আপনি অবশ্যই আপনার সুস্থতা ও অবসর সময় নষ্ট করবেন না। অতীব ভালো কাজের উপর নির্ভরতার ফলস্বরূপ আপনার প্রভুর আনুগত্যের কার্য সম্পাদনে অমনোযোগী হবেন না। কাজ করে ও প্রচেষ্টা চালিয়ে আপনার সুস্থতা ও অবসর সময়ের সুবিধা গ্রহণ করুন। মনে রাখবেন যে, আপনি সর্বদা হারানো সময়কে পুষিয়ে নিতে পারবেন না এবং আপনি যে সময়কে অলসতায় নষ্ট করেছেন তার জন্য দু’দিন আগে বা পরে আপনি আফসোস (অনুতাপ) করবেন।
বাজরজামহার বলেছেন, “কাজ যদি কাউকে ক্লান্ত করে তবে কর্মহীনতা তাকে ধ্বংস করবে।”
একজন বিজ্ঞলোক বলেছেন, এমন কাজ করে আপনার দিন নষ্ট করবেন না, যা আপনার কোন উপকারে আসবে না এবং আপনার সম্পদকে কোন প্রকল্পে বিনিয়োগ না করে অলস পড়ে থাকতে দিবেন না। কেননা, কারো জীবনে সময় এত অল্প যে, এটাকে অনুপকারী কোন কিছুর উপর নিক্ষেপ করা যায় না (অর্থাৎ এটাকে বাজে কাজে নষ্ট করা উচিত নয়। -অনুবাদক)
এবং কারো টাকা-পয়সার সরবরাহ এত কম নয় যে, এটাকে কোন কাজে বিনিয়োগ করা যায় না। অতএব, জ্ঞানী ব্যক্তি এতটাই বিচক্ষণ যে, সে তার সময়কে বাজে কাজে নষ্ট করতে পারে না এবং তার টাকা-পয়সাকে এমন কাজে ব্যয় করতে পারে না, যা কোন লাভ বয়ে আনবে না।” এর চেয়ে আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো ঈসা (আঃ)-এর বাণীঃ “ধাৰ্মিকতার প্রমাণ তিন কাজে-কথা, দর্শন ও নীরবতায়। যার কথা আল্লাহর স্মরণ ছাড়া অন্য বিষয়ে হয় তার কথা বাজে কথা। যে কোন কিছু শিক্ষা করার চেষ্টা ছাড়া দেখে (তাকায়) সে (তার আসল উদ্দেশ্য) ভুলে যায় এবং যার নীরবতা ধ্যান-গবেষণাহীন সে অসতর্ক ও অমনোযাগী।”