কুরআন তিলাওয়াত করুন এবং তেলাওয়াত শুনুন। এতে সুখ-শান্তি ও প্রশান্তি পাবেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কোন মহান সাহাবীর মুখে কুরআন তেলাওয়াত শুনতে ভালোবাসতেন। কুরআন তেলাওয়াতের ক্যাসেট শুনার জন্য আপনি প্রতিদিন কয়েক মিনিট বরাদ্দ করতে পারেন। আপনি রাস্তা-ঘাটে, কর্মস্থলে বা অফিসে যে শব্দ শুনেন তা অবশ্যই আপনার বিরক্তি উৎপাদন করে, তাই আপনার প্রভুর কিতাব (পুস্তক) পাঠ করে নিজেকে শান্তি দেয়ার জন্য কিছু সময় বের করুন।
“যারা ঈমান এনেছে এবং যাদের অন্তর আল্লাহর জিকিরে প্রশান্ত হয়। জেনে রাখ! আল্লাহর জিকিরে অন্তর প্রশান্ত হয়।” (১৩-সূরা রাআদঃ আয়াত-২৮)
একটি সহীহ হাদীসে বর্ণিত আছে— “নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইবনে মাসউদ (রাঃ)-কে কুরআনের সূরা নিসা পড়তে আদেশ করলেন। তিনি পড়তে থাকলেন আর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চোখের পানি (তার) গাল বেয়ে পড়তে লাগল। তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “যথেষ্ট হয়েছে (এখন তুমি থামতে পার)”।
“(হে মুহাম্মদ!) আপনি বলে দিন, যদি মানুষেরা ও জীনেরা এই কুরআনের মতো কোন কিছু সৃষ্টি করার জন্য একত্রিত হয় তবুও তারা এর মতো কোন কিছু সৃষ্টি করতে পারবে না, যদিও তারা একে অপরের সাহায্যকারী হয়।” (১৭-সূরা বনী ইসরাঈলঃ আয়াত-৮৮)
لَوْ أَنزَلْنَا هَٰذَا الْقُرْآنَ عَلَىٰ جَبَلٍ لَّرَأَيْتَهُ خَاشِعًا مُّتَصَدِّعًا مِّنْ خَشْيَةِ اللَّهِ
“যদি আমি এ কুরআনকে পাহাড়ের উপর অবতীর্ণ করতাম, তবে তুমি অবশ্যই পাহাড়কে আল্লাহর ভয়ে বিনীত ও বিদীর্ণ হয়ে যেতে দেখতে পেতে।” (৫৯-সূরা আল হাশরঃ আয়াত-২১)
দৈনন্দিন জীবনের কার্যতালিকা মাঝে মাঝে উদাসীন করে তোলে, তাতে খাওয়া আর ঘুম ছাড়া কোন কিছুর প্রতি যত্ন নেয়া হয় না; এভাবে জানোয়ারের পর্যায়ে নেমে যেতে হয়। কিন্তু যখন কেউ তার প্রভুর বাণীর দিকে ফিরে আসে তখন সে আরাম ও শান্তি বোধ করে।
এখানে এটা উল্লেখ করা জরুরি যে, গান নয় বরং আল্লাহর কালামই শান্তি বয়ে আনে। গান হলো তুচ্ছ, বাজে ও নিষিদ্ধ বিকল্প (যা শান্তির আশায় আল্লাহর কালামের বদলে ব্যবহার করা হয়। যেমন খাবারের অভাবে অখাদ্য-কুখাদ্য খাওয়া হয়-অনুবাদক।) আমাদের নিকট এর চেয়ে ভালো কিছু আছে যা নিয়ে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আগমন করেছেন।
لَّا يَأْتِيهِ الْبَاطِلُ مِن بَيْنِ يَدَيْهِ وَلَا مِنْ خَلْفِهِ تَنزِيلٌ مِّنْ حَكِيمٍ حَمِيدٍ
“এ কুরআনের সামনে পিছনে কোন দিকেই বাতিল আসতে পারে না, এটা সকল প্রশংসার প্রাপক মহাজ্ঞানীর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ।” (৪১-সূরা হা-মীম-আস-সাজদাহঃ আয়াত-৪২)
تَرَىٰ أَعْيُنَهُمْ تَفِيضُ مِنَ الدَّمْعِ مِمَّا عَرَفُوا مِنَ الْحَقِّ
“তুমি তাদের চক্ষুসমূহকে অশ্রুতে ভেসে যেতে দেখবে। কেননা, তারা যে সত্য অনুধাবন করতে পেরেছে।” (৫-সূরা মায়িদাঃ আয়াত-৮৩)
কেবলমাত্র বোকারাই গানে শান্তি পায়-
وَمِنَ النَّاسِ مَن يَشْتَرِي لَهْوَ الْحَدِيثِ لِيُضِلَّ عَن سَبِيلِ اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ
এবং মানুষের মাঝে এমন লোকও আছে যে নাকি অজ্ঞতাবশতঃ (মানুষকে) আল্লাহর পথ হতে বিপথে চালিত করার জন্য বেহুদা কথা (যেমনগান-বাজনা, গল্প-গুজব) ক্রয় করে।” (৩১-সূরা আস সাজদাহঃ আয়াত-৬)