كُلَّ مُيَسَّرٌ لِمَا خُلِقَ لَهُ
ভাবাৰ্থঃ “যাকে যে কাজের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে তার জন্য সে কাজ সহজ।”
তাহলে প্রতিভাকে কেন অবজ্ঞা করে ছুঁড়ে ফেলা হয়? সবচেয়ে শোচনীয় হতভাগা সে ব্যক্তি, যে নাকি (নিজের স্বরূপ বাদ দিয়ে) অন্য আরেকজন হতে চায় (হুবহু অন্যের অনুকরণ করতে চেষ্টা করে)। বুদ্ধিমান ও জ্ঞানী সে ব্যক্তি যে নাকি নিজেকে নিয়ে গবেষণা করে এবং তাকে যে উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করা হয়েছে তা পূর্ণ করে। যদি ড্রাইভার হওয়ার কথা থাকে তবে গাড়ি চালাবে। যদি কৃষক হওয়ার কথা থাকে তবে সে চাষাবাদ করবে। আরবী ব্যাকরণবিদ ‘সীবাওয়ইহ’ হাদীসশাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। কিন্তু এ শাস্ত্র তার কছে কঠিন লাগল। তাই তিনি (আরবী) ব্যাকরণ নিয়ে গবেষণা শুরু করলেন এবং শুধুমাত্র দক্ষই হলেন না, অধিকন্তু, ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ একজন (আরবী) ব্যাকরণবিদ হয়ে গেলেন।
একজন জ্ঞানী লোক বলেছেন, “যে ব্যক্তি এমন কাজ করতে চেষ্টা করে যা তাকে মানায় না সে ঐ লোকের মতো যে-নাকি দামেস্কে খেজুর গাছ লাগায় অথবা তার মতো যে নাকি আরব উপদ্বীপে লেবুগাছ লাগায়।”
ভেবে দেখুনঃ হাস্সান বিন সাবিত (রাঃ)-এর গলার আওয়াজ মুয়াজ্জিন হওয়ার উপযোগী ছিল না। কেননা তিনি বিলাল (রাঃ) ছিলেন না এবং খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ) মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বন্টন করতেন না কারণ তিনি যায়িদ বিন সাবিত (রাঃ) ছিলেন না। [যায়িদ বিন সাবিত (রাঃ) ইসলামী উত্তরাধিকার আইনে সুবিজ্ঞ ছিলেন।] অতএব, বিষয়ের পরিকল্পনায় আপনার অবস্থান তালাশ করে তা নির্দিষ্ট করুন। (অর্থাৎ, আপনার জন্য উপযুক্ত কাজটি- আপনার জন্য বেছে নিন।
একজন আরব কবি বলেছেন-
وللمعارك أبطال لها خلقوا ٭ وللدواوين حساب وكتاب
ভাবাৰ্থঃ যুদ্ধের জন্য বীর (সৃষ্টি করা) আছে আর বইয়ের জন্য লেখক ও কবি (সৃষ্টি করা) আছে।” (ইংরেজি পুস্তক অনুসারে অনুবাদ করা হলো।”