الاستدلال على أسماء الله وصفاته من القرأن الكريم
কুরআনুল কারীম থেকে আল্লাহ তাআলার অতি সুন্দর নাম ও সুউচ্চ গুণাবলী সাব্যস্ত করার দলীলের পদ্ধতি:
১- الجمع بين النفي والإثبات في وصفه تعالى
১- একই সাথে নেতিবাচক ও ইতিবাচক বক্তব্যের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার সিফাত সাব্যস্ত করা অর্থাৎ আল্লাহ তাআলার পবিত্র সত্তা হতে সকল প্রকার দোষ-ত্রুটি নাকোচ করা এবং তাঁর পবিত্র সত্তার জন্য পূর্ণতার গুণাবলী সাব্যস্ত করণ:
শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমীয়া (রঃ) বলেন,
قَدْ دَخَلَ فِي هَذِهِ الْجُمْلَةِ مَا وَصَفَ اللَّهُ بِهِ نَفْسَهُ فِي سُورَةِ الْإِخْلَاصِ الَّتِي تَعْدِلُ ثُلُثَ الْقُرْآنِ حَيْثُ يَقُولُ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ اللَّهُ الصَّمَدُ لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُ كُفُوًا أَحَدٌ
নাবোধক ও হ্যাঁবাচক বক্তব্যের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা নিজেকে যেসমস্ত সুউচ্চ গুণে গুণান্বিত করেছেন, তার মধ্যে কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান সূরা ইখলাসে বর্ণিত গুণাবলী অন্যতম। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ ‘‘বলোঃ তিনি আল্লাহ্ একক। আল্লাহ্ অমূখাপেক্ষী। তিনি কাউকে জন্ম দেন নি, কেউ তাকে জন্ম দেয়নি এবং তাঁর সমতুল্য কেউ নেই’’।
ব্যাখ্যা: এখানে শাইখুল ইসলাম পূর্বোক্ত বাক্যের দিকে ইঙ্গিত করেছেন। সেই বাক্যটি হচ্ছে,وَهُوَ سُبْحَانَهُ قَدْ جَمَعَ فِيمَا وَصَفَ وَسَمَّى بِهِ نَفْسَهُ بَيْنَ النَّفْيِ وَالْإِثْبَات অর্থাৎ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা নিজেকে যেসব গুণে গুণান্বিত করেছেন এবং তিনি নিজেকে যেসব নামে নামকরণ করেছেন, তাতে তিনি নফী এবং ইছবাতকে একত্রিত করেছেন। আর এখানে তিনি কুরআন ও সুন্নাহ থেকে তার উপর দলীল পেশ করা শুরু করেছেন। সূরা ইখলাসের অনেক ফযীলত থাকার কারণে তিনি সর্বপ্রথম এই সূরাকেই উল্লেখ করেছেন। এই সূরাকে সূরা ইখলাস হিসাবে নামকরণ করার কারণ হলো এটিকে আল্লাহর সিফাতের জন্য খালেস (বাছাই ও নির্দিষ্ট) করা হয়েছে এবং যে ব্যক্তি সূরা ইখলাস পাঠ করে, সূরা ইখলাস তাকে শির্ক থেকে মুক্ত করে। সে হিসাবে ইখলাস অর্থ মুক্ত করা।