ইতঃপূর্বে আমরা দেখেছি যে, যিকর অর্থ স্মরণ করা বা করানো। স্মরণ করানো বা ওয়ায-নসীহত জাতীয় যিকরে প্রয়োজন মতো জোরে আলোচনা করতে হবে, যাতে শ্রোতাগণ শুনতে পান। আর স্মরণ করা বা সাধারণ যিকরের ক্ষেত্রে যাকিরের কর্ম নিজে শোনা ও তাঁর প্রভুকে শোনানো। এক্ষেত্রে সুন্নাত চুপে চুপে ও অনুচ্চস্বরে যিকর করা।
যিকর একটি নফল ইবাদত। সকল নফল ইবাদতের ক্ষেত্রেই সুন্নাতের সাধারণ মূলনীতি যথাসম্ভব একাকী ও যথাসম্ভব চুপে চুপে তা আদায় করা। যিকর সম্পর্কিত সকল হাদীস, সাহাবী-তাবেয়ীগণের কর্ম ও চার ইমামসহ তাবেয়ী, তাবে-তাবেয়ী ফকীহ ও ইমামগণের মতামত পর্যালোচনা করলে সন্দেহাতীতভাবে আমরা বুঝতে পারি যে, যিকরের মূল সুন্নাত নীরবে, মনেমনে বা মৃদু শব্দে যিকর করা।
রাসূলুল্লাহ (সা.) ও সাহাবীগণ সাধারণত সকল যিকর চুপে চুপে ঠোঁট নেড়ে বা মৃদু শব্দে পালন করতেন। কোনো কোনো যিকর, যেমন ঈদুল আযহার তাকবীর, হজ্বের তালবিয়া, বিতিরের পরে তাসবীহ ইত্যাদি জোরে বা শব্দ করে বলেছেন। প্রথম যুগের সকল ফকীহ ও ইমাম একমত হয়েছেন যে, যে সকল স্থানে বা সময়ে রাসূলুল্লাহ (সা.) জোরে বা শব্দ করে যিকর করেছেন বলে স্পষ্টভাবে হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, সে সকল স্থান বা সময় ছাড়া অন্য সকল স্থানে ও সময়ে যিকর আস্তে বা মৃদু স্বরে আদায় করা সুন্নাত এবং জোরে বা উচৈচঃস্বরে যিকর সুন্নাতের খেলাফ।
হানাফী মাযহাবে জোরে যিকর বিদ‘আত
হানাফী মাযহাবে এ বিষয়ে খুবই কড়াকড়ি করা হয়েছে। হানাফী মযহাবের মূলনীতি যিকরের ক্ষেত্রে মূল সুন্নাত চুপে চুপে নিম্নস্বরে যিকর করা (المخافتة واالإخفاء) আর জোরে বা উচ্চশব্দে যিকর করা মূলত বিদ‘আত।[1] শুধুমাত্র যে সকল যিকর ও দু‘আ রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর পরে সাহাবীগণ শব্দ করে পাঠ করতেন বলে নিশ্চিতরূপে এজমা বা সহীহ হাদীস দ্বারা সুপ্রমাণিত, যেমন - ঈদুল আযহার সময়ের তাকবীর, হজ্বের তালবিয়্যহ ইত্যাদি ছাড়া কোনো প্রকার যিকর ও দু‘আ সশব্দে উচ্চারণ করা হানাফী মাযহাবে বিদ‘আত ও মাকরূহ তাহরীমী। যেখানে সুন্নাত অথবা বিদ‘আত হওয়ার ক্ষেত্রে সন্দেহ আছে সেখানে তাকে বিদ‘আত হিসাবে গণ্য করে তা বর্জন করতে হবে। উপরন্তু যে সুন্নাত পালন করতে বিদ’আতের সাথে সম্পৃক্ত হতে হয় সেই সুন্নতও বর্জন করতে হবে। কারণ বিদ’আত বর্জন করা ফরয, আর সুন্নাত বা সাওয়াব অর্জন করা ফরয নয়। ফরয নষ্ট করে কোনো সুন্নাত পালন করা যায় না। হানাফী মযহাবের সকল প্রাচীন গ্রন্থ ও অন্যান্য মাযহাবের গ্রন্থে এ বিষয়ে বারাবার বলা হয়েছে।[2]
পরবর্তী যুগে জোরে যিকর প্রচলিত ও সমর্থিত হয়
