“আল ফারাজু বা’দাশ্শিদ্দাহ (الفرج بعد الشدة) দুঃখ-কষ্টের পরে আরাম-আয়েশ” নামক পুস্তকের ত্রিশটিরও বেশি অধ্যায়ে আরাম-আয়েশ ও দুঃখ-কষ্ট নিয়ে লিখা। কিতাবটি এ বিষয়ের উপর জোর প্রদান করে যে, আমরা দুঃখ-কষ্ট দ্বারা যত বেশি আচ্ছন্ন হই, তত বেশি আরাম-আয়েশের নিকটবর্তী হই। এ কিতাবের দুশতাধিক গল্প আছে, এ সবগুলোই এ বিষয়ে। সংকট যাই হোক না কেন, তা সুদিন আসার পূর্বের কয়েকটি দিনের ব্যাপার মাত্র।
আত্তানূখি বলেছেন- “শান্ত থাক। কেননা তোমার পূর্বে অনেকেই এসেছিল, যারা এ পথ মাড়িয়েছে।”
وَلَنَبْلُوَنَّكُم بِشَيْءٍ مِّنَ الْخَوْفِ وَالْجُوعِ وَنَقْصٍ مِّنَ الْأَمْوَالِ وَالْأَنفُسِ وَالثَّمَرَاتِ
“এবং আমি অতি অবশ্যই তোমাদেরকে কিছু ভয়, ক্ষুধা এবং সম্পদ, জীবন ও ফল-ফসলাদির ক্ষতি দ্বারা পরীক্ষা করব।” (২-সূরা বাকারাঃ আয়াত-১৫৫)
“এবং আমি সত্যিই তাদের পূর্ববর্তীদেরকে পরীক্ষা করেছিলাম।” (৩-সূরা আলে ইমরানঃ আয়াত-২৯)
এ পরীক্ষার যুগেও ঠিক সে তেমনই আমাদের আমৃত্যু পরীক্ষা চলতে থাকবে এবং সুসময়ে আমাদের যেমন আল্লাহর ইবাদত করার কথা, দুঃসময়েও ঠিক তেমনই আমাদের আল্লাহর ইবাদত করার কথা। সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ দিন-রাত্রির পরিবর্তনের মতো আমাদের অবস্থা পরিবর্তন করে থাকেন। তবে কেন ক্রোধ, কেন অবাধ্যতা এবং কেন অভিযোগ?
“আর যদি আমি তাদেরকে আদেশ দিতাম যে, তোমরা নিজেদেরকে হত্যা কর অথবা তোমাদের ঘর-বাড়ি থেকে বের হয়ে যাও তবে তাদের অল্প সংখ্যকই এ কাজ করত।” (৪-সূরা আন নিসাঃ আয়াত-৬৬)