عَنْ أَبِيْ أُمَامَةَ رضـ قَالَ أَتَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ مُرْنِيْ بِأَمْرٍ اَنْقَطِعُ بِهِ قَالَ اعْلَمْ أَنَّكَ لاَ تَسْجُدُ لِلَّهِ سَجْدَةً إِلاَّ رَفَعَكَ اللهُ بِهَا دَرَجَةً وَحَطَّ بِهَا عَنْكَ خَطِيْئَةً-
আবু উমামা বাহেলী (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট এসে বললাম, আপনি আমাকে একটি আমলের কথা বলুন, যা আমি যথাযথভাবে পালন করব। রাসূল (ছাঃ) বললেন, যখনই তুমি আল্লাহর ওয়াস্তে সিজদা করবে, তখনই আল্লাহ তোমার মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন এবং গুনাহ মুছে দেবেন’ (সিলসিলাহ ছহীহাহ হা/৫৪২)।
عَنْ أَبِيْ الْمُنِيْبِ قَالَ رَأَى ابْنُ عُمَرَ فَتًى قَدْ أَطَالَ الصَّلاَةَ وَأَطْنَبَ فَقالَ أَيُّكُمْ يَعْرِفُ هَذَا فَقَالَ رَجُلٌ أَنَا أَعْرِفُهُ فَقَالَ أَمَّا أَنِّيْ لَوْ أَعْرَفْتُهُ لَأَمَرْتُهُ بِكَثْرَةِ الرُّكُوْعِ وَالسُّجُوْدِ فَاِنِّيْ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ يَقُوْلُ اِنَّ الْعَبْدَ إِذَا قَامَ إِلَى الصَّلاَةِ اُتِيَ بِذُنُوْبِهِ كُلِّهَا فَوُضِعَتْ عَلَى عَاتِقَيْهِ فَكُلَّمَا رَكَعَ أَوْ سَجَدَ تَسَاقَطَتْ عَنْهُ-
আবু মুনীব (রাঃ) বলেন, একদা ইবনু ওমর (রাঃ) এক যুবককে দীর্ঘ সময়ে ছালাত আদায় করতে দেখলেন এবং বললেন, তোমরা কেউ এ যুবকের পরিচয় জান? একজন বলল, আমি তাকে চিনি। ইবনু ওমর (রাঃ) বললেন, আমি তাকে চিনলে বেশী বেশী রুকূ সিজদা করতে বলতাম। কারণ রাসূল (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, ‘নিশ্চয়ই বান্দা যখন ছালাতে দাঁড়ায় তার সমস্ত গুনাহ তার দু’কাঁধে রেখে দেয়া হয়। যতবার রুকু, সিজদা করে ততবার তার গুনাহ ঝরে পড়ে’ (সিলসিলাহ ছহীহাহ হা/৫৭৫)।
অত্র হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, কোন অপরাধী ছালাত আরম্ভ করলে তার গুনাহ তার কাঁধে চাঁপিয়ে দেয়া হয় এবং রুকূ-সিজদার সাথে সে গুনাহ ঝরে যায়।
عَنْ سَلْمَانَ الْفَارِسِيِّ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ الْمُسْلِمَ يُصَلِّي وَخَطَايَاهُ مَرْفُوْعَةٌ عَلَى رَأْسِهِ، كُلَّمَا سَجَدَ تَحَاتَّتْ عَنْهُ فَيَفْرُغُ مِنْ صَلاَتِهِ وَقَدْ تَحَاتَّتْ خَطَايَاهُ-
সালমান ফারসী (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যখন মুসলমান ছালাত আরম্ভ করে তার গুনাহ তার মাথার উপর থাকে। যতবার সে সিজদা করে ততবার গুনাহ ঝরে পড়ে। অতঃপর যখন সে ছালাত শেষ করে তখন তার সব গুনাহ ঝরে যায়’ (সিলসিলা ছহীহাহ হা/৫৭৯)।
قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَرْبَعِيْنَ يَوْمًا فِيْ جَمَاعَةٍ يُدْرِكُ التَّكْبِيْرَةَ الأُوْلَى كُتِبَتْ لَهُ بَرَأَتَانِ بَرَأَةٌ مِّنَ النَّارِ وَبَرَأَةٌ مَّنَ النِّفَاقِ-
রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য ৪০ দিন জামা‘আতে ছালাত আদায় করবে এবং তাকবীরে তাহরীমা পাবে অর্থাৎ ছালাত আরম্ভ হওয়ার সময় উপস্থিত থাকবে আল্লাহ তাকে দু’টি জিনিস হতে মুক্তি দিবেন। ১. জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিবেন এবং ২. মুনাফেকী থেকে মুক্তি দিবেন’ (সিলসিলা ছহীহাহ হা/৭৪৭)।
عَنْ أَبِىْ أُمَامَةَ الْبَاهِلِىِّ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وسَلَّمَ مَنْ خَرَجَ مِنْ بَيْتِهِ مُتَطَهِّرًا إِلَى صَلاَةٍ مَكْتُوْبَةٍ فَأَجْرُهُ كَأَجْرِ الْحَاجِّ الْمُحْرِمِ وَمَنْ خَرَجَ إِلَى تَسْبِيْحِ الضُّحَى لاَ يَنْصِبُهُ إِلاَّ إِيَّاهُ فَأَجْرُهُ كَأَجْرِ الْمُعْتَمِرِ وَصَلاَةٌ عَلَى أَثَرِ صَلاَةٍ لاَ لَغْوَ بَيْنَهُمَا كِتَابٌ فِيْ عِلِّيِّيْنَ-
আবু উমামা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে নিজের ঘর হতে ওযূ করে ফরয ছালাত আদায়ের জন্য বের হল তার নেকী একজন এহরামধারী হাজীর নেকীর সমান। আর যে চাশতের ছালাতের জন্য বের হল, তার ছওয়াব একজন ওমরাকারীর ছওয়াবের সমান এবং এক ছালাতের পর অপর ছালাত আদায় করা যার মধ্যে কোন অনর্থক কাজ করা হয়নি এমন ব্যক্তির নাম ইল্লীনে লেখা হয়’ (আহমাদ, হাদীছ ছহীহ, আলবানী, তাহক্বীক্ব মিশকাত হা/৭২৮; বাংলা মিশকাত হা/৬৭৩)।