কষ্টের কারণে মানুষ বিনীতভাবে তার প্রভুর প্রতি মুখাপেক্ষী হয়। কেউ একবার বলেছিলেন, “আল্লাহ কতইনা পবিত্র তিনি (বান্দাকে) কষ্ট দেয়ার মাধ্যমে দোয়া করান।” বর্ণিত আছে যে, আল্লাহ তার কোনও বান্দাকে কোন এক বিষয়ে পরীক্ষা করে ফেরেশতাদেরকে বললেন, “তার কথা (দোয়া, প্রার্থনা, আবেদন) শুনার জন্য এ পরীক্ষা ছিল” অভাব-অনটন ও সংকটের কারণে মনে নম্রতা আসে (আর বিনয়-নম্রতাকে আল্লাহ পছন্দ করেন। -অনুবাদক)

كَلَّا إِنَّ الْإِنْسَانَ لَيَطْغَىٰ أَنْ رَآهُ اسْتَغْنَىٰ

“বরং মানুষ নিশ্চয় সীমালঙ্ঘন করে, কেননা, সে নিজেকে অভাবমুক্ত দেখে বা স্বয়ংসম্পূর্ণ মনে করে।” (৯৬-সূরা আল আলাকঃ আয়াত ৬-৭)

দুর্দশাগ্রস্ত লোকদেরকে মানুষেরা সাত্ত্বনা দেয় এবং তার বা তাদের জন্য দোয়া করে। এভাবে সংকটের সময় মু’মিনরা ভ্রাতৃত্ববোধে দুর্দশাগ্রস্ত লোকের পাশে এসে দাঁড়ায়। একটি মুসিবত বড় আরেকটি মুসিবত থেকে রক্ষা করে বিধায় মসিবতগ্রস্ত লোকের কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত। অধিকন্তু (এ ছাড়া) বিপদাপদের কারণে অনেক পাপ মোচন হয়। যখন আল্লাহর কোন বান্দা এ বিষয় (কথা)গুলো বুঝতে পারবে তখন সে কৃতজ্ঞ হবে।

إِنَّمَا يُوَفَّى الصَّابِرُونَ أَجْرَهُم بِغَيْرِ حِسَابٍ

“কেবলমাত্র ধৈর্যশীলদেরকেই তাদের পুরস্কার পূর্ণমাত্রায় বেহিসাবে দেয়া হবে।” (৩৯-সূরা আয যুমারঃ আয়াত-১০)