নবী (সা.) এর ছলাত সম্পাদনের পদ্ধতি সালাত বিষয়ে বিস্তারিত মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দিন আলবানী (রহ.) ১ টি
وجوب الصلاة على النبي ﷺ তাশাহহুদে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি ছালাত পাঠ ওয়াজিব

নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে ছলাতের ভিতর (তাশাহহুদে) আল্লাহর মহিমাকীর্তন ও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি ছালাত পাঠ না করতে শুনে বলেছিলেনঃ “এ ব্যক্তি তাড়াহুড়া করলো”। অতঃপর তাকে ডেকে তার ও অন্যান্যদের উদেশে বললেনঃ

إذا صلى أحدكم فليبدأ بتحميد ربه جل وعز والثناء عليه ثم يصلي وفي رواية: ليصل) على النبي صلى الله عليه وسلم ثم يدعو بما شاء

তোমাদের কেউ ছালাত আদায় করলে প্ৰথমে যেন আল্লাহর প্রশংসা ও গুণগান বর্ণনা করে। অতঃপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি ছালাত পাঠ করে। অতঃপর যা ইচ্ছা দু’আ করবে।[1]

سمع رجلا يصلي فمجد الله وحمده وصلى على النبي صلى الله عليه وسلم فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: ادع تجب وسل تعط

নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছালাতরত অবস্থায় এক ব্যক্তিকে আল্লাহর মহিমাকীর্তন ও প্রশংসা এবং নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি ছালাত পাঠ করতে শুনার পর বললেন- দু'আ কর কবুল হবে, চাও প্রদত্ত হবে।[2]

[1] আহমাদ, আবু দাউদ, ইবনু খুযাইমাহ (১/৮৩/২) এবং হাকিম বর্ণনা করে ছহীহ বলেছেন ও যাহাবী এর সমর্থন করেছেন। জেনে রাখুন, এ হাদীছ এ মর্মে নির্দেশ করছে যে, এ তাশাহহুদে নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি ছলাত পাঠ করা ওয়াজিব। কারণ এর জন্য নির্দেশ এসেছে। আর ওয়াজিব হওয়ার পক্ষে গেছেন ইমাম শাফিঈ ও আহমাদ- তার দুটি বর্ণনার শেষটি অনুসারে। এ দু'জনের পূর্বে ছাহাবাহ ও অন্যান্য বিদ্বনগণের একটি দলও এ পক্ষেই মত ব্যক্ত করেছেন। আ-জুররী (রহঃ) তার “আশশারীআহ” গ্রন্থে (৪১৫) বলেছেনঃ “শেষ তাশাহহুদে যে ব্যক্তি নবীর প্রতি ছালাত পাঠ করবেনা তার উপর ছলাত দোহরানো ওয়াজিব।” অতএব যে ব্যক্তি ওয়াজিব বলার কারণে ইমাম শাফিঈকে শায বা ব্যতিক্রমী (রীতিবিরুদ্ধ) বলে প্রতিপন্ন করেছে সে ন্যায়পরায়ণতা প্রদর্শন করেনি। যেমনটি ফকীহ হায়ছামী বর্ণনা করেছেন স্বীয় গ্রন্থ “আদদুরুল মানুযুদ ফিছ ছলাতি অসসালামি 'আলা ছাহিবিল মাকামিল মাহমুদ”(১৩-১৬)।

[2] নাসাঈ, ছহীহ সনদে।