সমস্ত মহিমা ও প্রশংসা স্রষ্টা ও রিযিকদাতারই প্রাপ্য। তিনি কীটকে মাটিতে, মাছকে পানিতে, পাখিকে শূন্যে (আকাশে), পিপড়াকে অন্ধকারে এবং সাপকে পাথরের ফাটলে খোরাক দেন। আল্লামা ইবনুল জাওযী এমন এক দৃশ্য দর্শন করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন যা চমৎকার এমনকি আজবও বটে।
একটি গাছের আগডালে একটি অন্ধ সাপ বাস করত। একটি পাখি তার ঠোঁটে করে এটির জন্য খাবার নিয়ে আসত। এটি সাপের নিকট এসে একটি (কিচির মিচির) শব্দ করত। এ শব্দ শুনে সাপটি হা করত, আর পাখিটি সাপের (সে হা করা) মুখে খাবার ভরে দিত। সকল মহিমা ও প্রশংসা সে আল্লাহরই প্রাপ্য যিনি পাখিকে দিয়ে সাপের সাহায্য করালেন।
وَلَا طَائِرٍ يَطِيرُ بِجَنَاحَيْهِ إِلَّا أُمَمٌ أَمْثَالُكُم
“নিজ ডানার সাহায্যে উড়ে এমন প্রতিটি পাখিই তোমাদের মত একটি উম্মত।” (৬-সূরা আন’আমঃ আয়াত-৩৮)
মেহরাবের মধ্যে মরিয়ম (আঃ)-এর নিকট দিন-রাত রিযিক আসত। তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো-
أَنَّىٰ لَكِ هَٰذَا قَالَتْ هُوَ مِنْ عِندِ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ يَرْزُقُ مَن يَشَاءُ بِغَيْرِ حِسَابٍ
“এসব আপনার নিকট কীভাবে আসে?” তিনি উত্তর দিলেন, “এসব আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে। নিশ্চয় আল্লাহ যাকে চান তাকে অপরিমিত রিযিক দান করেন।” (৩-সূরা আলে ইমরানঃ আয়াত-৩৭)
وَلَا تَقْتُلُوا أَوْلَادَكُمْ خَشْيَةَ إِمْلَاقٍ نَّحْنُ نَرْزُقُهُمْ وَإِيَّاكُمْ
এবং অভাবের ভয়ে তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করনা। আমিই তোমাদের ও তাদের রিযিক দিই।” (১৭-সূরা বনী ইসরাঈলঃ আয়াত-৩১)
লোকজনকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে পিতা-পুত্র উভয়েরই রিযিকদাতা হলেন তিনি যিনি জন্ম দেন না এবং (কারো দ্বারা) জাতও নন। অনন্ত অসীম ধন ভাণ্ডারের মালিক নিজেই আপনার (এবং সকলের) রিযিকের গ্যারান্টি বা নিশ্চয়তা দিয়েছেন।
فَابْتَغُوا عِندَ اللَّهِ الرِّزْقَ وَاعْبُدُوهُ وَاشْكُرُوا لَهُ
“অতএব আল্লাহর নিকট রিযিক চাও এবং তার দাসত্ব (ইবাদত) কর ও তার কৃতজ্ঞতা (শোকরিয়া) আদায় কর।” (২৯-সূরা আনকাবূত আয়াত-১৭)
وَالَّذِي هُوَ يُطْعِمُنِي وَيَسْقِينِ
“এবং তিনিই আমাকে পানাহার করান।” (২৬-সূরা আশ শুয়ারাঃ আয়াত-৭৯)