অতঃপর তিনি যখন ফাতিহা পাঠ শেষ করতেন তখন প্ৰকাশ্য ও দীর্ঘ স্বরে আমীন বলতেন।[1]
তিনি মুক্তাদীদেরকে ইমামের আমীন বলার একটু পরেই (সাথে সাথে) আমীন বলতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেনঃ ইমাম যখন বলেনঃ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ তখন তোমরা আমীন বলবে কেননা (তখন) ফিরিশতাগণ আমীন বলেন এবং ইমামও আমীন বলেন। অপর শব্দে ইমাম যখন আমীন বলেন তখন তোমরা আমীন বলবে কেননা যার আমীন ফিরিশতাদের আমীনের সাথে মিলে যাবে (অপর শব্দেঃ তোমাদের কেউ যখন ছালাতে আমীন বলে এবং ফিরিশতাগণ আসমানে আমীন বলেন, ফলে যদি একজনেরটা অপরজনের সাথে মিলে যায় তাহলে) তার পূর্বকৃত সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়।[2] অপর হাদীছে বলেছেনঃ فقولوا امين يجبكم الله তোমরা আমীন বলবে আল্লাহ পাক তোমাদের দুআ কবুল করবেন।[3] তিনি বলতেনঃ
ما حسد تکم الیهود علی شيء ما حسد تکم علی السلام والتأمین
ইয়াহুদরা তোমাদের সালাম ও (ইমামের পিছনে) আমীন বলার উপর যেরূপ বিদ্বেষ পোষণ করে অন্য কোন বিষয়ে এরূপ বিদ্বেষ পোষণ করে না।[4]
[2] বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ, দারিমী। অতিরিক্ত কথাগুলো শেষোক্ত দু'জনের। হাফিয ইবনু হাজার ফাতহুল বারীতে আবু দাউদের কথাও উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তা তার ধারণা মাত্র। তবে হাদীছ দ্বারা ইমামের আমীন না বলার উপর প্রমাণ গ্রহণ করা বাতিল প্রতিপন্ন হচ্ছে। যেমন ইমাম মালিক থেকে বর্ণিত হয়েছে। হাফিয ইবনু হাজার বলেন- এটা ইমামের আমীন বলার ব্যাপারে সুস্পষ্ট। আমি বলতে চাই, দ্বিতীয় শব্দটি এর সাক্ষ্য বহন করে। ইবনু আব্দিল বীর “আত-তামহীদ” গ্রন্থে (৭/১৩) বলেন- এটি হচ্ছে অধিকাংশ মুসলিমদের বক্তব্য, তাদের মধ্যে মদিনাবাসীদের বর্ণনানুযায়ী ইমাম মালিকও একজন। কারণ এ বিষয়ে ছহীহ সূত্রে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর হাদীছ এসেছে। একটি আবু হুরাইরাহ (রাযিয়াল্লাহু আনহু) কর্তৃক (অর্থাৎ অত্র হাদীছ) ও অপরটি ওয়ায়েল বিন হুজর (রাযিয়াল্লাহু আনহু)-এর বর্ণিত অর্থাৎ এর পূর্বেরটি।
[3] মুসলিম ও আবু আওয়ানাহ।
[4] বুখারী “আল-আদাবুল মুফরাদ” গ্রন্থে, ইবনু মাজাহ, ইবনু খুযাইমাহ, আহমাদ ও আস-সাররাজ দুটি ছহীহ সনদে। ফায়েদাহঃ মুক্তাদীদের আমীন বলা ইমামের বলার সাথে সাথে প্রকাশ্য শব্দে হবে। ইমামের পূর্বে বলবেনা, যেমনটি অধিকাংশ মুছলী করে থাকে। আর ইমামের পরেও বলবে না। এ নিয়মই পরিশেষে আমার নিকট প্রাধান্যযোগ্য বলে প্ৰকাশ পেয়েছে। যেমনটি তদন্ত সাপেক্ষে সাব্যস্ত করেছি। আমার কোন কোন গ্রন্থে, তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সিলসিলা যাঈফাহ ৯৫২, ছহীহুত্ তারাগীব অত-তারহীব ১ম খণ্ড ২০৫, পৃষ্ঠা।