সাহাবী, তাবেয়ী ও তাবে-তাবেয়ীগণের যুগ শেষ হওয়ার পরে ক্রমান্বয়ে সমাজে বিভিন্ন সুন্নাত বিরোধী কর্ম প্রবেশ করতে থাকে। বিশেষত বাগদাদের খিলাফতের পতনের পরে সারা মুসলিম বিশ্বে অজ্ঞানতা, কুসংস্কার, ফিতনা ফাসাদ ইত্যাদি ছড়িয়ে পড়ে। ইসলামী জ্ঞান, বিশেষত কুরআন, হাদীস ও ফিকহের চর্চা কমে যায়। বিশাল মুসলিম বিশ্বের তুলনায় অতি নগণ্য সংখ্যক আলিম উলামা ইলমের ঝান্ডা বয়ে চলেন।
এ যুগে সুন্নাতের জ্ঞানের অভাব, আবেগ, আগ্রহ, সাময়িক ফাইদা, ফলাফল, বিভিন্ন স্থানে প্রচলন ইত্যাদির কারণে অনেকে সশব্দে যিকর করতে শুরু করেন। ক্রমান্বয়ে তা রীতিতে পরিণত হয়। পরবর্তীতে তা ব্যক্তিগত থেকে সম্মিলিত যিকরের রীতিতে পরিণত হয়। সেই যুগে কোনো কোনো আলিম যখন এইভাবে জোরে যিকরের প্রচলন দেখতে পান, তখন সেগুলির পক্ষে মত প্রকাশ করেন। তারা এভাবে যিকরকারীদের মধ্যে অনেক নেককার মানুষকে দেখতে পান এবং এভাবে যিকরের মধ্যে ‘ফল’ দেখতে পান। এজন্য তাঁরা একাকী বা সবাই মিলে জোরে জোরে যিকরকে জায়েয বলে বিভিন্ন প্রমাণাদি পেশ করেন। তাঁরা জোরে যিকরের বিরুদ্ধে কুরআন, হাদীস ও ইমামগণের মতামতকে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে বাতিল করে দেন।[3]
আপনারা যে কোনো গবেষক একটু চেষ্টা করলেই বিষয়টি জানতে পারবেন। ৫০০ হিজরী পর্যন্ত লেখা সকল ফিকহের গ্রন্থ আপনারা পাঠ করে দেখুন, সেখানে জোরে যিকরকে বিদ’আত লেখা হয়েছে। অথচ পরবর্তী যুগে দুই একজন লেখক ঢালাওভাবে তা (যিকর) জায়েয করেছেন এবং ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ইমামদের সকল কথা বাতিল করে দিয়েছেন।
তা সত্ত্বেও অধিকাংশ আলিম স্পষ্ট লিখেছেন যে, জোরে যিকর জায়েয হলেও মসজিদের মধ্যে ইলম ও ফিকহ শিক্ষামূলক যিকর বা ওয়ায-আলোচনা ছাড়া কোনো যিকর জোরে বা উচ্চৈঃস্বরে করা মাকরূহ, অর্থাৎ মাকরূহ তাহরীমি।[4] এ মসজিদের মধ্যে একাকী জোরে যিকর করার বিধান। এখন সবাই মিলে সমবেতভাবে, সমস্বরে ও ঐক্যতানে যিকরের কী বিধান হবে তা পাঠক নিজেই চিন্তা করুন।
আমাদের সমাজেও উচ্চৈঃস্বরে যিকরের খুবই প্রচলন। এখানে সংক্ষেপে কয়েকটি বিষয় আলোচনা করা প্রয়োজন :
প্রথমত, জায়েয বা না-জায়েয আমাদের বিবেচ্য নয়। আমাদের বিবেচ্য সুন্নাত কি? অনেক কর্মই জায়েয, কিন্তু সুন্নাত নয়। আমরা এখানে যিকরের ইবাদতকে সুন্নাত পদ্ধতিতে হুবহু রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণের মতো পালন করতে চাই।
দ্বিতীয়ত, কোনো কর্ম জায়েয হওয়ার অর্থ তাকে রীতিতে পরিণত করা নয়। সালাতের আগে গলা খাঁকরি দেওয়া নিঃসন্দেহে জায়েয, কিন্তু একে সালাতের রীতিতে পরিণত করলে বিদ’আত হবে। এ ধরনের অনেক উদাহারণ আমার “এহ্ইয়াউস সুনান” গ্রন্থে আলোচনা করেছি। কেউ যদি একাকী অন্য কারো অসুবিধা না করে মাঝে মাঝে ভালো লাগলে একটু জোরে জোরে যিকর করেন তাহলে তা জায়েয হবে। কিন্তু তার অর্থ কি এই যে সর্বদা একাকী বা সমবেতভাবে জোরে বা চিৎকার করে যিকর করাই উত্তম?
