শয়তান মানুষকে বশে আনতে অধিকাংশ সময়ই দুটি ক্ষেত্রে বিজয়ী হয়; (এক) অসন্তুষ্টি ও (দুই) ইচ্ছা। এ দু’টি ক্ষেত্রে শয়তান মানুষকে অত্যন্ত নাজুক পায়, বিশেষ করে অসন্তোষ যখন গভীর হয়। এক্ষেত্রে সে এমন কিছু বলে, করে ও ভাবে যা তার প্রভুকে অসন্তুষ্ট করে। স্পষ্টরূপে বর্ণিত এ কারণেই নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার পুত্র ইব্রাহীমের মৃত্যু সম্বন্ধে বলেছেন-
يحزن القلب وتدمع العين ولا نقول إلا ما يرضى ربنا
ভাবাৰ্থঃ “মন বিষন্ন, চক্ষু হতে অশ্রু ঝরে তবুও আমরা আমাদের প্রভুকে যা সন্তুষ্ট করে, তা ছাড়া অন্য কিছু বলি না।”
একটি শিশুর মৃত্যু মনে অসন্তোষের সৃষ্টি করতে পারে। সে অবস্থায় অধিকাংশ মানুষই অসন্তুষ্ট থাকে, যার কারণে তারা এমন কিছু বলতে বা করতে পারে যা তাদের প্রভুকে অসন্তুষ্ট করতে পারে এ কারণেই এমন অবস্থায় যা তাদের প্রভুকে সন্তুষ্ট করে তা ছাড়া অন্য কিছু অবশ্যই না বলার জন্য নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের অবগত করলেন।
যা ঘটেছে তা নিয়ে কেউ যদি অসন্তুষ্ট ও ক্রদ্ধ হয় আর তখন তার নখদর্পণে (মাথায় বা মনে) যদি নিম্নোক্ত তিনটি বিষয় রাখে তবে তার দুর্বিপাকের বোঝা যথার্থই হাল্কা হবে। তিনটি বিষয় হলো-
১. আল্লাহর প্রজ্ঞাকে বুঝা ও বিশ্বাস করা যে, যা তার বান্দাদের জন্য কল্যাণকর ও উপকারী, তিনি তা সর্বোত্তমভাবে জানেন।
২. আল্লাহর যে বান্দা বিপদগ্রস্ত হয়ে ধৈর্য ধরে, তাকে আল্লাহ যে মহান পুরস্কার ও প্রতিদান দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন তা সম্বন্ধে সচেতন থাকা।
৩. বিধান দেয়ার ও বিচার করার অধিকার (একমাত্র) আল্লাহর- এ কথা বুঝা ও মেনে নেয়া।
“তারাই কি আপনার প্রভুর করুণাকে বণ্টন করে!” (৪৩-সূরা আন নিসাঃ আয়াত-৩২)