কেউ যদি বলে, আল্লাহ তা‘আলার ইচ্ছাতেই ঈমান বা কুফুরী সংঘটিত হলে কাফের-মুশরিকদেরকে দোষারোপ বা শাস্তি দেয়া হবে কেন?
যেমন তারা তাদের কুফুরী ও পাপাচারের পক্ষে আল্লাহর ইচ্ছাকে দলীল হিসাবে খাড়া করার চেষ্টাও করেছে যুগে যুগে। তাদের কথা আল্লাহ তা‘আলা কুরআনের একাধিক স্থানে উল্লেখ করেছেন। যেমন আল্লাহ তা‘আলা সূরা আনআমের ১৪৮ নং আয়াতে বলেন,
سَيَقُولُ الَّذِينَ أَشْرَكُوا لَوْ شَاءَ اللَّهُ مَا أَشْرَكْنَا وَلَا آبَاؤُنَا وَلَا حَرَّمْنَا مِن شَيْءٍ
‘‘মুশরিকরা নিশ্চয়ই বলবে, আল্লাহ যদি চাইতেন তাহলে আমরা শির্ক করতাম না, আমাদের বাপ-দাদারাও শির্ক করতো না। আর আমরা কোন জিনিসকে হারামও গণ্য করতাম না’’। আল্লাহ তা‘আলা সূরা নাহালের ৩৫ নং আয়াতে আরো বলেন,
وَقَالَ الَّذِينَ أَشْرَكُوا لَوْ شَاءَ اللَّهُ مَا عَبَدْنَا مِن دُونِهِ مِن شَيْءٍ نَّحْنُ وَلَا آبَاؤُنَا وَلَا حَرَّمْنَا مِن دُونِهِ مِن شَيْءٍ
‘‘এ মুশরিকরা বলে, আল্লাহ ইচ্ছা করলে তাকে ছাড়া আর কারো ইবাদাত আমরাও করতাম না, আমাদের বাপ-দাদারাও করতো না এবং তার হুকুম ছাড়া কোনো জিনিসকে হারামও গণ্য করতো না’’।
আল্লাহ তা‘আলা সূরা যুখরুফের ২০ নং আয়াতে আরো বলেন,
وَقَالُوا لَوْ شَاءَ الرَّحْمَٰنُ مَا عَبَدْنَاهُم مَّا لَهُم بِذَٰلِكَ مِنْ عِلْمٍ إِنْ هُمْ إِلَّا يَخْرُصُونَ
এরা বলে, দয়াময় আল্লাহ যদি চাইতেন তাহলে আমরা কখনো তাদের পূজা করতাম না। এ বিষয়ে তাদের কোনো ইলম নেই। তারা কেবলই অনুমান করেই কথা বলে থাকে।
আল্লাহ তা‘আলা এ আয়াতগুলোতে ঐসব মুশরিকদের নিন্দা করেছেন, যারা তাদের নিজের পক্ষ হতে সংঘটিত শির্ককে আল্লাহর ইচ্ছায় হয়েছে বলে উল্লেখ করেছিল। এমনি তিনি ইবলীসকেও দোষারোপ করেছেন, যেখানে সে নিজের গোমরাহীর সম্বন্ধ করেছিল আল্লাহ তা‘আলার প্রতি। ইবলীস বলেছিল,
رَبِّ بِمَا أَغْوَيْتَنِي لَأُزَيِّنَنَّ لَهُمْ فِي الْأَرْضِ وَلَأُغْوِيَنَّهُمْ أَجْمَعِينَ
‘‘হে আমার রব! তুমি যেমন আমাকে বিপথগামী করলে ঠিক তেমনি আমি পৃথিবীতে এদের জন্য প্রলোভন সৃষ্টি করে এদের সবাইকে বিপথগামী করবো’’। (সূরা হিজর: ৩৯)
সুতরাং কাফের-মুশরিকরা বলার চেষ্টা করেছে যে, কুফরী, শির্ক ও পাপাচার যেহেতু আল্লাহর ইচ্ছাতেই হয়, তাই আমাদের দোষ কোথায়?
