আল্লাহ : একমাত্র মহান ও মহিমান্বিত নাম । এর শব্দের মূল থেকে আমরা বিশেষ অর্থ শিখতে পারি। কেউ কেউ বলেন الله শব্দ اله ধাতু থেকে এসেছে। এর অর্থ হলো যাকে মানুষের অন্তর ভালোবাসে, যাতে তারা শান্তি পায়, সুখী হয় যার অভিমুখী হয় ও যাকে উপাস্য বা প্ৰভু হিসেবে মান্য করে। অবশ্য তিনি ছাড়া অন্যের নিকট শান্তি পাওয়াও অসম্ভব। এ কারণেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (তার কন্যা) ফাতেমা (রাঃ)-কে দুর্দশাগ্রস্ত লোকের (জন্য পঠিতব্য) দোয়া শিখিয়ে দিয়েছিলেন। (আর তা হলো)
اللَّهُ اللَّهُ رَبِّى لاَ أُشْرِكُ بِهِ شَيْئًا
অর্থাৎ “আল্লাহ আল্লাহই আমার প্রতিপালক, আমি তার সাথে কোন কিছুকে শরীক সাব্যস্ত করি না।”
“বল আল্লাহই (এটি অবতীর্ণ করেছেন) অতপর তাদেরকে তাদের নিরর্থক কথাবার্তার খেলায় ছেড়ে দাও।” (৬-সূরা আল আন’আমঃ আয়াত-৯১)
“তিনি তার বান্দাদের উপর পরাক্রমশালী”। (৬-সূরা আল আন’আমঃ আয়াত-১৮)
“আল্লাহ তার বান্দাদের প্রতি পরম করুনাময় ও দয়ালু।” (৪২-সূরা আশ শুরাঃ আয়াত-১৯)
“তারা আল্লাহকে যথোচিত সম্মান প্রদর্শন করেনি। অথচ কিয়ামতের দিন গোটা পৃথিবীটা তার হাতের মুঠোয় থাকবে এবং আকাশসমূহ তার ডান হাতে গোটানো অবস্থায় থাকবে। তারা (তার সাথে) যা কিছু শরীক সাব্যস্ত করে তিনি তা থেকে পবিত্র ও তার উর্ধ্বে।” (৩৯-সূরা আয যুমারঃ আয়াত-৫৭)
“লিখিত দফতর যেভাবে গুটানো হয় সেদিন আমি আকাশকে সেভাবে গুটিয়ে ফেলব।” (২১-সূরা আল আম্বিয়াঃ আয়াত-১০৪)
“নিশ্চয় আল্লাহ আকাশসমূহকে ও পৃথিবীকে আঁকড়িয়ে (ধরে) রেখেছেন যাতে সেগুলো টলে না যায়।” (৩৫-সূরা ফাতিরঃ আয়াত-৪১)