নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কিরা’আত শেষে একটু বিরাম নিতেন।[1] অতঃপর তিনি হস্তদ্বয় তাকবীরে তাহরীমায় উল্লেখিত নিয়মানুসারে উত্তোলন করতেন[2] এবং আল্লাহু আকবার[3] বলে রুকূ করতেন।[4] এই দুই বিষয়ে (তাকবীর ও রুকূ) তিনি ছালাতে ক্ৰটিকারী ব্যক্তিকে নির্দেশ দিয়ে বলেছেনঃ
إنها لاتتم صلاة احد کم حتی یسبغ الوضوء کما امره الله ... ثم یکبر الله ویحمده ويمجده، ويقرأ ما تيسر من القرآن مما علمه الله وأذن له فیه، ثم یکبر ویرکع، ویضع یدیه علی رکبتیه حتی تطمئن مفاصله وتسترخي ...
তোমাদের কারো ছালাত ততক্ষণ পর্যন্ত পরিপূর্ণ হবে না যতক্ষণ না আল্লাহর নির্দেশানুযায়ী ভালভাবে ওযু করবে অতঃপর আল্লাহু আকবার বলে তাঁর প্রশংসা ও মহত্বের গুণ-কীৰ্তন করবে এবং কুরআন থেকে আল্লাহর শিখানো ও অনুমোদিত অংশ হতে যা সহজ তা পাঠ করবে। অতঃপর তাকবীর বলে রুকু করবে ও এমতাবস্থায় স্বীয় হস্তদ্বয় উভয় হাঁটুর উপর স্থাপন করবে- যাতে দেহের জোড়াগুলো শান্তশিষ্ট ও স্থির হয়ে যায় ........ আল হাদীছ।[5]
[2] বুখারী ও মুসলিম, আর এ ক্ষেত্রে রফউল ইয়াদাইন (হস্ত উত্তোলন) ও রুকু থেকে উঠা কালে হস্ত উত্তোলন মুতাওয়াতির (বহু সংখ্যক বৰ্ণনাকারীর) হাদীছ দ্বারা সাব্যস্ত। এটা হচ্ছে তিনজন ইমাম- মালিক, শাফিঈ আহমাদ বিন হাম্বল ও অধিকাংশ মুহাদ্দিছ এবং ফকীহগণের মত। ইবনু আসাকির এর বর্ণনা অনুযায়ী (১৫/৭৮/২) ইমাম মালিক এর উপরেই মারা যান। হানাফীদের মধ্যে কেউ কেউ এই মত গ্ৰহণ করেছেন। ইমাম আবু ইউসুফ এর শিষ্য ইছাম বিন ইউসুফ আবু ইছমাহ বালখি (২১০) এর বর্ণনা ভূমিকায় উল্লেখ করা হয়েছে পৃষ্ঠা- ৩৮ আব্দুল্লাহ বিন আহমাদ স্বীয় পিতা থেকে ‘মাসাইল’ গ্রন্থে (পৃষ্ঠা ৬০) বৰ্ণনা করেছেন। উকবা বিন আমির থেকে বর্ণনা করা হয়েছে, ছালাতে প্ৰত্যেকবারের হস্ত উত্তোলনে দশটি করে পুণ্য রয়েছে। আমি বলতে চাই এ কথার পক্ষে একটি হাদীছে কুদসী সাক্ষ্য বহন করে তা হচ্ছে- ومن هم بحسنة فعملها كتبت له عشر حسنات إلى سبعمائة অর্থাৎ- যে ব্যক্তি একটি পুণ্যের নিয়ত করতঃ তা পালন করবে তার জন্য দশ থেকে সাত শত পর্যন্ত পুণ্য লিখা হয়। বুখারী, মুসলিম, ছহীহ তারাগীব (১৬)
[3] প্রাগুক্ত।
[4] প্রাগুক্ত।
[5] আবু দাউদ ও নাসাঈ, হাকিম একে ছহীহ বলেছেন এবং যাহাবী তার সমর্থন করেছেন।