এ প্রশ্নের একাধিক জবাব প্রদান করা হয়েছে। তার মধ্যে সর্বোত্তম জবাব হলো, আল্লাহ তা‘আলা তাদের কথার প্রতিবাদ করেছেন। কারণ তারা আল্লাহর ইচ্ছাকে তার পছন্দ ও ভালোবাসার পক্ষে দলীল হিসাবে গ্রহণ করেছে। তারা আরো বলেছে, আল্লাহ তা‘আলা যদি কুফুরী, শির্ক ও পাপাচারকে অপছন্দ এবং ঘৃণা করতেন, তাহলে তিনি কখনোই তার ইচ্ছা করতেন না। সুতরাং তারা কোনো কাজের প্রতি আল্লাহর ইচ্ছাকেই উক্ত কাজের প্রতি তার সন্তুষ্টি আছে বলে দলীল হিসাবে সাব্যস্ত করেছে। আল্লাহ তা‘আলা তাদের এ ধারণার প্রতিবাদ করেছেন। সে সঙ্গে তিনি তাদের এ ধারণার প্রতিবাদ করেছেন যে, আল্লাহর ইচ্ছা তার আদেশ ও পছন্দের দলীল স্বরূপ। একই সঙ্গে তিনি নাবী-রসূলদের মাধ্যমে যে আদেশ ও শরীয়াত প্রেরণ করেছেন এবং যা দিয়ে তিনি আসমানী কিতাবসমূহ নাযিল করেছেন তাকদীর দিয়ে দলীল পেশ করে সেগুলোর বিরোধিতা করার প্রতিবাদ করেছেন। সুতরাং তারা সবকিছু সৃষ্টির উপর আল্লাহর ইচ্ছাকে তার আদেশ-নিষেধ ও শরীয়াত প্রত্যাখ্যান দলীল হিসাবে পেশ করেছে। সবকিছু তার ইচ্ছাতেই হওয়ার মধ্যে তাওহীদের যে দলীল রয়েছে, তারা আল্লাহর ইচ্ছাকে সেভাবে মূল্যায়ন করেনি। তারা শুধু আদেশ-নিষেধ ও শরীয়ত প্রত্যাখ্যান করতে গিয়েই তার ইচ্ছাকে উল্লেখ করেছে। যেমন করে থাকে নাস্তিক, মুনাফেক এবং অজ্ঞ লোকেরা। তাদেরকে যখন কোনো কাজের আদেশ দেয়া হয়, তখন তারা তাকদীর দিয়ে দলীল পেশ করে তা বাস্তবায়ন করা থেকে দূরে থাকে।
এক চোরকে আমীরুল মুমিনীন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর দরবারে উপস্থিত করা হলো। তিনি যখন চোরের হাত কাটার ফায়ছালা প্রদান করলেন, তখন চোর বলতে লাগল, আপনি কি জানেন না সবকিছুই আল্লাহর ইচ্ছাতেই হয়ে থাকে?
সুতরাং চুরি করা আমার তাকদীরে ছিল বলেই চুরি করেছি। চোর পাপ কাজের উপর তাকদীর দিয়ে দলীল পেশ করল। উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তখন বললেন, তুমি তাকদীর অনুযায়ী চুরি করেছো আর আমি আল্লাহর তাকদীরের ফায়ছালা অনুযায়ীই তোমার হাত কেটে ফেলবো। সুতরাং চোরের হাত কেটে ফেলা হলো। এতে আমরা জানতে পারলাম যে, আল্লাহ তা‘আলা নির্ধারণ করেছেন যে, চোরের হাত কাটা হবে। তিনি যদি চোরের হাত কাটার ইচ্ছা না করতেন (হাত কাটার আদেশ না দিতেন) তাহলে উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কখনোই চোরের হাত কাটতেন না।
সুতরাং চুরি করা আল্লাহর নির্ধারণ অনুপাতেই হয়। হাত কাটাও তার ইচ্ছাতেই (হুকুমে) হয়। মূলতঃ শরীয়াত ও তাকদীরের মাঝে কোনো পারস্পরিক দ্বন্ধ নেই। শরীয়াতের নির্ধারিত হদ্দ বা শাস্তি কায়েম করা তাকদীদের পরিপন্থী নয়। উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর কথা ও কাজের মধ্যে ছাহাবীদের গভীর জ্ঞানের পরিচয় পাওয়া যায়। সূরা আনআমের ১৪৮ নং আয়াতে আল্লাহ তা‘আলা এ কথাই ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন,
كَذَٰلِكَ كَذَّبَ الَّذِينَ مِن قَبْلِهِمْ
