আল্লাহ তা‘আলা যা ইচ্ছা করেন, তা ছাড়া অন্য কিছু হয় না।

ইমাম ত্বহাবী রহিমাহুল্লাহ বলেন, (وَلَا يَكُونُ إِلَّا مَا يُرِيدُ) আল্লাহ তা‘আলা যা ইচ্ছা করেন, তা ছাড়া অন্য কিছু হয় না।

...................

ব্যাখ্যা: এর মাধ্যমে ইমাম ত্বহাবী রহিমাহুল্লাহ কাদেরীয়া ও মুতাযেলা সম্প্রদায়ের প্রতিবাদ করেছেন। তারা ধারণা করে যে, আল্লাহ তা‘আলা সকল মানুষ থেকে ঈমানের ইচ্ছা করেন। আর কাফের কুফুরীর ইচ্ছা করে। এতে করে আল্লাহর ইচ্ছার উপর কাফেরের ইচ্ছা বিজয়ী হয়ে যায়। (নাউযুবিল্লাহ) তাদের কথা বাতিল ও প্রত্যাখ্যাত। কেননা তাদের কথা কুরআন, সুন্নাহ এবং সুস্থ বিবেক ও বোধশক্তির পরিপন্থী। এটি তাকদীর সম্পর্কীয় সু-প্রসিদ্ধ মাস‘আলা। অচিরেই ইনশা-আল্লাহ এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা সামনে আসছে।

কাদেরীয়ারা তাকদীরকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করার কারণেই তাদেরকে কাদারীয়া সম্প্রদায় বলা হয়। এমনি জাবরীয়ারা যেহেতু তাকদীর সাব্যস্ত করতে গিয়ে মারাত্মক বাড়াবাড়ি করে, তাই তাদেরকেও কাদারীয়া বলা হয়। কিন্তু প্রথম ফির্কাটির উপর এ নামটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের লোকেরা বলে যে, আল্লাহ তা‘আলা পাপাচার সৃষ্টি ও নির্ধারণ করলেও তিনি তা পছন্দ করেন না, ভালোবাসেন না এবং তার আদেশও করেন না। বরং তিনি পাপাচারকে ঘৃণা করেন, অপছন্দ করেন এবং তা থেকে নিষেধ করেন। এটিই সালাফদের সকলের কথা। তারা বলেন, আল্লাহ তা‘আলা যা ইচ্ছা করেন, তাই হয়। তিনি যা চান না, তা কখনো সংঘটিত হয় না।

এ জন্যই ফকীহগণের ঐক্যমতে কেউ যদি শপথের মধ্যে এ কথা বলে যে,

وَاللَّهِ لَأَفْعَلَنَّ كَذَا إِنْ شَاءَ اللَّهُ

‘‘আল্লাহর শপথ! আমি অবশ্যই ইনশা-আল্লাহ এ কাজটি করবো’’,

তারপর সে কাজটি না করলে শপথ ভঙ্গকারী হিসাবে গণ্য হবে না। যদিও কাজটি ওয়াজিব কিংবা মুস্তাহাব হয়। কিন্তু সে যদি ইনশা-আল্লাহর স্থলে إن أحب الله ‘‘যদি আল্লাহ পছন্দ করেন’’ বাক্যটি উচ্চারণ করে, অতঃপর সে কাজটি না করে, তাহলে শপথ ভঙ্গকারী হিসেবে গণ্য হবে। কাজটি ওয়াজিব অথবা মুস্তাহাব হলেও।