সালাতের আংশিক গুরুত্ব হলো এই যে, এটি মন থেকে মন্দ অনুভূতিসমূহ (যথা কুচিন্তা, দুশ্চিন্তা, দুর্ভাবনা, দুঃখ-বেদনা ইত্যাদি। -অনুবাদক) দূর করে দেয় এবং মনকে শক্তি ও আনন্দে ভরে দেয়। সালাতের সময় হৃদয়-মন আল্লাহর সান্নিধ্যে থাকে। আল্লাহর নিকট সাহায্য চাওয়াতে সান্ত্বনা পাওয়া যায়, তার সামনে দাঁড়ালে আধ্যাত্মিকতা অনুভব করা যায়।
আর এসব কিছুই সালাতের সময় অনুভব করা যায়। সালাতে (শরীরের) সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গই ব্যবহার করা হয়, কিন্তু যা অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ তা হলো আত্মাকেও অবশ্যই সজাগ রাখতে হবে। সালাতের সময় সৌম্যতা ও শান্তি অর্জন করা যায়, যেমন নাকি শক্র ও সমস্যা থেকে কেউ (কমপক্ষে আত্মিকভাবে) দূরে চলে যায়। (অর্থাৎ শক্র ও সমস্যা থেকে দূরে চলে গেলে যেমন শান্তি পাওয়া যায় তেমনই সালাতের মধ্যে আত্মিকভাবে ঊর্ধ্বজগতে ভ্রমণ করে দুনিয়ার কষ্ট থেকে মুক্ত হয়ে শান্তি পাওয়া যায় -অনুবাদক)
এভাবে সালাত হৃদরোগের একটি শক্তিশালী ঔষুধ। তবুও কেবলমাত্র যোগ্য আত্মাই সালাত থেকে উপকৃত হয়; পক্ষান্তরে দুর্বল আত্মা শরীরের মতো পার্থিব বস্তু থেকেই তার খোরাক তালাশ করে।
সুতরাং আমাদেরকে দুনিয়া ও আখেরাত এই উভয় জাহানের কল্যাণ অর্জন করতে সাহায্য করার জন্য সালাত সর্বশ্রেষ্ঠ উপায়। সালাত পাপ কাজে বাধা দেয়, রোগ প্রতিরোধ করে, আত্মা ও চেহারা উভয়কেই নূরান্বিত (আলোকিত) করে, সালাতীকে কর্মক্ষম করে তোলে এবং ব্যাপক অর্থে যে নাকি সতর্কতার সাথে, যথাযথভাবে ও একনিষ্ঠভাবে সালাত আদায় করে, সালাত তার জন্য কল্যাণ বয়ে আনে।