ঋণ, পার্থিব দায়িত্ব ও পাওনা পরিশোধ বিষন্নতা ও উদ্বিগ্নতা উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ বিষয়ে তিনটি মূলনীতি আছে- যা আমাদেরকে অবশ্যই বুঝতে হবে ও প্রয়োগ বা বাস্তবায়িত করতে হবে।

১. বিচক্ষণ লোক অন্যের উপর নির্ভর করবে না। প্রয়োজন মাফিক খরচ করে ও অপচয় না করে যে ব্যক্তি ব্যয় করবে, সে আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য পাবে।

إِنَّ الْمُبَذِّرِينَ كَانُوا إِخْوَانَ الشَّيَاطِينِ

“নিশ্চয় অপচয়কারীরা শয়তানের ভাই।” (১৭-সূরা বনী ইসরাঈলঃ আয়াত-২৭)

“আর তারা যখন ব্যয় করে তখন তারা অপচয় করে না এবং কার্পণ্যও করে না বরং তারা এতদুভয়ের মাঝে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করে।” (২৫-সূরা আল ফুরকানঃ আয়াত-৬৭)

২. হালাল উপায়ে আপনার রিযিক উপার্জনের চেষ্টা করুন। কেননা, আল্লাহ নিজে পবিত্র এবং পবিত্র ছাড়া অন্য কিছু তিনি কবুল করেন না। হারাম উপায়ে অর্জিত রিযিকে আল্লাহ বরকত দেন না।

وَلَوْ أَعْجَبَكَ كَثْرَةُ الْخَبِيثِ

“যদিও মন্দের আধিক্য তোমাকে চমৎকৃত করে।” (৫-সূরা মায়িদাঃ আয়াত-১০০)

৩. হালাল উপায়ে সম্পদ উপার্জন করার জন্য অধ্যবসায়ের সাথে কাজ করে যান এবং অকৰ্মণ্য ও অলস হওয়া পরিহার করুন। আব্দুল্লাহ ইবনে আউফ (রাঃ) যখন মদীনাতে হিজরত করেন, তখন তিনি তার সঙ্গে কিছুই নেননি। মদীনার আনসারদের একজন তাকে তার সম্পদের অর্ধেক দেয়ার প্রস্তাব করলেন। কারণ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার মাঝে ও ইবনে আউফ (রাঃ)-এর মাঝে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন প্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছিলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে আউফ (রাঃ) এই উদার উপহারকে নিতে নারাজ হলেন এবং শুধুমাত্র বললেন, “আমাকে বাজারের পথ দেখিয়ে দিন।”

فَإِذَا قُضِيَتِ الصَّلَاةُ فَانتَشِرُوا فِي الْأَرْضِ وَابْتَغُوا مِن فَضْلِ اللَّهِ وَاذْكُرُوا اللَّهَ كَثِيرًا لَّعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ

“অতপর, যখন (জুমআর) সালাত শেষ হয়ে যায় তখন তোমরা জমিনে ছড়িয়ে পড় ও আল্লাহর করুণা (রিযিক) অনুসন্ধান কর এবং আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ কর যাতে তোমরা সফল হও।” (৬২-সূরা আল জুমআঃ আয়াত-১০)