যে সব বিষয় শান্তি বয়ে আনে তার মধ্যে অন্যের প্রতি দয়া প্রদর্শন করা ও অন্যকে দান করা অন্যতম।

“আমি তোমাদেরকে যে রিযিক দান করেছি তা থেকে ব্যয় কর।” (২-সূরা বাকারাঃ আয়াত-২৫৪)

“যে সব নারী-পুরুষ দান করে।” (৩৩-সূরা আল আহযাবঃ আয়াত-৩৫)

“যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য এবং (আল্লাহর নিকট তাদের দানের পুরস্কার পাবেন এই) দৃঢ় আশাসহ আল্লাহ্‌র রাস্তায় দান করেন তাদের উদাহরণ ঐ বাগানের মতে যা উচ্চস্থানে, অতপর সেখানে মুষলধারে বৃষ্টি হয় ফলে এর ফলমূল দ্বিগুণ উৎপাদিত হয়, যদি সেখানে মুষলধারে বৃষ্টিপাত নাও হয় তবে অল্প বৃষ্টিই যথেষ্ট হয়।” (২-সূরা বাকারাঃ আয়াত-২৬৫)

“এবং কৃপণের মতো) তোমার হাতকে তোমার ঘাড়ের নিকট গুটিয়ে রেখে না।” (১৭-সূরা বনী ইসরাঈলঃ আয়াত-২৯)

কৃপণ লোকের অবস্থা শোচনীয় এবং সর্বদা অশান্তিবোধ করে, তারা আল্লাহর রহমতের ভাগ নিতে ব্যয়কুণ্ঠ বা কৃপণ। (অর্থাৎ তারা কৃপণ হওয়ার কারণে দান করতে পারে না হলে আল্লাহর রহমতও অর্জন করতে পারেনা।)

কৃপণ ব্যক্তি যদি শুধুমাত্র একথা জানতো যে, গরীবদের জন্য টাকা-পয়সা খরচ করে সে সুখ অর্জন করতে পারবে তবে সে অবশ্যই দানের প্রতিযোগিতা করত।

“যদি তোমরা আল্লাহকে করযে হাসানাহ দিতে তবে আল্লাহ তা তোমাদের জন্য দ্বিগুণ করে দিতেন এবং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিতেন।” (৬৪-সূরা আত তাগাবুনঃ আয়াত-১৭)

“আর যাকে তার কাপর্ণ বা লোভ থেকে রক্ষা করা হয়; ফলত তারই সফলকাম।” (৫৯-সূরা আল হাশরঃ আয়াত-৯)

“এবং তারা যারা আমি তাদেরকে যা দান করেছি তা থেকে ব্যয় করে।” (২-সূরা বাকারাঃ আয়াত-৩) অর্থাৎ তারা যাকাত দেয়; নিজেদের জন্য, তাদের পিতা-মাতার জন্য, তাদের সন্তানদের জন্য, তাদের স্ত্রীদের জন্য, ইত্যাদি নানা বিষয়ে তাদের সম্পদ ব্যয় করে এবং গরীবদেরকে দান করে এবং আল্লাহর উদ্দেশ্যে যথা জিহাদ ইত্যাদি কাজে দান করে।

হাতেম তাই তার স্ত্রীকে বলেছিলেন-

إذا ما صنعت الزاد، فالتمسي لهُ ٭ أكيلاً، فإني لست آكلهُ وحدي

“যখন তুমি খাদ্য তৈরি করবে তখন একজন খাদককে দাওয়াত করিও, কেননা আমি তা একাকী খাব না।”

তারপর তিনি তার স্ত্রীর নিকট তার দর্শন ব্যক্ত করে বলেছেন-

أريني كريماً مات مِنْ قبلِ حِينهِ ٭ فيرضى فؤادي أو بخيلاً مخلدَّا

আমাকে এমন একজন দয়ালু দেখাও যে নাকি (দান করে অভাবে পড়ে না খেয়ে) তার মৃত্যুর সময়ের আগেই মারা গেছে। অথবা এমন একজন কৃপণ দেখাও যে নাকি (দান না করে ধনী হয়ে) চিরকাল বেঁচে থাকবে, তবেই আমার মন শান্তি পাবে।”