তৃতীয়ত, সবচেয়ে বড় প্রশ্ন কেন জোরে জোরে যিকর করব? কাকে শুনাব? যে যিকর যাকির আল্লাহকে শুনাবেন সে যিকর তিনি ও তার প্রভু শুনলেই হলো। অন্য কাউকে শুনানোর উদ্দেশ্য কি?
মহান রাব্বুল আলামীন তাঁর বান্দাকে শিখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে তাঁর যিকর করতে হবে। তাঁর মহান রাসূল (সা.) উম্মতকে শিখিয়েছেন কিভাবে যিকর করতে হবে। আমাদের কী প্রয়োজন সুবিধামতো বানোয়াট পদ্ধতিতে যিকর করার? কুরআন কারীমে ইরশাদ করা হয়েছেঃ
وَاذْكُر رَّبَّكَ فِي نَفْسِكَ تَضَرُّعًا وَخِيفَةً وَدُونَ الْجَهْرِ مِنَ الْقَوْلِ بِالْغُدُوِّ وَالْآصَالِ وَلَا تَكُن مِّنَ الْغَافِلِينَ
“এবং যিকর করুন আপনার রবের আপনার মনের মধ্যে (মনে মনে) বিনীতভাবে এবং ভীতচিত্তে এবং অনুচ্চস্বরে সকালে এবং বিকালে, আর অমনোযোগীদের অন্তর্ভুক্ত হবেন না।”[5]
এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, যাকিরের মধ্যে চারটি অবস্থা একত্রিত হলে তিনি কুরআন নির্দেশিত পদ্ধতিতে যিকরকারী বলে গণ্য হবেনঃ
(১) যিকর মনের মধ্যে হবে। অর্থাৎ, যিকর বা স্মরণ মূলত মনের কাজ। যিকরের সময় যে কথা মুখে উচ্চারিত হবে তা অবশ্যই মনের মধ্যে আলোড়িত ও আন্দোলিত হবে।
(২) বিনীতভাবে যিকর করতে হবে।
(৩) ভীত ও সন্ত্রস্ত চিত্তে যাঁর যিকর করছি তাঁর মর্যাদার পরিপূর্ণ অনুভূতি হৃদয়ে নিয়ে যিকর করতে হবে।
(৪) যিকরের শব্দ মুখেও উচ্চারিত হতে হবে। আর সেই উচ্চারণ হবে অনুচ্চস্বরে।
অর্থাৎ, যিকরে শুধু মনই নয়, মনের সাথে আন্দেলিত হবে জিহ্বা। ভক্তি, ভয় ও বিনয়ের সাথে সঙ্গতিপূর্ণভাবে মৃদু শব্দে যিকর করতে হবে।
সম্মানিত পাঠক, এরপরেও কি যিকরের জন্য অন্য কোনো চিন্তার প্রয়োজন আছে? আমরা অতি সহজে বুঝতে পারি যে, এই চারটি অবস্থা একে অপরের সম্পূরক ও পরিপূরক। যেখানে বিনয় আছে সেখানে ভক্তি ও ভয় থাকবে। আর যেখানে ভক্তি ও বিনয় আছে সেখানে অন্তর আলোড়িত হবেই। আর যেখানে অন্তরের অনুভূতি, ভক্তি ও বিনয় আছে সেখানে শব্দ কখনই জোরে হবে না, হতে পারেই না। অন্তরের সকল আলোড়ন, বিনয় ও ভীতি প্রকাশ করবে একান্ত বিগলিত মৃদু শব্দের বাক্য।
