সুখ সম্বন্ধে আমরা পূর্বে অধ্যায়গুলোতে যা কিছু আলোচনা করেছি তা এক কথায় প্রকাশ করা যায়। আর তা হলোঃ সবকিছুর প্রভু আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখা। এ পর্যন্ত অন্য যা কিছু আমরা আলোচনা করেছি তা সবই বৃথা যদি আপনার আল্লাহর প্রতি ঈমান না থাকে। আল্লাহকে প্রভু হিসেবে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আল্লাহর রাসূল হিসেবে বিশ্বাস করা এবং ইসলামকে জীবন-বিধান হিসেবে গ্রহণ করা অবশ্যই ভিত্তি (প্রধান কাজ) হতে হবে।
“(তাওহীদ বা ইসলামী একত্ববাদে বিশ্বাসী) যে কোন ঈমানদার নর-নারী নেক আমল করবে আমি অবশ্যই তাকে (এ পৃথিবীতে সম্মান, পরিতৃপ্তি ও হালাল রিযিক সম্বলিত) উত্তম জীবন দান করব এবং আমি অবশ্যই তাদেরকে তাদের নেক আমল আনুযায়ী (পরকালে জান্নাত) পুরস্কার দিব।” (১৬-সূরা আন নাহলঃ আয়াত-৯৭)
উত্তম জীবনের জন্য দুটি শর্ত আছে। আর তা হলো-
১. আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখা, ২. আমলে সালেহ করা।
“নিশ্চয় যারা ঈমান আনে ও আমলে সালেহ করে পরম করুণাময় (আল্লাহ মু’মিনদের অন্তরে) তাদের জন্য অচিরেই ভালোবাসা সৃষ্টি করে দিবেন। (১৯-সূরা মারইয়ামঃ আয়াত-৯৬)
যে আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখে ও নেক আমল করে সে দুটি উপকার পায়
১. ইহকালে ও পরকালে এক সুখী-সমৃদ্ধ উত্তম জীবন।
২. মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশাল পুরস্কার।
“দুনিয়ার জীবনে ও আখেরাতে তাদের জন্য রয়েছে শুভ সংবাদ।” (১০-সুরা ইউনুসঃ আয়াত-৬৪)