أَلَمْ نَشْرَحْ لَكَ صَدْرَكَ
“(হে মুহাম্মদ!) আমি কি আপনার বক্ষকে প্রশস্ত করে দিইনি?” (৯৪-সূরা আল ইনশিরাহঃ আয়াত-১)
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর উপর এমন কিছু বাণী নাযিল হয়েছে যা চরিত্রে প্রস্ফুটিত হয়েছিল। তার মন শান্তিতে ছিল এবং তিনি ছিলেন সাহসী। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামই ছিলেন আশাবাদী ও সহজভাবে তার কাজকর্ম করে যেতেন। তিনি মানুষের মনের মানুষ ও শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। যদিও তিনি (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জনগণের কাছের মানুষ ছিলেন, সদা হাসি মুখে থাকতেন তবুও সর্বদা তার নিকট মর্যাদা ও সম্মানবোধ ছিল (অর্থাৎ তিনি সর্বদা মর্যাদা ও সম্মানজনকভাবে থাকতেন)। তার চরিত্র ছিল পূর্ণ ও অনুপম। তিনি অনেক কোমলতা দেখিয়ে শিশুদের সাথে খেলা করতেন এবং পরিদর্শককে প্রকাশ্যে স্বাগতম জানাতেন বা মেহমানকে খোলামনে অভ্যর্থনা করতেন। কেননা, তিনি আল্লাহর অনুকম্পা ও দয়ায় সুখী ছিলেন। হতাশা ও ব্যর্থতা তার নিকট সম্পূর্ণ অপরিচিত ছিল। বরং তিনি অনুকূল আশাবাদকে সমর্থন দিতেন। জাঁক, বড়াই, কৃত্রিমতা, মুনাফেকি, অপচয় ও অসংযম তার নিকট খুবই ঘৃণার বস্তু ছিল। উপরোক্ত সকল চরিত্রের পরম পরাকাষ্ঠা তিনি ছিলেন– একথা সহজেই বলা যায়। সত্যিকার অর্থেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহান অধিকারী। একটা গোটা জাতির জন্য আদর্শ এবং শিক্ষক, পারিবারিক ও সামাজিক মানুষ এবং বহুগুণের অধিকারী। সংক্ষেপে, তিনি (রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ছিলেন সকল কল্যাণের দিকে পরিচালিত ব্যক্তি।
وَيَضَعُ عَنْهُمْ إِصْرَهُمْ وَالْأَغْلَالَ الَّتِي كَانَتْ عَلَيْهِمْ
“তাদের উপর যে বোঝা ও শৃঙ্খল ছিল তিনি তাদের থেকে তা সরিয়ে দিবেন।” (৭-সূরা আল আরাফঃ আয়ত-১৫৭)
رَحْمَةً لِّلْعَالَمِينَ
“সমগ্র বিশ্ব জগতের জন্য রহমতস্বরূপ।” (২১-সূরা আল আম্বিয়াঃ আয়াত-১০৭)
شَاهِدًا وَمُبَشِّرًا وَنَذِيرًا وَدَاعِيًا إِلَى اللَّهِ بِإِذْنِهِ وَسِرَاجًا مُنِيرًا
“সাক্ষী, সুসংবাদদাতা, সতর্ককারী, আল্লাহর হুকুমে তার দিকে আহবানকারী এবং আলো বিচ্ছুরণকারী বাতিস্বরূপ।” (৩৩-সূরা আহযাবঃ আয়াত-৪৫-৪৬)
ইসলামও এর সহজ অনুস্মরণীয় বাণীর বিপরীত হলো খারিজীদের বাড়াবাড়ি, সুফীদের বোকামী ও বাড়াবাড়ি, কবিদের আবেগতাড়িত অদম্য ভালোবাসা এবং ইহজীবন-পূজারীদের অসার দম্ভ।
فَهَدَى اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا لِمَا اخْتَلَفُوا فِيهِ مِنَ الْحَقِّ بِإِذْنِهِ وَاللَّهُ يَهْدِي مَن يَشَاءُ إِلَىٰ صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمٍ
“অতপর, মু’মিনরা যে সত্য বিষয়ে মতপার্থক্য করত আল্লাহ নিজ ইচ্ছায় (বা অনুগ্রহে) তাদেরকে সে বিষয়ে সত্য পথ প্রদর্শন করলেন। আর যাকে ইচ্ছা আল্লাহ তাকে সরল পথ প্রদর্শন করেন।” (২-সূরা বাকারাঃ আয়াত-২১৩)