একজন লেখক যথার্থই বলেছেন, “আশা মানুষকে নিশ্চয় ধৈর্য ধরতে সাহায্য করে এবং ধৈর্যের পথে পরিচালিত করে। আল্লাহর সম্বন্ধে সুধারণা থেকেই আশার সঞ্চার হয়। আল্লাহর নিকট আশা ব্যর্থতার সম্ভাবনাকে প্রতিহত করে। কিন্তু কেন আমাদেরকে এতটা নিশ্চিত হতে হবে যে- আশা ব্যর্থতার সম্ভাবনাকে বাধা দেয়? আবার যদি মহামানবদের চরিত্র নিয়ে পড়াশুনা ও গবেষণা করতাম তবে আমরা দেখতাম যে- যারা সাহায্যের জন্য তাদের শরণাপন্ন হতে তাদের কথা খুব ভালো করে ভাবত, তারা তাদের বিশেষ যত্ন নিত। যারা তাদের অশুভ কামনা করত তারা তাদেরকে এড়িয়ে চলার প্রবণতাও দেখাত। যা গুরুত্বপূর্ণ তা হলো- যারা সাহায্যের জন্য তাদেরকে নির্বাচিত করত তারা তাদেরকে আশাহত করত না। (সাহায্য প্রার্থীদেরকে তারা সাহায্য না দিয়ে ফিরিয়ে দিত না বরং তারা তাদেরকে সাহায্য করত। -অনুবাদক) (এই যদি মানুষের অবস্থা হয়) তাহলে সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালুর অবস্থা কেমন, যার রাজ্য সামান্যতমও কমে না যখন কোন আশাবাদী প্রথমত তার নিকট আশা করে আর তখন তিনি তাকে তার আশার চেয়েও বেশি দান দেবেন।”
একলোক জটিল-কঠিন অবস্থা থেকে মুক্তির কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তিনি (অবশেষে আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার পর) আল্লাহর এক বান্দার প্রতি (তার নিজের প্রতি অর্থাৎ এক বান্দা বর্ণনাকারী নিজেই) তার (আল্লাহর) সর্বাপেক্ষা মৰ্মভেদী উদারতা, বদান্যতা ও পথ-নির্দেশ প্রদর্শনের বর্ণনা দেন। সাহায্যের জন্য তিনি যাদের কাছে গিয়েছিলেন তাদের সকলের নিকট তার সব আশা হারানোর পর তিনি ভাবতে বাধ্য হলেন যে, একটি দরজা খোলা আছে এবং একমাত্র মহান আল্লাহ ছাড়া তার অন্য কারো কাছে আশা করা উচিত নয়। তখন তিনি বুঝতে পারলেন যে, প্রথমত আল্লাহর নিকট আশা না করার কারণে তাকে সংশোধন করার জন্য শাস্তি দেয়া হচ্ছে এবং তখনই (আল্লাহর পক্ষ থেকে) সাহায্য ও শান্তি আসল।
“নিশ্চয় আল্লাহ্কে ছাড়া তোমরা যাদেরকে আহবান কর, তারা তোমাদের মতই (আল্লাহর) বান্দা। অতএব, যদি তোমরা সত্যবাদী হয়ে থাক তবে তারা যাতে তোমাদের আহবানে সাড়া দেয় এজন্য তাদেরকে আহবান করে দেখ (তারা সাড়া দেয় কি-না) (যদি আহবান কর তবে দেখবে যে তারা সাড়া দিতে পারে না)”। (৭-সূরা আল আ'রাফঃ আয়াত-১৯৪)