‘‘এ ধরনের উদ্ভট কথা তৈরী করে এদের পূর্ববর্তী লোকেরাও সত্যকে প্রত্যাখ্যান করেছিল’’। এতে জানা গেল তাদের উদ্দেশ্য ছিল সত্যকে প্রত্যাখ্যান করা। এমনটি নয় যে, তারা তাকদীরের প্রতি ঈমান রাখতো। তাদের এ কথা ও কাজ পূর্বযুগের কাফেরদের কথা ও কাজের মতই।
সুতরাং চোরের হাত কাটাও তাকদীরে নির্ধারিত রয়েছে। চোর যদি বলে চুরি করা নির্ধারিত রয়েছে। হাত কাটার কথা তাকদীরে নেই, তাহলে তাকে বলা হবে, তুমি কিভাবে জানলে উহা তাকদীরে নেই? তুমি কি গায়েব সম্পর্কে অবগত আছো? সুতরাং চুরি করার কারণে যেহেতু চোরের হাত কাটা হয়, তাই বুঝা গেলো ইহাও তাকদীরে নির্ধারিত। কেননা আল্লাহর রাজত্বে আল্লাহর তাকদীর ও ইচ্ছা ব্যতীত কোনো কিছুই সংঘটিত হয় না। আল্লাহর ইচ্ছার বাইরে কোনো কিছু হয় বলে বিশ্বাস করা কুফুরী।
যদি প্রশ্ন করা হয় আদম আলাইহিস সালাম তো মুসা আলাইহিস সালামের সাথে বিতর্কের সময় তাকদীর দিয়ে দলীল পেশ করেছেন। আদম আলাইহিস সালাম মুসা আলাইহিস সালামকে বলেছিলেন, তুমি কি আমাকে এমন একটি কাজের কারণে দোষারোপ করছো, যা আল্লাহ তা‘আলা আমার সৃষ্টির চল্লিশ বছর পূর্বেই আমি তা করবো বলে লিখে দিয়েছেন? নাবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, এ কথার মাধ্যমে আদম আলাইহিস সালাম মুসা আলাইহিস সালামকে বিতর্কে পরাজিত করে দিলেন। অর্থাৎ দলীলের মাধ্যমে তিনি মুসা আলাইহিস সালামের উপর জয়লাভ করলেন।
এর জবাব হলো আমরা এ কথাকে অন্তর দিয়ে কবুল করে নিয়েছি, শ্রবণ করেছি এবং এর প্রতি অনুগত হয়েছি। কারণ রসূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে তা বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। এ বর্ণনাকে আমরা প্রত্যাখ্যান করি না এবং তাকে মিথ্যাও বলি না। যেমন করে থাকে মুতাযেলাগণ। আমরা এ বর্ণনার দুর্বল ব্যাখ্যাও করি না। সঠিক কথা হলো আদম আলাইহিস সালাম স্বীয় ভুলের উপর তাকদীর দিয়ে দলীল পেশ করেননি। তিনি তার রব সম্পর্কে এবং স্বীয় ভুল সম্পর্কে অন্যদের তুলনায় অধিক অবগত ছিলেন। শুধু তাই নয়; বরং তার মুমিন সন্তানগণও তাকদীর দিয়ে দলীল পেশ করে পাপাচারে লিপ্ত হয় না। কেননা পাপাচারে লিপ্ত হয়ে বা তাতে লিপ্ত হওয়ার জন্য তাকদীরকে দলীল হিসাবে পেশ করা সম্পূর্ণ বাতিল।
মুসা আলাইহিস সালামও তার পিতা আদম আলাইহিস সালাম এবং তার ভুল সম্পর্কে অবগত ছিলেন। মুসা আলাইহিস সালাম আদম আলাইহিস সালামকে এমন একটি পাপের কারণে দোষারোপ করবেন, যা থেকে তিনি তাওবা করেছেন এবং আল্লাহ তা‘আলা তার তাওবা কবুল করে নিয়েছেন, তাকে নাবী হিসাবে নির্বাচন করেছেন ও সঠিক পথ প্রদর্শন করেছেন, -এটি হতেই পারে না। দোষারোপ করা হয়েছে শুধু ঐ মুসীবতের কারণে, যা তার সন্তানদেরকে জান্নাত থেকে বের করে দিয়েছে। সুতরাং আদম আলাইহিস সালাম তার মুসীবতের পক্ষে তাকদীর দিয়ে দলীল পেশ করেছেন, ভুল ও পাপ কাজের পক্ষে নয়। কেননা মুসীবতে পড়ে তাকদীর দ্বারা দলীল পেশ করা জায়েয আছে। পাপাচারে লিপ্ত হওয়ার পক্ষে তা দ্বারা দলীল পেশ করা জায়েয নয়। আদম ও মুসা আলাইহিস সালামের বিতর্কের হাদীছের ব্যাখ্যায় যা বলা হয়েছে, তার মধ্য থেকে উপরোক্ত ব্যাখ্যাই সর্বোত্তম।