যিকরের প্রাণ মনের আবেগ, বিনয় ও ভীতবিহবল অবস্থা। আর এই অবস্থায় কোনো মানুষ ইচ্ছা করলেও মুখের আওয়াজ জোর করতে পারে না। আবেগ, বিনয় ও ভীতি যত বেশি হবে শব্দের জোর ততই কমতে থাকবে। মুহতারাম পাঠক, আপনি কি কল্পনা করতে পারেন যে, কোনো মানুষ দুনিয়ার কোনো বড় নেতা বা কর্মকর্তার সামনে বিনীত ও ভীত সন্ত্রস্তভাবে চিৎকার করে তাকে ডাকছে? এ কি সম্ভব?
যিকর-দু‘আর বিষয়ে অন্য আয়াতে ইরশাদ করা হয়েছেঃ
ادْعُوا رَبَّكُمْ تَضَرُّعًا وَخُفْيَةً إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ
“ডাক তোমাদের প্রভুকে বিনীত-বিহবল চিত্তে এবং চুপে চুপে। নিশ্চয় তিনি সীমালঙ্ঘনকারীগণকে পছন্দ করেন না।”[6]
প্রিয় পাঠক, মহান প্রভু শিখিয়ে দিচ্ছেন কিভাবে তাঁকে ডাকতে হবে, কিভাবে তাঁর যিকর করতে হবে এবং কিভাবে তাঁর কাছে দু‘আ করতে হবে। তিনি আরো জানিয়ে দিয়েছেন যে, তাঁর শেখানো সীমার বাইরে বেরিয়ে তাঁকে যারা ডাকে তাদের তিনি পছন্দ করেন না। সাহাবী, তাবেয়ী ও পরবর্তী মুফাসসিরগণ লিখেছেন যে, দু‘আ ও যিকরের ক্ষেত্রে সীমা লঙ্ঘনের অন্যতম কারণ শব্দ উচ্চ করা বা জোরে করা।[7]
হাসান বসরী বলেন, আমরা যাদের দেখেছি, সেসব মানুষের (সাহাবী ও প্রথম যুগের তাবেয়ীগণের) রীতি ছিল কোনো ইবাদত চুপে চুপে বা গোপনে করতে পারলে তা কখনো জোরে বা প্রকাশ্যে করতেন না। তাঁরা বেশি বেশি যিকর-দু‘আয় লিপ্ত থাকতেন, কিন্তু শুধুমাত্র ফিসফিস ছাড়া কিছুই শোনা যেত না।[8]
প্রিয় পাঠক, আসুন রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর শিক্ষা পর্যালোচনা করি। আবু মুসা আশআরী (রাঃ) বলেন :
كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (في سفر) فَكُنَّا إِذَا أَشْرَفْنَا عَلَى وَادٍ هَلَّلْنَا وَكَبَّرْنَا ارْتَفَعَتْ أَصْوَاتُنَا فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ ارْبَعُوا عَلَى أَنْفُسِكُمْ فَإِنَّكُمْ لَا تَدْعُونَ أَصَمَّ وَلَا غَائِبًا إِنَّهُ مَعَكُمْ إِنَّهُ سَمِيعٌ قَرِيبٌ تَبَارَكَ اسْمُهُ وَتَعَالَى جَدُّهُ
