وَكَذَٰلِكَ جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وَسَطًا
“এরূপে আমি তোমাদেরকে মধ্যমপন্থী জাতি বানিয়েছি। (সূরা-২ বাকারাঃ আয়াত-১৪৩)
দু’টি চরম অবস্থার মাঝে সুখ পাওয়া যায় না; বাড়াবাড়ি ও অবহেলা। মধ্যমপন্থা হলো স্বর্গীয় (জান্নাতী) নির্দেশিত পথ যা আমাদের দুই চরম পন্থার স্পষ্ট মিথ্যা থেকে রক্ষা করে। আর তা হলো ইহুদীদের চরম বাড়াবাড়ি ও খ্রিস্টানদের চরম অবহেলা। ইহুদীদের জ্ঞান ছিল কিন্তু তারা আমল করত না; খ্রিস্টানরা আমল করত কিন্তু তারা তাদের নিকটে অবতীর্ণ স্বর্গীয় (জান্নাতী) কিতাবের জ্ঞানকে পরিত্যাগ করেছিল। জ্ঞান ও আমল উভয়টি নিয়েই ইসলাম এসেছে; এ ধর্ম দেহ-মন উভয়ের জন্যই যত্নবান; এ ধর্ম ওহী ও মন উভয়কেই অনুধাবন করেছে এবং প্রত্যেককেই তার ন্যায্য স্থান দিয়েছে।
আপনি ইবাদতের ব্যাপারে যখন মধ্যমপন্থী থাকেন তখন আপনি মধ্যম পথের অনুসরণ করছেন। এর অর্থ হলো আপনার এত বেশি নফল ইবাদত করা উচিত নয় যাতে আপনি আপনার শরীরের ক্ষতি করে ফেলেন ও শরীরকে দুর্বল করে ফেলেন এবং নফল ইবাদত একেবারে ছেড়ে দেয়াও আপনার উচিত নয়। ব্যয়ের ব্যাপারেও প্রচুর পরিমাণে আপনার সম্পদ ব্যয় করে অপচয়কারী হওয়া আপনার উচিত নয় এবং কৃপণ হওয়াও আপনার উচিত নয়। চরিত্রের মধ্যমপন্থা বলতে বুঝায় কঠোর ও অতিরিক্ত কোমল হওয়ার মাঝামাঝি অবস্থা অবলম্বন করা, সর্বদা ভ্ৰকুটি করা ও সর্বদা হাসার মাঝামাঝি অবস্থা অবলম্বন করা এবং নিঃসঙ্গ একাকীত্ব ও অতিরিক্ত সামাজিকতার মাঝামাঝি অবস্থায় অবলম্বন করা।
ইসলাম সকল ব্যাপারেই মধ্যম (পন্থী) ও ন্যায় সঙ্গর পদ্ধতির আঞ্জাম দেয়।