তকদীরের ভালো-মন্দ সব কিছুর প্রতি রাজি থাকা ঈমানের জরুরি বিষয়।
“এবং আমি অবশ্যই তোমাদেরকে ভয়; ক্ষুধা সম্পদ, জীবন ও ফলমূলের ক্ষয়-ক্ষতি এমনসব কিছু জিনিস দ্বারা পরীক্ষা করব; কিন্তু ধৈর্যশীলদেরকে (জান্নাতের) সুসংবাদ দান করুন।” (২-সূরা বাকারাঃ আয়াত-১৫৫)
আমাদের তকদীরে যা কিছু নির্ধারিত আছে তা সর্বদা আমাদের ইচ্ছা ও কল্পনার সাথে মিলে না। কিন্তু তখন আমাদের কোন (বিরূপ) মন্তব্য করা শোভা পায় না। বরং তোমাদের সঠিক অবস্থা হলো তাই যা একজন আত্মসমপর্ণকারী দাসের অবস্থা।
আমরা সবাই আমাদের ঈমানের সবলতা ও দুর্বলতা অনুযায়ী কঠিন ও সহজ পরীক্ষার সম্মুখীন হই। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- “তোমরা দু'জন লোক যতটা মৃত্যু-যন্ত্রণা অনুভব কর আমি একাই ততটা মৃত্যু-যন্ত্রণা অনুভব করছি। (ইংরেজি পুস্তকে যেমন আছে তেমনই অনুবাদ করা হল । -অনুবাদক।)
“নবীদেরকে সর্বাপেক্ষা কঠিন পরীক্ষা করা হয়; অতপর অন্যান্য সৎকর্মশীলদেরকে (তাদের মর্যাদা অনুযায়ী পরীক্ষা করা হয়)”।
“অতএব (হে মুহাম্মদ!) আপনি তেমনভাবে ধৈর্য ধরুন যেমনভাবে দৃঢসংকল্প রাসূলগণ ধৈর্য ধরেছিলেন।” (৪৬-সূরা আল আহকাফঃ আয়াত-৩৬)
আল্লাহ যদি কারো ভালো চান তবে তিনি তাকে পরীক্ষায় ফেলেন।
“এবং আমি অবশ্যই পরীক্ষা করে তোমাদের মধ্য থেকে মুজাহিদদেরকে এবং ধৈর্যশীলদেরকে চিনে নিব। এবং আমি তোমাদের ব্যাপার-স্যাপার (অর্থাৎ কে সত্যবাদী আর কে মিথ্যাবাদী) পরীক্ষা করে দেখব।” (৪৭-সূরা মুহাম্মদ বা কেতালঃ আয়াত-৩১)
“আর আমি অবশ্যই তাদের পূর্ববর্তীদের পরীক্ষা করেছিলাম।” (২৯-সূরা আল আনকাবূতঃ আয়াত-৩)