“আমরা রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সাথে [এক সফরে] ছিলাম। আমরা যখন কোনো প্রান্তরে পৌঁছাচ্ছিলাম তখন আমরা তাকবীর ও তাহলীল [আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহ] বলছিলাম। আমাদের শব্দ কিছু উচ্চ হয়ে গেল। তখন নবীজী (সা.) বললেন, হে মানুষেরা, নিজেদেরকে ধীর ও প্রশান্ত কর। তোমরা যাঁকে ডাকছ তিনি বধির বা দূরবর্তী নন। তোমরা যাঁকে ডাকছ তিনি তোমাদের সঙ্গে রয়েছেন। তিনি সর্বশ্রবণশীল এবং নিকটবর্তী। মহামহিমান্বিত তাঁর নাম, মহাউচ্চ তাঁর মর্যাদা।”[9]
রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণ আজীবন এভাবেই আল্লাহর যিকর করেছেন। এখন পাঠক আপনিই সিদ্ধান্ত নিবেন আপনার জন্য কোন্টি উত্তম। আপনার সামানে দু’টি বিকল্প : (১). বিভিন্ন যুক্তি দেখিয়ে নিজের মনকে সুন্নাতের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে উৎসাহ দিবেন, সুন্নাতকেই সাওয়াব ও কামালাতের জন্য যথেষ্ট বলে বিশ্বাস করবেন ; অথবা (২). বিভিন্ন যুক্তি ও অজুহাত দিয়ে সুন্নাত-বিরোধী বিভিন্ন পদ্ধতি, শব্দ, উচ্চশব্দ, চিৎকার বা অন্য কোনো নিয়ম পদ্ধতি জায়েয করবেন এবং সেই জায়েযের জন্য সুন্নাতকে সর্বদা পরিত্যাগ করবেন।
সম্মানিত পাঠক, আপনার কাছে কোনটি ভালো মনে হয় ? আমি আমার জন্য সুন্নাতকেই যথেষ্ট ও সুন্নাতকেই নিরাপদ বলে দৃঢ়তমভাবে বিশ্বাস করি। আল্লাহর কাছে সকাতরে আর্জি করি, তিনি দয়া করে আমাদের হৃদয়, প্রবৃত্তি ভালোলাগা ও মন্দলাগাকে তাঁর হাবীবের (সা.) সুন্নাতের অনুগত ও অনুসারী বানিয়ে দেন।
[2] দেখুনঃ আল্লামা কাসানী, বাদাইউস সানাই ১/১৯৬, ১৯৭, ২০৪, ২০৭, ২৭৪, ২৭৭, ৩১০, ৩১৪, ফাতহুল বারী ২/৩২৬, আব্দুর রউফ মানাবী, ফাইদুল কাদীর ১/২৯৭, ইবনুল আসীর, জামিউল উসূল ৬/২৫৮।
[3] হাশিয়াতুত তাহতাবী, পৃ. ৩১৮।
[4] ইবনু নুজাইম (৯৭০ হি), আল-আশাবাহ ওয়ান নাযাইর ২/৩৬০।
[5] সূরা আ’রাফঃ ২০৫।
[6] সূরা আ’রাফঃ ৫৫।
[7] তাফসীরে তাবারী ৮/২০৬-২০৭, তাফসীরে কুরতুবী ৭/২২৩-২২৬, তাফসীরে ইবনে কাসীর ২/২২২, তাফসীরে জালালাইন, পৃ. ২০১।
[8] তাফসীরে তাবারী ৮/২০৬-২০৭, তাফসীরে কুরতুবী ৭/২২৩-২২৪, তাফসীরে ইবনে কাসীর ২/২২২।
[9] সহীহ বুখারি ৩/১০৯১, ২৮৩০, ৪/১৫৪১, নং ৩৯৬৮, ৫/২৩৪৬, নং ৬০২১, ৬/২৪৩৭, নং ৬২৩৬, ৬/২৬৯০, নং ৬৯৫২, সহীহ মুসলিম ৪/২০৭৬, নং ২৭০৪।