আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
يَمْحَقُ اللهُ الرِّبَا وَيُرْبِي الصَّدَقَاتِ وَاللهُ لاَ يُحِبُّ كُلَّ كَفَّارٍ أَثِيمٍ.
‘আল্লাহ সূদকে সংকুচিত করেন এবং দানকে বর্ধিত করেন। আল্লাহ কোন অবিশ্বাসী পাপীকে পসন্দ করেন না’ (বাক্বারাহ ২৭৬)।
এই আয়াত প্রমাণ করে যে, সূদ মানুষের অর্থকে ধ্বংস করে এবং দান মানুষের অর্থকে বৃদ্ধি করে। আল্লাহ অন্যত্র বলেন,
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَأْكُلُوا الرِّبَا أَضْعَافًا مُضَاعَفَةً وَاتَّقُوا اللهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ.
‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সূদ খেয়ো না। তোমরা আল্লাহ্কে ভয় কর, যাতে তোমরা সফলতা লাভ করতে পার’ (আলে ইমরান ১৩০)।
আল্লাহ তা‘আলা অন্যত্র বলেন,
يَاأَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللهَ وَذَرُوا مَا بَقِيَ مِنْ الرِّبَا إِنْ كُنتُمْ مُؤْمِنِينَ.
‘হে বিশ্বাস স্থাপনকারীগণ! আল্লাহ্কে ভয় কর এবং যদি তোমরা মু’মিন হও তবে সূদের মাধ্যমে যা বকেয়া রয়েছে তা বর্জন কর’ (বাক্বারাহ ২৭৮)।
عَنْ جَابِرٍ قَالَ لَعَنَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ آكِلَ الرِّبَا وَمُؤْكِلَهُ وَكَاتِبَهُ وَشَاهِدَيْهِ وقَالَ هُمْ سَوَاءٌ.
জাবির (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) সূদ গ্রহণকারী, প্রদানকারী ও সূদের দু’সাক্ষীর প্রতি অভিশাপ করেছেন। রাসূল (ছাঃ) বলেন, অভিশাপে তারা সবাই সমান (মুসলিম, মিশকাত হা/২৮০৭; বাংলা ৬ষ্ঠ খন্ড, হা/২৬৮৩ ‘ক্রয়-বিক্রয়’ অধ্যায়, ‘সূদ’ অনুচ্ছেদ)।
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ حَنْظَلَةَ غَسِيْلِ الْمَلاَئِكَةِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دِرْهَمُ رِبَا يَأْكُلُهُ الرَّجُلُ وَهُوَيَعْلَمُ أَشَدُّ مِن سِتَّةِ وَثَلاَثِيْنَ زِنْيَةً.
আবদুল্লাহ ইবনু হানযালাহ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘কোন ব্যক্তি জেনে শুনে এক দিরহাম বা একটি মুদ্রা সূদ গ্রহণ করলে ছত্রিশবার যেনা করার চেয়ে কঠিন হবে’ (আহমাদ, হাদীছ ছহীহ, মিশকাত হা/২৮২৫; বাংলা হা/২৭০১)।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الرِّبَا سَبْعُونَ حُوبًا أَيْسَرُهَا أَنْ يَنْكَحَ الرَّجُلُ أُمَّهُ.
আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘সুদের পাপের ৭০টি স্তর রয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ হচেছ মাতাকে বিবাহ করা’ (ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/২৮২৬, হাদীছ ছহীহ)।
عَنِ ابْنِ مَسْعُوْدٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ الرِّبَا وَإِنْ كَثُرَ فَإِنَّ عَاقِبَتَهُ تَصِيْرُ إِلَى قَلٍّ.
ইবনু মাস‘ঊদ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই সূদ এমন বস্তু যার পরিণাম হচ্ছে সংকচিত হওয়া যদিও তা বৃদ্ধি মনে হয়’ (ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/২৮২৭)।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ لَعَنَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الرَاشِيَ وَالْمُرْتَشِيْ.
আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) ঘুষ গ্রহণকারী ও ঘুষ প্রদানকারীর উপর অভিশাপ করেছেন (ইবনু মাজাহ, সনদ ছহীহ, মিশকাত, হা/৩৭৫৩ ‘নেতৃত্ব’ অধ্যায়)।
عَنْ أَبِي أُمَامَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ شَفَعَ لِأَخِيهِ بِشَفَاعَةٍ فَأَهْدَى لَهُ هَدِيَّةً عَلَيْهَا فَقَبِلَهَا فَقَدْ أَتَى بَابًا عَظِيمًا مِنْ أَبْوَابِ الرِّبَا.
আবূ উমামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কারো জন্য সুপারিশ করল এবং সেই সুপারিশের প্রতিদান স্বরূপ তাকে কিছু উপহার দিল। যদি সে তা গ্রহণ করে তাহ’লে সে সূদের দরজাসমূহের একটি বড় দরজায় উপস্থিত হ’ল’ (আবূদাঊদ, সনদ হাসান, মিশকাত, হা/৩৭৫৭)।
عَنْ بُرَيْدَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ اسْتَعْمَلْنَاهُ عَلَى عَمَلٍ فَرَزَقْنَاهُ رِزْقًا فَمَا أَخَذَ بَعْدَ ذَلِكَ فَهُوَ غُلُولٌ.
বুরায়দাহ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘আমি যাকে ভাতা দিয়ে কোন কাজের দায়িত্ব প্রদান করেছি সে যদি ভাতা ব্যতীত অন্য কিছু গ্রহণ করে তাহ’লে তা হবে খিয়ানাত’ (আবূদাঊদ, মিশকাত হা/৩৭৪৮)।
عَنْ خَوْلَةَ الْأَنْصَارِيَّةِ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ رِجَالاً يَتَخَوَّضُوْنَ فِيْ مَالِ اللهِ بِغَيْرِحَقٍّ فَلَهُمُ النَّارُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ.
খাওয়ালাহ আনছারী (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই কিছু লোক আল্লাহর সম্পদ অন্যায়ভাবে ভক্ষণ করে। ক্বিয়ামতের দিন তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নাম। (বুখারী, মিশকাত হা/৩৭৪৬)।