সালাতের সময় হওয়ার আগেই মসজিদে হাজির হয়ে সালাতের আজানের জন্য অপেক্ষা করা, অন্যদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত কোন রোষ না রাখা, অন্যের ব্যক্তিগত ব্যাপারে নাক না গলানো, জীবনের মৌলিক প্রয়োজনীয় বিষয় পেয়ে সন্তুষ্ট থাকা কুরআন-হাদীস পাঠ করা, অন্যান্য মুসলমানদের দুঃখ-কষ্টে উদ্বেগ বোধ (টেনশন ফীল) করা অর্থাৎ মুসলমানদের ব্যথায় ব্যথিত হওয়া এবং নিজের সম্পদ দান করা- এসব হলো ধাৰ্মিক লোকদের গুণাবলি।
সম্পদ সম্বন্ধে মধ্যমপন্থা অবলম্বনের খুব জোড়ালোভাবে সুপারিশ করা হয়েছে। (আপনি যদি আল্লাহর পথে আপনার সম্পদকে বিজ্ঞতার সাথে ও উদারতার সাথে ব্যবহার না করেন তবে অবশ্যই) সমৃদ্ধির স্তর সন্ধান করা আপনার উচিত নয়, কেননা সমৃদ্ধি আপনাকে কুপথে চলতে প্রলুব্ধ করতে পারে এবং দারিদ্র্যের স্তরও চাওয়া আপনার উচিত নয়, কেননা তা আপনাকে পরকালের কথা ভুলিয়ে দিতে পারে।
বহু ঈমানদারের জন্য সর্বাপেক্ষা উত্তম অবস্থা হলো তাদের সকল কাজ হালালভাবে সম্পাদন করার মতো পর্যাপ্ত সম্পদ থাকা তার চেয়ে কমও নয় এবং তার চেয়ে বেশিও নয়। মৌলিক প্রয়োজন এক লোকের তুলনায় আরেকজনের কম-বেশি হতে পারে, তবে সাধারণত বাসগৃহ, যার কাছে শান্তি পাওয়া যায় এমন স্ত্রী, একটি উপযুক্ত গাড়ি যাতে চড়ে এদিক ওদিক চলাফিরা করা যায় এবং প্রয়োজনীয় রসদ ক্রয়ের মতো পর্যাপ্ত টাকা-পয়সা হলো মৌলিক প্রয়োজন। [এটাতো বর্তমান প্রেক্ষাপটে আরবদের কথা। কারণ, মূল আরবী গ্রন্থের গ্রন্থকার আরবদেশী। বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে নিজস্ব একটি গাড়ি ও শহরে নিজস্ব একটি বাড়ির আশা অধিকাংশ লোকের জন্যই মানসিক যাতনার কারণ - অনুবাদক।]