নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ছলতের যে বিবরণী ও পদ্ধতি উল্লেখ করা হল এতে নারী-পুরুষ সবাই সমান। ঐ সকল পদ্ধতির কিছু অংশেও নারীদের স্বাতন্ত্র্য রয়েছে। এ দাবীর স্বপক্ষে সুন্নাহতে কিছুই উদ্ধৃত হয়নি। বরং নাবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এ বাণীর সাধারণভঙ্গি তাদেরকেও শামিল করেঃ صلوا كما رأيتموني أصلي তোমরা ঠিক ঐভাবে ছালাত আদায় কর যেভাবে আমাকে ছালাত আদা করতে দেখ। আর এটাই হচ্ছে ইবরাহীম নাখাঈর উক্তি। তিনি বলেছেনঃ
تفعل المرأة في الصلاة كما يفعل الرجل
নারী ছালাতে তাই করবে যা একজন পুরুষ করে। এটি বর্ণনা করেছেন ইবনু আবী শাইবাহ (১/৭৫/২) ছহীহ সনদে।
সাজদাহ অবস্থায় নারীর সংকুচিত হওয়ার যে হাদীছ রয়েছে যাতে এও আছে যে, এক্ষেত্রে নারী; পুরুষের মত নয়, সে হাদীছটি মুরসাল-ও (সূত্র ধারা ছিন্ন) এটা প্রমাণ্যের অযোগ্য। এটিকে বর্ণনা করেছেন আবু দাউদ “মারাসীল” গ্রন্থে (১১৭/৮৭) ইয়াযীদ বিন আবু হাবীবের বরাতে। আর এটি “যাঈফাহ”তে উদ্ধৃত হয়েছে ২৬৫২।
আর ইমাম আহমাদ যা বর্ণনা করেছেন স্বীয় ছেলে কর্তৃক সংকলিত তার থেকে বর্ণনাকৃত মাসায়েল গ্রন্থে (পৃষ্ঠা ৭১) ইবনু উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি মহিলাদেরকে ছলাতে চারজানুহয়ে বসতে বলতেন। এর সনদ ছহীহ নয়। কারণ এর বর্ণনা সূত্রের ভিতর আব্দুল্লাহ ইবনুল উমরী নামক রাবী যাঈফ বা দুর্বল।
পক্ষান্তরে ইমাম বুখারী “আততারীখুছ ছাগীর” গ্রন্থে (পৃষ্ঠা ৯৫) ছহীহ সনদে উম্মুদ দারাদা থেকে বর্ণনা করেছেন-
أنها كانت تجلس في صلاتها جلسة الرجل وكانت فقيهة
তিনি (উম্মুদ দারদা) ছলাতে পুরুষদের বসার মতই বসতেন, অথচ তিনি ফকীহাহ অর্থাৎ ধৰ্মজ্ঞানের অধিকারিণী ছিলেন।
তাকবীর থেকে তাসলীম পর্যন্ত নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ছালাত আদায় পদ্ধতি ও বিবরণীর এতটুকুই সংকলন করা আমার জন্য সহজসাধ্য হল। আল্লাহর নিকট আশাবাদী তিনি যেন একে তাঁর সম্মানিত চেহারার (সন্তুষ্টির) উদ্দেশ্যে খাটি করে নেন, এবং তার দয়ালু নাবীর সুন্নাহর প্রতি দিক নির্দেশক করে।