রাহে বেলায়াত দ্বিতীয় অধ্যায় - বেলায়াতের পথে যিকরের সাথে ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (রহ.) ১ টি
চ. আত্মশুদ্ধিমূলক মানসিক ও দৈহিক কর্ম - (৮) আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের (সা.) প্রেম

আল্লাহর প্রিয় হার্দিক কর্মের অন্যতম ভালবাসা। আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.)-কে অন্য সকল কিছু এবং নিজের জীবনের চেয়েও বেশি ভালবাসতে হবে। এবং আল্লাহর ওয়াস্তে সকল মুমিনকে ভালবাসতে হবে। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন:

ثلاثٌ من كن فيه وجد بهن حلاوة الإيمان، من كان الله ورسوله أحبَّ إليه مما سواهما


“তিনটি বিষয় যার মধ্যে থাকবে সে ঈমানের স্বাদ অনুভব করতে পারবে, প্রথম বিষয় যে, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল অন্য সকলের চেয়ে তার নিকট বেশি প্রিয় হবেন।”[1]


তিনি আরো বলেছেনঃ

لا يُؤْمِنُ أَحَدُكُمْ حَتَّى أَكُونَ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِنْ وَلَدِهِ وَوَالِدِهِ وَالنَّاسِ أَجْمَعِينَ


“তোমাদের কেউ ততক্ষন মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষন না সে আমাকে তার পিতা, সন্তান ও সকল মানৃষের চেয়ে বেশী ভালবাসবে।”[2]


ভালবাসা অর্জনের অন্যতম উপায় সাহচার্য ও অনুকরণ। সাহাবীগণ এভাবেই সত্যিকারের নবীপ্রেম অর্জন করতে পেরেছিলেন। পরবর্তী কালের নবীপ্রেমিকগণ দৈহিক সাহচার্য না পেলেও সার্বক্ষণিকভাবে তাঁর রেখে যাওয়া কুরআন ও হাদীস পাঠ, তাঁর ও তাঁর সহচরদের জীবনী পাঠ ও আলোচনার মাধ্যমে তাঁর রুহানী সাহচার্য লাভ করে তাঁর ভালবাসা অর্জন করেছিলেন। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁরই হুবহু অনুকরণ ও অনুসরণ করে হৃদয়ের মধ্যে এই ভালবাসাকে চিরস্থায়ী ও পরিপূর্ণ করেছিলেন তাঁরা। আমাদেরও এপথে এগোতে হবে।

নবীর (সা.) সকল উম্মাতকে ভালবাসা নবী-প্রেমের অংশ। যার মধ্যে তাঁর আনুগত্য, অনুসরণ ও অনুকরণ যত বেশি তার প্রতি মুমিনের প্রেমও তত বেশি। আল্লাহর ওয়াস্তে এই ভালবাসা। দল, মত, পাওনা, দেনা ইত্যাদি কারণে তা বাড়ে না বা কমে না। বরং দীন পালনের কারণে তা বাড়ে-কমে।

[1] বুখারী, আস-সহীহ ১/১৪, ১৬, ৬/২৫৪৬; মুসলিম, আস-সহীহ ১/৬৬।

[2] বুখারী, আস-সহীহ ১/১৪, ৬/২৪৪৫; মুসলিম, আস-সহীহ ১/৬৭।