সুতরাং তাকদীরের নির্ধারণ অনুযায়ী যত মুসীবতই আসুক না কেন, তা মেনে নেয়া আবশ্যক। কেননা এটি সন্তুষ্ট চিত্তে আল্লাহ তা‘আলাকে পরিপূর্ণরূপে রব হিসাবে মেনে নেয়ার অন্তর্ভুক্ত। আর গুনাহর ব্যাপারে কথা হলো, বান্দার জন্য তাতে লিপ্ত হওয়ার কোনো অধিকার নেই। যদি তার দ্বারা পাপ কাজ হয়েও যায়, তাহলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়া এবং তাওবা করা আবশ্যক। সুতরাং বান্দার পাপের কাজে লিপ্ত হয়ে গেলে তাওবা করবে এবং মুসীবতে পড়ে গেলে ধৈর্যধারণ করবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
فَاصْبِرْ إِنَّ وَعْدَ اللَّهِ حَقٌّ وَاسْتَغْفِرْ لِذَنبِكَ وَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ بِالْعَشِيِّ وَالْإِبْكَارِ
‘‘হে নাবী! ধৈর্যধারণ করো। আল্লাহর ওয়াদা সত্য, নিজের ভুল-ত্রুটির জন্য মাফ চাও এবং সকাল সন্ধ্যা নিজের রবের প্রশংসার সাথে সাথে তার পবিত্রতা বর্ণনা করতে থাকো’’। (সূরা মুমিন: ৫৫) আল্লাহ তা‘আলা আরো বলেন,
وَإِن تَصْبِرُوا وَتَتَّقُوا لَا يَضُرُّكُمْ كَيْدُهُمْ شَيْئًا إِنَّ اللَّهَ بِمَا يَعْمَلُونَ مُحِيطٌ
‘‘তোমরা যদি সবর করো এবং আল্লাহকে ভয় করতে থাকো, তাহলে তোমাদের বিরুদ্ধে তাদের কোন ষড়যন্ত্র ক্ষতিকর হবে না। তারা যা কিছু করছে আল্লাহ তা চতুর্দিক থেকে বেষ্টন করে আছেন’’। (সূরা আলে-ইমরান: ১২০)
আর ইবলীসের কথা,
رَبِّ بِمَا أَغْوَيْتَنِي لَأُزَيِّنَنَّ لَهُمْ فِي الْأَرْضِ وَلَأُغْوِيَنَّهُمْ أَجْمَعِينَ
‘‘হে আমার রব! তুমি যেমন আমাকে বিপথগামী করলে ঠিক তেমনিভাবে আমি পৃথিবীতে এদের জন্য প্রলোভন সৃষ্টি করে এদের সবাইকে বিপথগামী করবো’’,
এখানে ইবলীস তাকদীর দ্বারা যে দলীল পেশ করেছে, তার কারণে তাকে দোষারোপ করা হয়েছে। কিন্তু এ জন্য দোষারোপ করা হয়নি যে, সে তাকদীরকে স্বীকার করে নিয়েছিল এবং সাব্যস্ত করেছিল। তুমি কি নূহ আলাইহিস সালামের কথা শোননি যেখানে তিনি বলেছেন,
وَلَا يَنفَعُكُمْ نُصْحِي إِنْ أَرَدتُّ أَنْ أَنصَحَ لَكُمْ إِن كَانَ اللَّهُ يُرِيدُ أَن يُغْوِيَكُمْ هُوَ رَبُّكُمْ وَإِلَيْهِ تُرْجَعُونَ
‘‘এখন যদি আমি তোমাদের কিছু মঙ্গল করতে চাই তাহলে আমার মঙ্গল কামনা তোমাদের কোন কাজে লাগবে না যখন আল্লাহ নিজেই তোমাদের বিভ্রান্ত করার ইচ্ছা করে ফেলেছেন। কবি কতই না সুন্দর বলেছেন,
مَا شِئْتَ كَانَ وَإِنْ لَمْ أَشَأْ... وَمَا شِئْتُ إِنْ لَمْ تَشَأْ لَمْ يَكُنْ
‘‘হে আল্লাহ! তুমি যা ইচ্ছা করো, তাই হয়। যদিও তাতে আমার কোনো ইচ্ছা থাকে না। আর আমি যা ইচ্ছা করি, তুমি যদি উহার ইচ্ছা না করো, তাহলে উহা সংঘটিত হয় না।
ওয়াহাব বিন মুনাব্বিহ রহিমাহুল্লাহ বলেন, আমি তাকদীরের মধ্যে গভীর দৃষ্টি দিয়ে হয়রান হয়েছি। আমি দ্বিতীয়বার দৃষ্টি দিয়েও হয়রান হয়েছি। পরিশেষে আমি উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছি যে, তাকদীর সম্পর্কে ঐ ব্যক্তিই বেশী অবগত, যে তার গভীরে প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকে। আর তাকদীর সম্পর্কে ঐ ব্যক্তিই সবচেয়ে বেশী অজ্ঞ, যে তা সম্পর্কে বেশী বেশী কথা বলে।