কেউ যদি ক্ষমতা, সম্মান, সামাজিক মান, পদমর্যাদা ও সম্পদ দ্বারা ভূষিত হয়, তবে তাকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে সে পরীক্ষিত হচ্ছে। সুলাঈমান (আঃ) যখন রাণী বিলকিসের সিংহাসনকে তার সামনে হাজির দেখলেন তখন তিনি বলেন-
هَٰذَا مِن فَضْلِ رَبِّي لِيَبْلُوَنِي أَأَشْكُرُ أَمْ أَكْفُرُ
“এটাতো আমার প্রতিপালকের দয়ার বদৌলতে, আমাকে পরিক্ষা করার জন্য-আমি কি কৃতজ্ঞ হই নাকি অকৃতজ্ঞ হই।” (২৭-সূরা আন নামলঃ আয়াত-৪০)
এরূপে আল্লাহ কাউকে কোন কল্যাণ দান করে দেখতে চান যে, কে এর জন্য কৃতজ্ঞ হয়ে এটাকে হেফাজত করে এবং সৎ উপায়ে এর সুবিধা ভোগ করে এটাকে যথাযথভাবে গ্রহণ করে এবং এও দেখতে চান যে, কে অকৃতজ্ঞ হয়ে করুণাকে অপচয় করে অথবা এমনকি প্রথমত যিনি তাকে এটা দান করেছেন তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য এটাকে ব্যবহার করে এটাকে (নেয়ামতকে) অস্বীকার করে।
অতএব, আমাদেরকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে, নেয়ামতরাশি হলো আল্লাহর পক্ষ থেকে অগ্নিপরীক্ষাস্বরূপ।
কঠোর পরীক্ষার মধ্য দিয়েই কৃতজ্ঞদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশিত হয়, পক্ষান্তরে অকৃতজ্ঞরাও চিহ্নিত হয়ে যায়। আর আমাদেরকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে, আল্লাহ আমাদেরকে সুসময়ে এবং দুঃসময়েও পরীক্ষা করেন।
“আর মানুষতো এমন যে, যখন তার প্রতিপালক তাকে সম্মানিত করে ও তাকে অনুগ্রহ দান করে পরীক্ষা করেন তখন সে বলে, “আমার প্রভু আমাকে সম্মানিত করেছেন।” কিন্তু যখন তিনি তার রিযিককে সংকুচিত করে দিয়ে তাকে পরীক্ষা করেন তখন সে বলে, “আমার প্রতিপালক আমাকে অপমানিত করেছেন।” কখনও না....।” (৮৯-সূরা আল ফাজরঃ আয়াত-১৫-১৭)