনি, সে সম্পর্কে আল্লাহ জানেন যে, সে তা করবে না। মোট কথা, যা কিছু হয়, তা আল্লাহর ইলম অনুযায়ী হয়। উভয় অবস্থাতেই ক্ষমতা বিদ্যমান।[2]

[1]. ছহীহ বুখারী ৩১৯১, অধ্যায়: কিতাবুল কাদ্র, মুসলিম ২৬৫৩।

[2]. উপরোক্ত আলোচনার সারমর্ম হলো, আল্লাহ তা‘আলা আদমকে সৃষ্টি করার আগেই জানতেন যে, তিনি তাকে সৃষ্টি করবেন। আল্লাহ তা‘আলা যা জানেন তাই সৃষ্টির মধ্যে সংঘটিত হয়ে থাকে। কিন্তু তার অর্থ কি এ নয় যে, তিনি তার কর্ম বর্জন করতে সক্ষম নন? অবশ্যই সক্ষম। বর্জন করার ক্ষমতা তার অবশ্যই রয়েছে। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা নির্ধারণ করেছেন যে, কাজটি হবে। এমনি আল্লাহ তা‘আলা যে কাজটি না করার ইচ্ছা করেন, তা না করতেও তিনি সক্ষম। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা নিজের ইচ্ছাতেই তা করতে চান না। বান্দাদের কর্মের ব্যাপারেও একই কথা। বান্দারা যা করে, তা তারা না করারও ক্ষমতা রাখে। আর যা তারা করে না, তা করার ক্ষমতা রাখে।

বান্দা কী করবে কিংবা করবে না, -তা আল্লাহ তা‘আলা জানেন বলেই বান্দাকে কর্মের উপর বাধ্য করা আল্লাহর উপর আবশ্যক নয়। কাদারীয়া এবং জাবরীয়ারা কারো কথার পক্ষে কোনো দলীল নেই। আমাদের সকলের উপর এ বিশ্বাস করা আবশ্যক যে, আল্লাহ তা‘আলা সর্ববিষয়ে অবগত। আল্লাহ তা‘আলার ইলম সাব্যস্ত করার অর্থ এ নয় যে, তিনি বান্দাদেরকে বাধ্য করেন। যেমন জাবরীয়ারা মনে করে থাকে। তারা বলে আল্লাহ তা‘আলা যেহেতু জানেন, তাই তিনি বাধ্য করেন। তাদের কথা মোতাবেক বান্দা সম্পূর্ণ বাধ্যগত।

সুতরাং আল্লাহ তা‘আলার ইলম এক জিনিস এবং বান্দাকে কাজ করার যে শক্তি দিয়েছেন তা অন্য জিনিস। বান্দা কাজ করবে কি করবে না, এটি সে জানে। আল্লাহ তা‘আলা যখন কোনো কিছু নির্ধারণ করেন তখন তিনি জানেন যে তা হবে। আর যে ব্যাপারে নির্ধারণ করেন যে তা হবে না, তা কখনো সংঘটিত হয় না।

আল্লাহ তা‘আলা তার সমস্ত বান্দাকে কাজ-কর্ম সম্পাদন করার ক্ষমতা ও স্বাধীনতা দিয়েছেন। তা না হলে মানুষের হিসাব নেয়া, ছাওয়াব দেয়া, পরীক্ষা করা সম্ভব হতো না। বান্দার কাজে তার যদি ক্ষমতা ও স্বাধীনতা না থাকতো, তাহলে তাদের স্বাভাবিক কাজকর্ম এবং জিনে ধরা রোগীর আচরণ ও ঘুমন্ত ব্যক্তির নড়াচড়ার মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকতো না। জাবরীয়াদের ধারণা ঠিক নয়। আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে স্বাধীনতা দিয়েছেন। তা না হলে তাকে পরীক্ষা করা সম্ভব নয়।

আল্লাহ তা‘আলা বলেন, فَمَن شَاءَ فَلْيُؤْمِن وَمَن شَاءَ فَلْيَكْفُرْ ‘‘যে চায় মেনে নিক এবং যে চায় অস্বীকার করুক’’ (সূরা কাহাফ ১৮ : ২৯)।

সুতরাং বান্দা যদি ঈমান আনয়ন করে, তাহলে সে ছাওয়াব পাবে এবং কুফুরী করলে শাস্তি ভোগ করবে।

আমাদের বিশ্বাস করা আবশ্যক যে, আমরা নিজেদের জন্য যে কাজ নির্বাচন করি, তা আল্লাহ তা‘আলা জানেন। আমরাই আমাদের কাজ নির্বাচন করি। কিন্তু আল্লাহ তা‘আলা জানেন আমরা কী নির্বাচন করি? আমরা নিজেরা নির্বাচন করার ক্ষমতা রাখি। এর অর্থ এ নয় যে, আল্লাহর ইলমকে পরিবর্তন করতে পারি। যেমন বলে থাকে মুতাযেলারা। আল্লাহ তা‘আলা তাদের কথার বহু উর্ধ্বে। বান্দার কাজ-কর্ম সম্পর্কে আল্লাহ তা‘আলা আগে থেকেই জানেন এর অর্থ এ নয় যে, বান্দা তার কাজ-কর্মে বাধ্যগত, সে অসহায়, তার কোনো স্বাধীনতা নেই এবং সে কোনো কাজ করার ক্ষমতা রাখে না। মুতাযেলাদের এ কথা বাতিল-মিথ্যা। উভয় মতভেদের মাঝখানেই রয়েছে সত্য-সঠিক মত। তা এ যে, বান্দা কাজ করা বা না করার ক্ষমতা রাখে। আল্লাহ তা‘আলা সূরা তাকবীরের ২৯ নং আয়াতে বলেন,

وَمَا تَشَاءُونَ إِلَّا أَنْ يَشَاءَ اللَّهُ رَبُّ الْعَالَمِينَ

‘‘তোমরা আল্লাহ তা‘আলার ইচ্ছার বাইরে কিছুই ইচ্ছা করতে পারো না’’।

বান্দা যখন কাজ করে, তখন আল্লাহ তা‘আলার ইলমের মধ্যে থাকে যে, বান্দা তা করবে। আর বান্দা যখন কাজ করে না, তখন আল্লাহ তা‘আলা জানেন যে, সে তা করবে না।