বিশাল জ্ঞান ভাণ্ডার লাভ করে ধন্য হতে হলে যা দরকার তা হলোঃ গবেষক মন, শুভ বুঝ এবং এমন মেধা বা বুদ্ধি যা কারণ ও উদ্দেশ্য তালাশে পৃষ্ঠদেশের তলদেশে গভীরে ডুব দেয়। আর এগুলোই মনের শান্তি এনে দেয়।
إِنَّمَا يَخْشَى اللَّهَ مِنْ عِبَادِهِ الْعُلَمَاءُ
“আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে কেবলমাত্র জ্ঞানীরাই তাকে ভয় করে।” (৩৫-সূরা ফাতিরঃ আয়াত-২৮)
بَلْ كَذَّبُوا بِمَا لَمْ يُحِيطُوا بِعِلْمِهِ
“বরং তারা যে বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারেনি তারা তা অস্বীকার করেছিল।” (১০-সূরা ইউসুফঃ আয়াত-৩৯)
আলেম বা জ্ঞানী ব্যক্তির সাধারণত খোলা মন থাকে এবং তিনি শান্তিতে থাকেন। পাশ্চাত্যের এক গবেষক বলেছেন- “আমি আমার টেবিলের ড্রয়ারে একটি বড় খাতা রাখি। এ খাতার ওপরে লেখা আছে, “যে সব বোকামি আমি করেছি” সারাদিনে আমি যে সব বোকামি করি আমি এতে তা লিখে রাখি। আমি আমার ভুলসমূহ জেনে তা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্যই আমি এ কাজ করি।”
এ বিষয়ে পূর্বেকার মুসলিম আলেমগণ তাকে পিছনে ফেলে গিয়েছেন। তারা যথাযথভাবে তাদের আমলের বিবরণ রাখতেন। “আর আমি আত্ম-তিরস্কারকারী ব্যক্তির শপথ করছি।" (৭৫-সূরা আল কিয়ামাহঃ আয়াত-২)
হাসান বসরী (রহঃ) বলেছেন- “একজন ব্যবসায়ী তার ভাগীদারের হিসাব যেভাবে রাখে একজন মুসলমান তার নিজের হিসাব তার চেয়েও কঠিনভাবে রাখে।”
রবী ইবনে খুসাইম এক শুক্রবার থেকে আরেক শুক্রবার পর্যন্ত যা বলতেন তার সবকিছুরই লিখে রাখতেন। যদি তাতে ভালো কথা পেতেন তবে আল্লাহর প্রশংসা করতেন আর যদি তাতে মন্দ কথা পেতেন, তবে আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাইতেন।
ইসলামের প্রাথমিক যুগের (শতাব্দীর) একজন ধাৰ্মিক লোক বলেছেন- “চল্লিশ বছর আগে আমি একটি পাপ করেছি যার জন্য এখনও আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাচ্ছি।”
“আর যারা যা দান করার তা দান করে অথচ সে অবস্থায় (আল্লাহর ভয়ে) তাদের অন্তরসমূহ প্রকম্পিত থাকে।” (২৩-সূরা মু’মিনূনঃ আয়াত-৬০)