যখন আমরা দুঃখ-কষ্ট, অভাব-অনটন ও শান্তির বিষয় সম্বন্ধে চিন্তা করি তখন আমাদের দুটি বিষয় মনে রাখা উচিত।
প্রথমটি হলো- যখন কেউ আর সংকট সহ্য করতে পারে না, তখন মানুষের নিকট তার কোন আশা থাকে না। ফলে, তার আত্মা একমাত্র আল্লাহর উপরেই নির্ভর করবে।
দ্বিতীয়টি হলো- সত্যিকার মু’মিন লোক যখন বুঝতে পারে যে, শান্তি ধীরে আসছে এবং যখন সে বুঝতে পারে যে, তার প্রার্থনার উত্তর দেয়া হচ্ছে না তখন সে শুধুমাত্র নিজেকেই দোষারোপ করবে। সে নিজেকে বলবে, “একমাত্র তোমার কারণেই আমি এ অবস্থায় আছি।” এ ধরনের আত্ম-তিরস্কার আল্লাহর নিকট বহু নেক আমল থেকেও বেশি প্রিয়। আল্লাহর কোন বান্দা যখন এ প্রক্রিয়ার অন্তর্দর্শন ও আত্ম-তিরস্কার করে তখন সে তার ক্রটি-বিচ্যুতি স্বীকার করে তার উপর যে মুসিবত এসেছে সে তার যোগ্য-একথা সে স্বীকার করে এবং এটাও স্বীকার করে যে, সে তার প্রার্থনার উত্তর পাওয়ার যোগ্য নয়। এ অবস্থায়ই তার প্রার্থনার উত্তর দ্রুত আসে এবং তার ওপরের কালেমেঘ অদৃশ্য হয়ে যায়।
ইব্রাহীম ইবনে আদহাম (রহঃ) বলেছেনঃ “রাজা-বাদশার যদি আমাদের জীবনের প্রকৃতি জানত, তবে তারা এর জন্য তরবারী দ্বারা আমাদের সাথে যুদ্ধ করত।” ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) বলেছেন, “মাঝে মাঝে আমার আত্মা কয়েক ঘণ্টা ধরে এক অবর্ণনীয় অনুভূতি বোধ করে। তখন আমি বলি, ঠিক এ মুহুর্তে আমি যে অবস্থায় আছি বেহেশতবাসীরা যদি এই অবস্থায় থেকে থাকে তবে তারা উত্তম জীবন যাপন করছে।”