الصلاة على المنبر মিম্বরের উপর ছলাত
তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একদা মিম্বরের উপর ছলাত পড়েন। (অপর বর্ণনায় এটি ছিল তিন স্তর বিশিষ্ট)[1] তিনি এর উপর দাঁড়ালেন এবং আল্লাহু আকবার বললেন, লোকেরাও তাঁর পিছনে আল্লাহু আকবার বলল। তখনও তিনি মিম্বরে অবস্থানরত [অতঃপর মিম্বরের উপরেই রুকু করলেন] তারপর সোজা হয়ে পিছনে সরে অবতরণ করলেন এবং মিম্বরের পাদদেশে সাজদাহ করলেন। অতঃপর প্রত্যাবর্তন করলেন [এবং দ্বিতীয় রাকাআতে প্রথম রাক’আতের ন্যায় আমল করলেন] শেষ পর্যন্ত ছলাত সম্পন্ন করে লোকজনের দিকে মুখ করে বললেনঃ
يا أيها الناس! إني صنعت هذا لتأتموا بي، ولِتَعلَّموا صلاتي
হে লোক সমাজ! আমি এমনটি এজন্য করেছি যেন তোমরা আমার অনুকরণ করতে পার এবং আমার ছলাত শিখতে পারো।[2]
[1] মিম্বরের ক্ষেত্রে এই তিন স্তর হওয়াই সুন্নাত, এর চেয়ে বেশী নয়। বেশী করা হচ্ছে উমাইয়াদের কর্তৃক প্রবর্তিত বিদআত যা অনেক ক্ষেত্রে ছফ বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। আবার এই পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মসজিদের পশ্চিম পার্শ্বে অথবা মিহরাবে রাখা এটি আরেকটি বিদআত। এমনিভাবে একে দক্ষিণ দেয়ালে উচু করে। বারান্দার মত বানানো যাতে প্রাচীর ঘেষা সিড়ি দিয়ে উঠতে হয় (এটিও বিদআত)। বস্তুত সর্বোত্তম আদর্শ হচ্ছে মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর আদর্শ। দেখুন “ফাতহুল বারী” (২/৩৩১)।
[2] বুখারী ও মুসলিম এবং অপর বর্ণনাটিও মুসলিমের, ইবনু সা'দ (১/২৫৩)। এটি ইরওয়াতে উদ্ধৃত হয়েছে (৫৪৫)।
[2] বুখারী ও মুসলিম এবং অপর বর্ণনাটিও মুসলিমের, ইবনু সা'দ (১/২৫৩)। এটি ইরওয়াতে উদ্ধৃত হয়েছে (৫৪৫)।